>বাবার মতো ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো জুনিয়রও খেলছে জুভেন্টাসের হয়ে। বাবা খেলছেন মূল দলে, ছেলে অনূর্ধ্ব-৯ দলের হয়ে। আর সেই দলের হয়েই গোলের বন্যা বইয়ে দিচ্ছে এই খুদে তারকা
বাবার নাম ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো। বিখ্যাত বাবার ছেলে হলে যা হয়, ছোটবেলা থেকেই মাথার ওপর একটা চাপ এসে সওয়ার হয়ে যায়। বাবার যোগ্য উত্তরসূরি হওয়ার চাপ। বয়স কম হলেও এই চাপের সঙ্গে ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো-তনয়ের ভালোই পরিচিত থাকার কথা। বাবার মতো ভালো ফুটবলার হতে হবে, বাবাকে ছাড়িয়ে যেতে হবে, ছোট থেকেই প্রত্যাশার পারদটা বোঝার কথা ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো জুনিয়রের। পরে কী হবে সেটা বলা যায় না, তবে বাবার দেখানো পথে সে যে ভালোই এগোচ্ছে, সেটা এখন বেশ বোঝা যাচ্ছে।
অনূর্ধ্ব-৯ বয়সী খুদে তারকাদের নিয়ে কিছুদিন আগেই অনুষ্ঠিত হয়েছে ‘ক্যাভো ট্রফি’ নামের এক টুর্নামেন্ট। সে টুর্নামেন্টে অংশ নিয়েছিল জুভেন্টাসের অনূর্ধ্ব-৯ দলও। ফাইনালে শিয়েরি ক্লাবকে ৩-২ গোলের হারিয়ে সে টুর্নামেন্ট জিতে নিয়েছে জুভেন্টাসের খুদে তারকারা। আর পুরো টুর্নামেন্টে ৩ গোল করে সেরা স্ট্রাইকার হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন রোনালদোর ছেলে, ক্রিস্টিয়ানো জুনিয়র।
ছেলের এই সাফল্য যারপরনাই খুশি ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো। ট্রফিসহ ছেলের একটা ছবি ইনস্টাগ্রামে পোস্ট করে লিখেছেন, ‘আমি একজন গর্বিত বাবা।’
বাবার মতো ক্রিস্টিয়ানো জুনিয়রেরও গোল করতে সমস্যা হয় না। জুভেন্টাসের অনূর্ধ্ব-৯ দলের হয়ে এ পর্যন্ত ২৮ ম্যাচ খেলে গোল করেছেন ৫৮টি, ১৮টা গোলে সহায়তাও করেছেন। অর্থাৎ প্রতি ম্যাচে গড়ে ২.৭১ গোলে তার ভূমিকা আছে, সেটা করা হোক বা করানোয়। অভিষেক ম্যাচেই চার গোল করেছিল সে, কিছুদিন আগে এক ম্যাচে করেছে সাত গোল!
এভাবে এগোতে থাকলে বাবার মতো সফল হতে বেগ পেতে হবে না জুনিয়রকে!