আক্ষরিক অর্থেই বার্সেলোনায় এসে হেরে গেছে রোনালদোহীন রিয়াল মাদ্রিদ। হেরেছে বার্সেলোনারই আরেক জনপ্রিয় ক্লাব এসপানিওলের কাছে। রোনালদো ছাড়া রিয়াল যে কতটা ছন্নছাড়া, এই ম্যাচই তার প্রমাণ। যোগ করা সময়ে নাটকীয়ভাবে ড্র হতে চলা ম্যাচের রং বদলে দেয় এসপানিয়ল। যোগ করা সময়ে জেরার মরেনোর একমাত্র গোলে লিগে টানা চার ম্যাচ জেতার পর হারল রিয়াল।
যদিও শেষের ওই গোল ছাড়া গোটা ম্যাচে উত্তেজনা তেমন ছিল না। কারোরই যেন জয়ের ক্ষুধা ছিল না তেমন। না রিয়াল, না এসপানিওল। প্রথমার্ধে দুই দল ভালো কিছু সুযোগ পেলেও কাজে লাগাতে পারেনি কেউই। তবে ম্যাচের ২৬ মিনিটে রিয়ালের গোলরক্ষক নাভাসের দুর্দান্ত দক্ষতায় অল্পের জন্য বেঁচে যায় রিয়াল। রিয়ালের আক্রমণভাগের সেনানি গ্যারেথ বেল হলুদ কার্ডের দেখা পান শুরুর ৪৫ মিনিটেই। এরপর গোল ছাড়াই শেষ হয় প্রথমার্ধ।
দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে গা ঝাড়া দিয়ে ওঠে এসপানিয়ল। একের পর এক সুযোগ নষ্ট করা বেলকে তুলে করিম বেনজামাকে নামান জিদান। এতে রিয়ালের আক্রমণে গতিও আসে। তবে দুই দলই ফিনিশিংটা দিতে পারছিল না। নয়তো দুই গোলরক্ষক দেয়াল হয়ে দাঁড়াচ্ছিলেন।
আক্রমণ–পাল্টা আক্রমণে ম্যাচ ৯০ মিনিট পার করে। ফলাফল ড্র ধরে নিয়ে অনেকেই তখন টিভি রিমোট হাতে নিয়ে কাঁচুমাচু করছেন। প্রস্তুতি নিচ্ছেন ঘুমের। তখনই নাটকীয় সেই গোল।
ম্যাচের যোগ হওয়া সময়ের তৃতীয় মিনিটে রিয়ালের রক্ষণভাগে নিজেকে একা করে নেন এসপানিওল তারকা মরেনো। তাঁর নেওয়া শটে নাটকীয় সমাপ্তি ঘটে। ১–০ গোলের হার নিয়েই মাঠ ছাড়ে লা–লিগার বর্তমান চ্যাম্পিয়ন রিয়াল মাদ্রিদ।
এই হারে শীর্ষে থাকা বার্সার সঙ্গে রিয়ালের ব্যবধান গিয়ে দাঁড়াতে পারে ১৭ পয়েন্টে। বার্সা যদি পরের ম্যাচটা জেতে। আর এসপানিওল পয়েন্ট টেবিলের ১৫ থেকে উঠে ১৩–তে জায়গা করে নিল।
রিয়ালের এই হার বার্সেলোনা শহর উদ্যাপন করতে পারে যৌথভাবে। আশা খুঁজে নিতে পারে প্যারিসও!