বিশ্বকাপ প্রাক্–বাছাইয়ের ফিরতি পর্বের ম্যাচে আগামীকাল মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ ও লাওস। বাংলাদেশের বিপক্ষে মাঠে নামার আগে নিজেদের শঙ্কার কথা জানিয়েছেন লাওসের কোচ। বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে ম্যাচটি শুরু হবে সন্ধ্যা সাতটায়।
সাধারণত প্রতিপক্ষের আক্রমণভাগ বা বিশেষ কোনো খেলোয়াড় নিয়ে চাপে থাকেন কোচরা। কখনো কখনো প্রতিপক্ষের সেটপিসগুলোও ধরিয়ে দেয় আতঙ্ক। কিন্তু তাই বলে থ্রো ইন নিয়ে ভয়! হ্যাঁ, বাংলাদেশের লম্বা থ্রো ইন নিয়েই আতঙ্কে আছেন লাওসের কোচ ভারাদারাজি সুন্দ্রামারথি। আজ ম্যাচপূর্ব সংবাদ সম্মেলনে ভয়ের কথাটা জানাতে কোনো কার্পণ্য করেননি লাওস জাতীয় দলের কোচ।
বিশ্বকাপ প্রাক্–বাছাইপর্বে প্রথম পর্বের ম্যাচে ১-০ গোলের জয় নিয়ে এগিয়ে আছে বাংলাদেশ। ভিয়েনতিয়েনে অনুষ্ঠিত সে ম্যাচে দুই পাশ থেকে লম্বা থ্রো করে বক্সের মধ্যে বল ফেলেছেন বাংলাদেশের লেফটব্যাক রহমত মিয়া। রহমতের থ্রো যেন প্রতিপক্ষের জন্য হয়ে উঠেছিল ‘হাতবোমা’। বক্সের আশপাশে পাওয়া ফ্রি কিক বা কর্নারের মতোই কার্যকর সেই থ্রো। টাচ লাইন থেকে দ্রুতগতির এমন বলে যেকোনো দলের রক্ষণভাগই কেঁপে ওঠার কথা!
এর আগে সাফ ফুটবলে পাকিস্তানের বিপক্ষে ১-০ গোলের জয়ের ম্যাচে গোলটি এসেছিল লম্বা থ্রো ইন থেকেই। তবে সেদিন থ্রো নিয়েছিলেন রাইটব্যাক বিশ্বনাথ। লম্বা থ্রো করে বিশেষ নজরও কেড়েছিলেন। কিন্তু কার্যকর থ্রো নেওয়াতে রাইটব্যাক বিশ্বনাথকে ছাপিয়ে গেছেন লেফটব্যাক রহমত। তাঁর থ্রোগুলো লাওস শিবিরে কতটা ভয় ধরিয়ে দিয়েছে, তা লাওসের সিঙ্গাপুরের কোচ সুন্দ্রামারথির কথাতেই পরিষ্কার, ‘বাংলাদেশের একজন লম্বা থ্রো ইন করেন। তাঁকে নিয়ে আমাদের বিশেষ পরিকল্পনা করতে হয়েছে। তাঁর থ্রোগুলো খুবই বিপজ্জনক। এটা ঠেকানোর জন্য এই কয়েক দিনে আমরা বিশেষ প্রস্তুতি নিয়েছি।’
স্বাগতিকদের হারিয়ে ঢাকা থেকে জয় নিয়ে ফিরবেন বলেও আশাবাদী সুন্দ্রামারথি। কিন্তু আগামীকালের ম্যাচে প্রশ্ন কমন না–ও পড়তে পারে লাওস কোচের। কারণ, আজ বাংলাদেশ দলের অনুশীলন দেখে স্পষ্ট, আগামীকালের ম্যাচে থ্রো ইন বিশেষ পরিকল্পনা আছে বাংলাদেশের। কৌশল বদলে ফিরতি পর্বে থ্রো নেবেন রবিউল হাসান, যাঁর একমাত্র গোলেই লাওস থেকে জয় নিয়ে ফিরেছে বাংলাদেশ। এই মিডফিল্ডারের থ্রো ইন রহমতের চেয়েও গতিসম্পন্ন। না হলে কি আর রহমতকে বাদ দিয়ে থ্রো ইনের জন্য প্রস্তুত করা হয় রবিউলকে। অতএব সিলেবাসের বাইরের প্রশ্ন দিয়েই লাওস–বধের কৌশল আঁকছে বাংলাদেশ কোচ জেমি ডে।
লাওসের মাঠে অ্যাওয়ে ম্যাচে ১-০ গোলে জিতে আসায় মানসিকভাবে এগিয়ে থেকেই ম্যাচ শুরু করবে বাংলাদেশ। এর ওপর ম্যাচটা নিজেদের মাঠ বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামে। ঘরের মাঠে নিজেদের দর্শকদের সামনে খেলার একটা সুবিধা তো আছেই। এ ছাড়া পরিসংখ্যানও বাংলাদেশের পক্ষে। শেষ চার মুখোমুখি লড়াইয়ে বাংলাদেশের দুই জয়ের বিপরীতে লাওসের জয় একটি। অন্য ম্যাচটি ড্র। সবকিছু মিলিয়ে ফেবারিটের বিবেচনায় এক ধাপ এগিয়ে রাখতেই হবে জামাল ভূঁইয়াদের।