>বাহরাইন-বাংলাদেশ ম্যাচে গ্যালারিতে হাজির হয়েছিলেন বিপুলসংখ্যক বাঙালি দর্শক।
বিদেশের মাটিতে খেলতে গিয়ে একটা দল সর্বোচ্চ কেমন সমর্থন পায়? ক্রিকেট মাঠ দলটা ভারত হলে বেশ ভালোই হয়। না হলে প্রতিপক্ষের মাঠে সমর্থনের আশা না করাই ভালো। সে বিচারে বাংলাদেশ ফুটবল দল বাহরাইনে গতকাল যে সমর্থন পেয়েছে, তা অন্য কোনো দল আগে পেয়েছে বলে মনে হয় না। স্বাগতিক বাহরাইনের বিপক্ষে খেলা। অথচ গ্যালারির প্রায় ৯৫ ভাগ দর্শকই গলা ফাটিয়েছে বাংলাদেশের জন্য। ভাবা যায়!
ঈসা টাউনের খলিফা স্পোর্টস সিটি স্টেডিয়াম যেন গতকাল রাতে হয়ে উঠেছিল দর্শকে টইটম্বুর বাংলাদেশের কোনো স্টেডিয়াম। যে মাঠে বাংলাদেশের ফুটবলারদের পায়ে বল গেলেই গ্যালারি থেকে রব উঠে ‘বাংলাদেশ...বাংলাদেশ।’ স্বাগতিকদের বিপক্ষে প্রিয় দেশের খেলা দেখার জন্য গ্যালারিতে হাজির হয়েছিলেন প্রচুরসংখ্যক প্রবাসী বাংলাদেশি। মাহবুবুর রহমান সুফিল, মতিন মিয়াদের প্রতিটি মুভে গলা ফাটিয়েছেন তাঁরা। প্রিয় দলের লড়াই প্রাণভরে উপভোগ করেছেন গ্যালারিতে বসে। বিদেশের মাঠে গ্যালারি থেকে এমন অনুপ্রেরণা পেয়ে রোমাঞ্চিত বাংলাদেশ দলও। মাঠে আসা দর্শকদের জয় উপহার না দিতে পারলেও লড়াকু এক ম্যাচ দেখার তৃপ্তি দিতে পেরেছে দল।
প্রবাসীদের এমন সমর্থন দেখে অবাক হয়েছেন বাংলাদেশ দলের সহকারী কোচ স্টুয়ার্ট ওয়াটকিসি। ইংলিশ এই কোচ এতটাই আপ্লুত হয়েছেন যে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে দর্শকদের একটি ভিডিও শেয়ার করেছেন, ‘বাহরাইনে অনূর্ধ্ব-২৩ দলের জন্য অবিশ্বাস্য সমর্থন। মোহনীয় পরিবেশে পরিপূর্ণ স্টেডিয়াম। শক্তিশালী বাহরাইনের বিপক্ষে হারলেও আমরা তাদের দুর্দান্ত পারফরমেন্স উপহার দিয়েছি।’
প্রবাসী দর্শকদের সবচেয়ে বড় সার্টিফিকেট দিয়েছেন দলের অন্যতম সহকারী কোচ মাসুদ কায়সার। গ্যালারির পুরোটাই নাকি বাংলাদেশের দখলে ছিল, ‘গ্যালারির ৯৫ ভাগ দর্শকই ছিল আমাদের। আমি আমার জীবনে অতিথি দলের এমন সমর্থন পাওয়া আগে কখনোই দেখিনি।’ দেশ ও দেশের বাইরে এমন দর্শক-ই তো চায় বাংলাদেশ ফুটবল দল।