বার্সাকে ধাওয়া করেই চলেছে রিয়াল

প্রথমার্ধেই জয় নিশ্চিত করে ফেলেছে রিয়াল। ছবি: টুইটার
প্রথমার্ধেই জয় নিশ্চিত করে ফেলেছে রিয়াল। ছবি: টুইটার
>তিন মাস পর মাঠে নেমেই জয়ের দেখা পেয়েছে রিয়াল মাদ্রিদ। এইবারকে ৩-১ গোলে হারিয়েছেন রামোস-বেনজেমারা

আগের দিন মেসিরা দেখিয়ে দিয়েছিলেন, তিন মাস ফুটবল না খেললেও ফর্ম পড়ে যায়নি বার্সা তারকাদের। একই জিনিস দেখা গেল রিয়াল মাদ্রিদ খেলোয়াড়দের মধ্যেও। এইবারকে হেসেখেলে ৩-১ গোলে হারিয়েছে তাঁরা। ফলে লিগ টেবিলে এখনও বার্সার দুই পয়েন্ট পিছে রিয়াল।


ম্যাচ মূলতঃ প্রথমার্ধেই শেষ হয়ে গিয়েছিল। শুরুর তিন মিনিটের মাথায় ডান পায়ের দুর্দান্ত এক শটে গোল করে দলকে এগিয়ে দেন জার্মান মিডফিল্ডার টনি ক্রুস। বক্সের ভেতর ঢুকে বামপ্রান্তে করিম বেনজেমা দুর্দান্ত পায়ের কাজে অসহায় বানিয়ে দেন এইবার রক্ষণভাগকে। বাকি কাজটা করতে বেগ পাননি ক্রুস। ডান পায়ের মাপা শটে বল জালে জড়ায়।

প্রথম গোলের মতো দ্বিতীয় গোলে রয়েছে বেনজেমার ভূমিকা। স্ট্রাইকারের প্রথাগত কাজ গোল করা ছাড়াও তিনি যে গোল বানিয়ে দেওয়া বা খেলা বানিয়ে দেওয়ার কাজটাও অসাধারণভাবে করতে পারেন, সেটারই প্রতিফলন দেখা গেল দ্বিতীয় গোলে। মাঝমাঠের একটু সামনে থেকে ডান পায়ের মাটিঘেঁষা ক্রস খুঁজে নেয় ডান উইংয়ে গোলরক্ষককে একা পেয়ে যাওয়া এডেন হ্যাজার্ডকে। হ্যাজার্ডও নিঃস্বার্থভাবে বলটা বাড়িয়ে দেন হুট করে স্ট্রাইকারের ভূমিকায় হাজির হওয়া ডিফেন্ডার সার্জিও রামোসের দিকে। রিয়াল অধিনায়কের হালকা টোকায় ২-০ গোলে এগিয়ে যায় তারা।


পরের গোলেও রয়েছে বেনজেমা-হ্যাজার্ড যুগলবন্দীর ভূমিকা। এবং এই গোলটাও করেছেন আরেক ডিফেন্ডার। বেনজেমার বানিয়ে দেওয়া বল পায়ে নিয়ে হ্যাজার্ড শট মারলে এইবারের গোলরক্ষক দিমিত্রোভিচ আটকে দেন। ফিরতি বল চলে যায় আগুয়ান মার্সেলোর পায়ে। বুলেট শট আর আটকানোর সাধ্য ছিল না দিমিত্রভিচের। প্রথমার্ধেই ৩-০ গোলে এগিয়ে যায় রিয়াল।


তিন দিন পর ভ্যালেন্সিয়ার বিপক্ষে ম্যাচ দেখেই কি না, সুবিধাজনক অবস্থানে পৌঁছে খেলোয়াড় পরিবর্তন করা শুরু করেন রিয়াল কোচ জিদান। রাইটব্যাক দানি কারভাহালের জায়গায় মাঠে নামেন ফারল্যান্ড মেন্দি, সার্জিও রামোসের জায়গায় আসেন এডার মিলিতাও। ফলে ম্যাচের লাগাম একটু হলেও এইবারের হাতে চলে যায়। পেদ্রো বিগাসের কল্যাণে একটা গোল শোধ করে বসে এইবার। দ্বিতীয়ার্ধে রিয়াল যে একটু দায়সারাভাবে খেলেছে, সেটা বোঝা গেছে জিদানের কথায়, 'দ্বিতীয়ার্ধে বেশ ভালোই সমস্যা হয়েছে আমাদের। তবে প্রথমার্ধে দুর্দান্ত খেলেছি আমরা। তিন পয়েন্ট পেয়েছি, এটাই সবচেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ। প্রথমার্ধে ৩ গোলে এগিয়ে যাওয়ার কারণেই বোধহয় দ্বিতীয়ার্ধে একটু গা-ছাড়া ভাব দেখা গিয়েছে। তবে এখনো দশ ম্যাচ বাকী আছে।'