>মতিন মিয়াকে দলের সম্পদ বলে মনে করেন তাঁর ক্লাব বসুন্ধরা কিংসের স্প্যানিশ কোচ অস্কার ব্রুজোন।
শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে জোড়া গোলের পর থেকেই মতিন মিয়া বন্দনা চলছে। আসলে অমন দুই গোলের পর তাঁকে নিয়ে প্রশংসা না করে পারা যায় না। জাতীয় দলের জার্সিতে মতিন ঝলক প্রথম দেখা গেলেও ক্লাব ফুটবলে এই ফরোয়ার্ড আলো কেড়ে নিয়েছেন অনেকেই আগেই। এর সবচেয়ে বড় সাক্ষী বোধহয় তাঁর ক্লাব বসুন্ধরা কিংসের স্প্যানিশ কোচ অস্কার ব্রুজোন। দ্রুত গতির এই ফরোয়ার্ডকে যে কোন দলের জন্যই বড় সম্পদ মনে করেন ৪২ বছর বয়সী এই স্প্যানিশ।
ব্রুজোনের অধীনে এবার বসুন্ধরায় দ্বিতীয় মৌসুম শুরু করেছেন মতিন। ব্রুজোনের চেয়ে মতিনকে আর ভালো কেই-বা জানেন! ২১ বছরের এই ফরোয়ার্ডকে ইচ্ছে মতো খেলার সুযোগ দেওয়াতেই বসুন্ধরার জার্সিতে উজ্জ্বল দেখা যায়। শেষ মৌসুমে বসুন্ধরার ফরোয়ার্ড লাইনেই ছিলেন কোস্টারিকার জার্সিতে রাশিয়া বিশ্বকাপ খেলা দানিয়েল কলিনদ্রেস ও ব্রাজিলিয়ান মার্কোস ভিনিসিয়ুস। কিন্তু তাঁদের চেয়ে কোনো অংশে কম যাননি মতিন। বিশ্বকাপ খেলে আসা কলিনদ্রেসের সমান ১১ গোল করেছিলেন তিনি।
ঘরোয়া ফুটবলে ছড়ি ঘোরানো সে ফুটবলার এবার জাতীয় দলের জার্সিতেও জ্বলে উঠেছেন। ব্যক্তিগত দ্বিতীয় গোলটি করেছিলেন সলো মুভে। ৭ সেকেন্ডে ৫৫ মিটার দূরত্ব পাড়ি দিয়ে ঠাণ্ডা মাথায় বলটি জালে জড়িয়ে ছিলেন। এমন দ্রুত গতি ও গোলের ক্ষুধা সম্পন্ন ফরোয়ার্ডকে দলের জন্য সবচেয়ে বড় সম্পদ বলছেন অস্কার , ‘মতিন এমন একজন খেলোয়াড় , যাকে স্বাধীনতা দেওয়া হলে গোলের জন্য ক্ষুধার্ত হয়ে ওঠে। বল নিয়ে বা বল ছাড়া তাঁর গোলমুখী দ্রুত গতির দৌড় যে কোনো দলের জন্য সবচেয়ে বড় সম্পদ।’ মতিন তাঁর পারফরমেন্সের ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে পারলে বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপে বাংলাদেশ শিরোপার দাবিদার বলেও মনে করেন তিনি।
স্প্যানিশ ক্লাব মায়োর্কার সহকারী কোচ হিসেবে কাজ করার অভিজ্ঞতা আছে উয়েফা ‘প্রো’ লাইসেন্সধারী অস্কারের। এ ছাড়া দক্ষিণ এশিয়ার মালদ্বীপ প্রিমিয়ার লিগের চ্যাম্পিয়ন ক্লাব নিউ রেডিয়ান্ট ও ভারতীয় ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্লাব মুম্বাইয়ের কোচ হিসেবে কাজ করারও অভিজ্ঞতা আছে তাঁর। এমন কোচের কাছ থেকে এমন বড় সার্টিফিকেট পাওয়া মতিনের জন্য বড় অর্জনই বটে। দেখা যাক আজ ফাইনালে ওঠার লড়াইয়ে বুরুন্ডির বিপক্ষে কতটা জ্বলে উঠতে পারেন মতিন।