কিংবদন্তি ফুটবলার ডিয়েগো ম্যারাডোনা আর নেই। কিন্তু তাঁর স্মৃতিগুলো তো রয়ে গেছে। রয়ে যাবে আজীবন। ম্যারাডোনার ফেসবুকের টাইমলাইনে ২০১৮ সালের ১৫ মার্চের একটি পোস্টে চোখ আটকে যাবে। সেদিন সংযুক্ত আরব আমিরাত সফর করা বাংলাদেশ ইউনিফাইড ফুটবল দলের সঙ্গে একটি ছবি পোস্ট করেছিলেন ম্যারাডোনা। তখন তিনি ছিলেন আবুধাবির আল ফুজাইরা ক্লাবের কোচ।
২০১৯ সালে সংযুক্ত আরব আমিরাতের আবুধাবিতে অনুষ্ঠিত হয় স্পেশাল অলিম্পিক। এ উপলক্ষে ২০১৮ সালে ৩০টি দেশ নিয়ে এক মিনি ফুটবল আসরের আয়োজন করা হয়। সেখানে চ্যাম্পিয়নও হয়েছিল ম্যারাডোনার সাক্ষাৎ পাওয়া বাংলাদেশ দল। তখন ফুজাইরা ক্লাবের মাঠেই অনুশীলন করেছিলেন বাংলাদেশের ফুটবলাররা। বাংলাদেশি ফুটবলারদের সঙ্গে দশ মিনিটের বেশি সময় কাটিয়েছিলেন বিশ্বকাপজয়ী আর্জেন্টাইন অধিনায়ক। স্বতঃস্ফূর্তভাবে খেলোয়াড়দের সঙ্গে তুলে ছিলেন অনেক ছবিও।
সেদিনের ছবি পোস্ট করে ম্যারাডোনা লিখেছিলেন, ‘বাংলাদেশ প্রতিনিধিদলের বন্ধুদের সঙ্গে। যারা ২০১৯ সালে আবুধাবিতে অনুষ্ঠিত স্পেশাল অলিম্পিকে অংশগ্রহণ করবেন। তাঁদের আল ফুজাইরা ক্লাবে আমাদের সঙ্গে অনুশীলনের আমন্ত্রণ জানানো হয়। খেলাধুলা একটি বিস্ময়কর বিষয়। কারণ সবকিছু অতিক্রম করে এটি আমাদের আরও কাছাকাছি এবং একসঙ্গে নিয়ে আসে। সবার জন্য চুম্বন। বিশেষ করে যাঁরা প্রতিদিন তাঁদের নিজেদের সীমা অতিক্রম করার চেষ্টা করেন।’
ম্যারাডোনাকে কাছে পাওয়ার সে স্মৃতি এখনো মলিন ইউনিফাইড দলের কোচ আবদুর রাজ্জাকের কাছে। টুর্নামেন্টে এতগুলো দেশ থাকলেও ম্যারাডোনা নাকি শুধু এসেছিলেন বাংলাদেশের ফুটবলারদের সঙ্গেই দেখা করতে। বাংলাদেশ চ্যাম্পিয়ন হলে ম্যারাডোনা খুশি হবেন, বিদায় নেওয়ার সময় জানিয়ে গিয়েছিলেন তা–ও।
সে মুহূর্তটি সম্পর্কে আবদুর রাজ্জাক বলেন, ‘আমাদের অনুপ্রেরণা দেওয়ার জন্য এসেছিলেন। আমাদের সঙ্গে প্রায় ১৫–২০ মিনিটের মতো ছিলেন। তিনি এলেন আর আমাদের জয় করে চলে গেলেন।’ যাওয়ার সময় বলেছিলেন, ‘তোমরা চ্যাম্পিয়ন হলে আমি খুশি হব।’ আরব আমিরাতকে হারিয়ে আমরা চ্যাম্পিয়নও হয়েছিলাম।
কোচ রাজ্জাক ম্যারাডোনাকে বাংলাদেশে আমন্ত্রণও জানিয়েছিলেন, ‘তুমি কি বাংলাদেশে আসবে?’ জবাবে ম্যারাডোনা বলেছিলেন, ‘শুনেছি বাংলাদেশে অনেক আর্জেন্টিনার সমর্থক আছে। আমন্ত্রণ পেলে অবশ্যই যাব।’