দানি আলভেস, ইভান রাকিটিচ, আদ্রিয়ানো, অ্যালেক্স ভিদাল—এই চারজনের মধ্যে মিল কী? আজ রাত দেড়টায় কোপা ডেল রের ফাইনালে বার্সেলোনা যখন সেভিয়ার মুখোমুখি, এই চারজনের অনুভূতিটা বাকিদের চেয়ে একটু আলাদাই হওয়ার কথা। চারজনই যে সেভিয়ায় আলো ছড়িয়ে বার্সায় নাম লিখিয়েছেন!
সেভিয়ার সঙ্গে বার্সার খেলোয়াড় কেনাবেচার সুসম্পর্ক অনেক আগে থেকেই। সেই নব্বইয়ের দশকে রিকার্ডো সেরনা ও ফার্নান্দো মুনোজ সেভিয়া থেকে বার্সায় এসেছিলেন। বার্সার প্রথম ইউরোপিয়ান কাপ জয়েও অবদান রাখেন তাঁরা। তবে সেভিয়া থেকে বার্সায় আসা প্রথম বড় তারকা অবশ্যই দানি আলভেজ। ২০০৮ সালে প্রায় সাড়ে তিন কোটি ইউরো দিয়ে ব্রাজিলিয়ান রাইটব্যাককে কিনেছিল সেভিয়া। ওই সময় ইউরোর অঙ্কটা একটু বেশিই মনে হয়েছিল। এর পর আলভেজ বার্সার হয়ে যেভাবে খেলেছেন, এখন সেই অঙ্কটা বার্সার কাছে খুব একটা বেশি মনে হওয়ার কথা নয়।
আলভেজের সঙ্গে সেভিয়া থেকে বার্সায় নাম লিখিয়েছেন সেইডু কেইটাও। তাঁকেও ফ্রেঞ্চ ক্লাব লেঁস থেকে ৪০ লাখ ইউরোতে কিনে পরে ১ কোটি ৪০ লাখ ইউরোতে বার্সার কাছে বিক্রি করে দেয় সেভিয়া। এখানেও সেভিয়ার হয়েছে মোটা অঙ্কের লাভ। বার্সার হয়ে তিনটি লিগ ও দুইটি ইউরোপিয়ান কাপ জিতে ২০১২ সালে ন্যু ক্যাম্প ছেড়েছেন কেইটা। আদ্রিয়ানোর ক্ষেত্রেও আরেকটা দাও মেরেছে সেভিয়া। ব্রাজিলের কুরিতিবা থেকে ২৬ লাখ ইউরোতে কিনে বার্সার কাছে বিক্রি করেছে ৯০ লাখ ইউরোতে।
লুইস এনরিকে আসার পরেও সেভিয়া-বার্সা ‘মৈত্রী চুক্তিতেও’ কোনো ছেদ পড়েনি। ইভান রাকিটিচকে যেমন দুই বছর আগে ১ কোটি ৬০ লাখ ইউরোতে দলে ভিড়িয়েছে বার্সা। এর মধ্যেই রাকিটিচ নিজেকে প্রথম একাদশে জায়গাও পাকা করে ফেলেছেন। সর্বশেষ সেভিয়া থেকে বার্সা এনেছিল ডিফেন্ডার অ্যালেক্স ভিদালকে। ভিদাল অবশ্য এখনো দলে জায়গা পাকা করতে পারেননি। দুজনের জন্যই প্রায় ২ কোটি ইউরোর কাছাকাছি খরচ হয়েছে বার্সার। সেভিয়া এখানেও ব্যবসা ভালোই করেছে। সব মিলে সেভিয়া থেকে ১৩ জন সরাসরি নাম লিখিয়েছেন বার্সায়।