বাহরাইনের সঙ্গে ২–০ গোলে হার। গোলের সংখ্যার বিচারে বাংলাদেশের হতাশ হওয়ার কিছু নেই।
তবে বাংলাদেশ কোচ হাভিয়ের কাবরেরা ম্যাচের ফলাফলে হতাশাই ব্যক্ত করলেন। ম্যাচ শেষে সংবাদ সম্মেলেন বলেছেন, ‘আমরা মাঠে প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ পারফরম্যান্স দেখিয়েছি। এতে আমি খুশি। ম্যাচে আমাদের অনেক কিছুই ভালো ছিল। একমাত্র হতাশা হলো ম্যাচের ফলাফল। আমরা ম্যাচটা হেরে গেছি।’
বাংলাদেশ কোচের কথায় মনে হতে পারে এশিয়ান কাপের বাছাইপর্বে প্রথম ম্যাচটায় জয়ের আশা নিয়েই তিনি নেমেছিলেন! কিন্তু আসলে তা নয়। বাংলাদেশ নিচে নেমে রক্ষণ করে যতটা সম্ভব আটকাতে চেয়েছে শক্তিশালী বাহরাইনকে। আর চেয়েছে যতটা সম্ভব কম গোল হজম করতে। সেই লক্ষ্য পূরণে সফলই বলতে হবে জামাল ভূঁইয়াদের।
তাই আজ কুয়ালালামপুরের বুকিত জলিল স্টেডিয়ামে ম্যাচ শেষে বাংলাদেশ কোচ বলেন, ‘আমরা ২–০ গোলে হারলেও ছেলেরা তাদের সেরাটা দিয়েছে। এটা ভালো দিক।’
কী ধরনের স্কোরলাইন আশা করেছিলেন, এমন প্রশ্নে কাবরেরার উত্তর, ‘আমরা গোল না খাওয়ার লক্ষ্য নিয়ে নেমেছিলাম। কিন্তু আমাদের দুটি গোল হজম করতে হয়েছে। আমাদের এখন খুঁজে বের করতে হবে কোথায় ভুল ছিল। পাশাপাশি আমাদের আরও কিছু সুযোগ তৈরি করা উচিত ছিল মনে করি।’
আমরা তাদের (বাংলাদেশ) আটকে রাখতে পেরেছি। তারা কোনো কর্নার পায়নি আমাদের বিপক্ষে। তবে তাদের লম্বা থ্রোগুলো আমাদের জন্য সমস্যা তৈরি করেছে।বাহরাইন কোচ হেলিও ডি সুসা
তবে র্যাঙ্কিংয়ে প্রায় ১০০ ধাপ এগিয়ে থাকা দলের সঙ্গে ‘মাত্র’ ২ গোলে হার আত্মবিশ্বাস বাড়াবে বিশ্বাস বাংলাদেশ কোচের। ১১ জুন তুর্কমেনিস্তানের বিপক্ষে দ্বিতীয় ম্যাচে আরও ভালো ফুটবল খেলার আশাবাদও ব্যক্ত করলেন কাবরেরা। আর বললেন, ‘বাহরাইনের সঙ্গে কোথায় কোথায় ভুলে করেছি, সেটা খুঁজতে আমরা ভিডিও দেখব। কেন গোল খেয়েছি, সেটাও দেখব।’
স্কোরলাইন ৪–০ বা ৫–০ হতে পারত কি না, এমন প্রশ্নে সরাসরি উত্তর না দিয়ে গোলকিপার আনিসুর রহমানের প্রশংসা করেন বাংলাদেশ কোচ, ‘জিকো (আনিসুর রহমান) দারুণ ভালো খেলেছে। আমি খুশি ওর পারফরম্যান্সে। বারের নিচে ও সত্যি খুব আত্মবিশ্বাস নিয়ে খেলায় দল হিসেবে আমরা ভালো করেছি।’
বাংলাদেশ গোলকিপারের প্রশংসা বাহরাইনের পর্তুগিজ কোচ হেলিও ডি সুসার মুখেও। তাঁর কথা, ‘বাংলাদেশের গোলকিপার খুব ভালো খেলেছে। নইলে আমরা আরও গোল পেতে পারতাম। ও আমাদের সামনে প্রতিরোধ গড়েছে।’
এরপর যোগ করেন, ‘বাংলাদেশের সেট পিস, কর্নার নিয়ে আগেই কাজ করেছি আমরা। এবং আমরা তাদের (বাংলাদেশ) আটকে রাখতে পেরেছি। তারা কোনো কর্নার পায়নি আমাদের বিপক্ষে। তবে তাদের লম্বা থ্রোগুলো আমাদের জন্য সমস্যা তৈরি করেছে।’
বাংলাদেশের রক্ষণকাজ এবং সামগ্রিকভাবে ম্যাচের ফল দেখে অবাক হয়েছেন কি না জানতে চাইলে বাহরাইন কোচের উত্তর, ‘আমরা অবাক হইনি। তবে দ্বিতীয়ার্ধে আমাদের গোল করা উচিত ছিল। কারণ, এই অর্ধে আমরা সহজ সুযোগ পেয়েছি। প্রথমার্ধে যেটা আমরা পারিনি।’