>লিভারপুল ফুটবল ক্লাবের আনুষ্ঠানিক পৃষ্ঠপোষক স্টান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংকের উদ্যোগে গতকাল বাংলাদেশে পা রেখেছিলেন ক্লাব কিংবদন্তি রবি ফাওলার।
বাংলাদেশ হ্যান্ডবল স্টেডিয়াম মাঠে কাল দেখা মিলল ঈশ্বরের। পরনে লিভারপুলের ব্যাজ অঙ্কিত ছাইরঙা টি-শার্ট আর ট্রাউজার। একেবারে পাশের বাড়ির মানুষটি যেন! দেখে যে ধারণা হলো, কথা শুনে সেটি আরও গাঢ়। লিভারপুল ঈশ্বর উপাধিটা নিয়ে প্রশ্ন হতেই উত্তর, ‘আমি ব্যাপারটাকে এভাবে দেখি না। নিজেকে দেখি শুধু লিভারপুল থেকে বেড়ে ওঠা একটি ছেলে, লিভারপুলে যার সুন্দর একটা ক্যারিয়ার ছিল। অন্য যে কারও মতো আমি খুব সাধারণ একজন মানুষ।’
বিকেলজুড়ে বাংলাদেশি লিভারপুল সমর্থকদের সঙ্গে তাঁর হাসি-কৌতুক আর ছবি-অটোগ্রাফের আবদার মেটানোও সেটি বলে গেল। ৪৩ বছর বয়সী সাবেক ইংলিশ স্ট্রাইকারের বাংলাদেশে আসা ইংলিশ ক্লাবটির মূল স্পনসর স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংকের উদ্যোগে। লিভারপুলের কিংবদন্তিদের বিশ্বজুড়ে সমর্থকদের কাছে নিয়ে যাওয়ার প্রকল্পের অংশ হিসেবে গত বছর জন বার্নসকে বাংলাদেশে এনেছিল স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংক, এবারের অতিথি ফাওলার। এই প্রথম বাংলাদেশে আসা। পরশু রাতে এসে আজ রাতেই ফিরে যাচ্ছেন। অনেক কর্মসূচির মধ্যে এই অল্প সময়ে বাংলাদেশ আর কতটুকুই-বা দেখা হয়েছে! তবে অতটুকু অভিজ্ঞতাতেই বাংলাদেশকে দিয়ে গেলেন দুর্দান্ত অতিথিসৎকারের সনদ।
গত বছর এই স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংকের উদ্যোগেই বার্নস এসেছিলেন বাংলাদেশে। এবার আসলেন ফাওলার। ভবিষ্যতে বার্নস-ফাওলারের মতো পুরো লিভারপুল দলকে কি বাংলাদেশে নিয়ে আসা যায় না প্রাক-মৌসুমের কোনো ম্যাচ খেলার জন্য? প্রশ্নের উত্তরে কৌতুক মাখা কণ্ঠে ফাওলার উল্টো জিজ্ঞেস করে বসলেন, ‘কেন আমি এসেছি বলে আপনারা খুশি নন?’ এরপরে বেশ ইতিবাচক শোনাল ফাওলারের কণ্ঠস্বর, ‘সম্ভাবনা যে একদমই নেই তা বলব না। লিভারপুল সব সময়েই ভিন্ন ভিন্ন জায়গায় ভিন্ন ভিন্ন দেশের ভক্তদের সঙ্গে দেখার করার বিষয়টাকে প্রাধান্য দেয়। আমার মনে হয় এ বিষয়ে পৃষ্ঠপোষকেরা একটা ভালো ভূমিকা পালন করতে পারে। এর মধ্যেই এশিয়ার কিছু দেশে লিভারপুল প্রাক-মৌসুম ম্যাচ খেলার জন্য এসেছে (থাইল্যান্ড, মালয়েশিয়া)। তাই সময় সুযোগ হলে একদিন হয়তো লিভারপুলের পুরো দল বাংলাদেশে এসে খেলেও যেতে পারে!’
কেমন লাগছে ফাওলারের বাংলাদেশে এসে? এই প্রথম বাংলাদেশে আসা। পরশু রাতে এসে আজ রাতেই ফিরে যাচ্ছেন আবার। অনেক কর্মসূচির মধ্যে এই কয়দিনে বাংলাদেশ আর কতটুকুই বা দেখা হয়েছে! তবে অতটুকু অভিজ্ঞতাতেই বাংলাদেশকে দিয়ে গেলেন দুর্দান্ত অতিথি সৎকারের সনদ, ‘সব সময় ভিন্ন ভিন্ন দেশে গিয়ে লিভারপুল সমর্থকদের সঙ্গে দেখা করতে পছন্দ করি আমি। বাংলাদেশে এসে অসাধারণ লাগছে আমার। এককথায় আমি মুগ্ধ এখানে এসে। সময় সুযোগ পেলে আবার অবশ্যই আসব এখানে!’
সব শেষে বাংলাদেশের ভক্ত সমর্থকদের জন্য ফাওলারের কণ্ঠ থেকে ঝরল কৃতজ্ঞতা, ‘আমার মনে হয় না আমি বাংলাদেশি ভক্তদের যথেষ্ট ধন্যবাদ দিতে পারব। আমি কৃতজ্ঞ এখানে আসতে পেরে। কৃতজ্ঞ আপনাদের সমর্থন পেয়ে। বছরের পর বছর আপনারা দলটার প্রতি বিশ্বাস রেখে চলেছেন, সমর্থন জুগিয়ে চলেছেন। আমরা ঋণী।’