দুই বছর আগে হঠাৎ আলোচনায় এসেছিলেন তিয়াগো রামোস। ২৪ বছর বয়সী এই তরুণ একজন গেমার; সেই সঙ্গে ইনস্টাগ্রাম মডেলও। ২০২২ সালের এপ্রিলে ইনস্টাগ্রামে এক পোস্টে রামোসের সঙ্গে ছবি দিয়ে সম্পর্কে জড়ানোর কথা জানিয়েছিলেন নেইমারের মা নাদিন গনসালভেস।
পরে নানা বিতর্কে জড়িয়ে সে সম্পর্ক শেষ হয়ে গিয়েছিল দুজনের। রামোস ও নাদিনের এই সম্পর্কে নাক গলিয়ে বিপদে পড়েছিলেন নেইমারও। ব্রাজিলিয়ান সংবাদমাধ্যম দাবি করছে, আবারও সম্পর্কে জড়িয়েছেন নাদিন এবং নেইমারের চেয়ে ৬ বছরের ছোট রামোস। সম্পর্কের উপজাত হিসেবে ঝামেলাও হাজির হয়েছে। প্রেমিকের উগ্র আচরণের হাত থেকে বাঁচতে নিজের অ্যাপার্টমেন্ট ছেড়ে পালাতে হয়েছে নাদিনকে।
ব্রাজিলিয়ান সংবাদমাধ্যম আইজির সাংবাদিক গ্যাব্রিয়েল পারলাইন জানান, এক মাস আগে আবার রামোসের সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়েছেন নাদিন। রিও ডি জেনিরোতে একটি বিলাসবহুল বাড়ি বাানাচ্ছেন তিনি। কিন্তু সেটার ঘরসজ্জা এখনো শেষ হয়নি বলে একটি অ্যাপার্টমেন্ট ভাড়া করে থাকছিলেন প্রেমিকের সঙ্গে। কিন্তু কয়েক দিন আগে দুজনের মধ্যে ঝগড়া হয়েছে। এই সাংবাদিক দাবি করেছেন, রামোসের মাত্রাতিরিক্ত আবদার মানতে রাজি না হওয়াতেই নাকি দুজনের মধ্যে সম্পর্কের অবনতি হয়েছে।
প্রতিবেশীরা চিৎকার, গালাগালি ও বোতল ভাঙচুরের শব্দ শুনেছেন। একজন নারীকে কাঁদতে শুনেছেন। রাগারাগি করে একপর্যায়ে অ্যাপার্টমেন্ট থেকে কিছুক্ষণের জন্য বেরিয়ে যান রামোস। নাদিনও সুযোগ বুঝে তাঁর মালামাল গোছগাছ করে সান্তোসে আত্মীয়ের বাসায় চলে যান। তবে যাওয়ার আগে অ্যাপার্টমেন্ট বিল্ডিংয়ের নিরাপত্তারক্ষীদের সতর্ক করে যান, রামোসকে যেন আর ঢুকতে দেওয়া না হয়।
একটু পরে রামোস ফিরে এলেও অ্যাপার্টমেন্টে ঢুকতে পারেননি। তাঁকে এলাকা থেকে বের করে দেওয়া হয়। সে ঘটনার পর রিও ডি জেনিরোতে আরেক বন্ধুর বাসায় থাকছেন রামোস। ইনস্টাগ্রামে নিজের স্নান করার এক ভিডিও দিয়ে নাদিনের উদ্দেশে বার্তাও পাঠিয়েছেন, ‘ভালোবাসা, শুধু তোমার অভাব বোধ করছি।’
এ ব্যাপারে গ্যাব্রিয়েল পারলাইন নেইমারের পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলেছেন। তবে নাদিন ও রামোসের মধ্যকার সম্পর্কের কথা অস্বীকার করেছেন তাঁরা। তাঁদের দাবি, এমন কিছু ঘটেনি।
তবে রামোস ও নাদিনের মধ্যে সম্পর্কে এমন টানাপোড়েন নতুন নয়; ২০২০ সালের ১২ এপ্রিল প্রথম নিজেদের সম্পর্ক প্রকাশ্যে আনেন নাদিন। ইনস্টাগ্রামে রামোসের সঙ্গে একটি অন্তরঙ্গ ছবি দিয়ে লিখেছিলেন, ‘ব্যাখ্যাতীত বিষয়কে কখনো বর্ণনা করা যায় না, সেভাবে বাঁচতে হয়…’।
মায়ের জীবনের এ অধ্যায় স্বাভাবিকভাবেই নিয়েছিলেন নেইমার। কিন্তু দুই মাস পরই সম্পর্কে অবনতি হয়। সান্তোসে নেইমারের মায়ের অ্যাপার্টমেন্টে ভাঙচুর করেন তিয়াগো রামোস। এতে আহত হয়ে হাসপাতালে যেতে হয় রামোসকে।
এরপরই খবর বের হয়, খ্যাতির জন্য নাদিনের সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়েছেন রামোস। ব্যক্তিজীবন তিনি নাকি সমকামী। এ নিয়ে নিজস্ব আড্ডায় বন্ধুদের সামনে রামোস সম্পর্কে কথা বলতে গিয়ে সমকামীবিদ্বেষী গালি দিয়েছেন এবং শারীরিকভাবে নিগ্রহের হুমকি দিয়েছেন নেইমার। এ নিয়ে আইনি ঝামেলাও পোহাতে হয়েছে তাঁকে।
এরপর আবার রামোসের সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়েছেন নাদিন। ২০২০ সালের ডিসেম্বরে দুজন মেক্সিকোর কেনকুনে ছুটি কাটাতে গিয়েছিলেন। সেখানেও এক ঘটনার জন্ম দিয়েছিলেন রামোস। এক রেস্তোরাঁয় নাকি ছুরিকাহত হয়েছিলেন। গলায় আঘাত পাওয়া রক্তাক্ত রামোসের ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছিল। নেইমারের মা তাঁকে ফেলে রেখেই দেশে ফিরেছিলেন।