ঊরুতে চোট থাকার কারণে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে মাঠে নামা হয়নি জামাল ভূঁইয়ার। নিয়মিত অধিনায়ককে ছাড়াই লঙ্কানদের ৩-০ গোলে উড়িয়ে দিয়ে সেমিফাইনালে নাম লিখিয়েছে বাংলাদেশ। ফাইনালে ওঠার লড়াইয়েও বুরুন্ডির সঙ্গে মাঠে নামতে পারবেন কি না জামাল, সে আশঙ্কা জেগেছিল! আশার কথা আগামীকাল মাঠে নামতে যাচ্ছেন এই হোল্ডিং মিডফিল্ডার।
আশা বাড়িয়ে দিয়েছে তাঁর গতকালের অনুশীলন। দলের সঙ্গে পুরো সেশন অনুশীলন করেছেন জামাল। বল ওয়ার্কেও দেখা গেছে তাঁর লম্ফঝম্ফ। নিজেও খেলার ব্যাপারে আশাবাদী জামাল, ‘এখন ভালো আছি। দলের সঙ্গে অনুশীলন করলাম। কিছুটা অস্বস্তি থাকলেও সেমিফাইনালে খেলতে পারব বলে আশাবাদী।’
ফাইনালের টিকিট পেতে প্রায় অসাধ্যকে সাধন করতে হবে জামাল ভূঁইয়াদের। প্রতিপক্ষ বুরুন্ডি র্যাঙ্কিংয়ে বাংলাদেশের চেয়ে এগিয়ে ৩৬ ধাপ। যদিও ঢাকায় আসা দলটিকে তাদের মূল জাতীয় দলের ছায়া দলও বলা যায় না। তবু খেলার ভারে টুর্নামেন্টে এখন পর্যন্ত সেরা দল আফ্রিকান এই দেশই। প্রতিপক্ষ নিয়ে জামালের বিশ্লেষণ, ‘বুরুন্ডি খুবই আক্রমণাত্মক দল। বিশেষ করে ওদের জসপিন। ইতিমধ্যে ৪টি গোল করেছে। ওরা শারীরিকভাবে আমাদের চেয়ে অনেক এগিয়ে। আমরা সেভাবেই প্রস্তুতি নিচ্ছি।’
শুধু ব্যক্তি জসপিনের গোলের বিচারেই নয়, দলীয় পরিসংখ্যানেও এগিয়ে আছে তারা। দুই ম্যাচে ২ গোল হজমের বিপরীতে মোট গোল করেছে সাতটি। স্বাভাবিকভাবে বাংলাদেশের রক্ষণভাগকে দিতে হবে বড় পরীক্ষা। অথচ এমন ম্যাচেই কি না বাংলাদেশ কোচকে খুঁজতে হচ্ছে একজন সেন্টারব্যাক। অসুস্থ ইয়াসিন খান আগেই টিম হোটেল ছেড়েছেন। শেষ ম্যাচে লাল কার্ড দেখে মাঠ ছাড়ায় নিষেধাজ্ঞার খড়্গ তপু বর্মণের ওপর। দল যে সমস্যায় ভুগছে, তা জামালের কথায় স্পষ্ট, ‘আমাদের ডিফেন্ডারদের বড় পরীক্ষা দিতে হবে। তপু নেই। তার বিকল্প ভাবছে কোচ। রায়হান, মানিক আর সুশান্ত আছে। কোচ ভেবে দেখছে কাকে সেন্টারব্যাকে খেলাবে।'
বাস্তবতার ওপর কারও হাত নেই। আশার কথা হলো, আগামীকাল ফিরতে যাচ্ছেন জামাল। তবে গত ম্যাচে তাঁর বদলে অভিষেক হয়েছিল মানিক হোসেনের। অভিষেকে দুর্দান্ত খেলে কোচের সুনজরে আছেন। আগামীকালও মানিক থাকছেন একাদশে। তাঁর সঙ্গে জামালের ফেরায় মাঝমাঠের ভারসাম্য বাড়বে, এটা সুস্পষ্ট। আর দুজন যেন একই সঙ্গে খেলতে পারেন, বিশ্বস্ত সূত্রমতে সেই ফরমেশনের দিকেই হাঁটতে যাচ্ছেন জেমি ডে।