ভাজগেন সার্জসিয়ান স্টেডিয়ামের ম্যাচটি নিয়ে কারও খুব একটা আগ্রহ থাকার কথা না। শুধু হেনরিক মাখিতারিয়ানের উপস্থিতিই আগ্রহ জন্মাচ্ছিল। আর্মেনিয়ার সেরা তারকা খেলছেন নিজেদের দর্শকের সামনে। মাখিতারিয়ানকে উল্টো দর্শক হয়ে দেখতে হলো এক রেকর্ড। আর্মেনিয়াকে ১-০ গোলে হারিয়ে প্রথম কোনো প্রতিযোগিতামূলক ম্যাচ জিতল জিব্রলটার।
ম্যাচে ৭৮ ভাগ সময় বল দখল ছিল আর্মেনিয়ার। ৩৫টি শট নিয়েও কাজে লাগাতে পারেনি দেশটি। ৫০ মিনিটে পেনাল্টি থেকে গোল করেছিলেন জিব্রলটার অধিনায়ক জোসেফ চিপোলিনা। সেটিই জিব্রলটার ইতিহাস রচনার জন্য যথেষ্ট হয়ে গেছে। প্রতিযোগিতামূলক ম্যাচে এর আগে ২২টি ম্যাচ খেলে প্রতিবারই হেরেছে জিব্রলটার। প্রীতি ম্যাচের কথা মাথায় আনলেও আন্তর্জাতিক ফুটবলে মাত্র তৃতীয় জয় দেশটির। ইউরোপীয় পরাশক্তিদের মাঝে খেলতে বাধ্য হওয়া এই দেশের সর্বশেষ জয়টি ছিল ২০১৪ সালে, মাল্টার বিপক্ষে। র্যাঙ্কিংয়ে বাংলাদেশের পেছনে থাকা জিব্রলটার (১৯৮) ৯৮ ধাপ এগিয়ে থাকা আর্মেনিয়াকে হারিয়ে অনেক লম্বা লাফই দেবে। আর উয়েফা নেশনস কাপে গুরুত্বপূর্ণ তিনটি পয়েন্ট প্রাপ্তি তো আছেই।
জিব্রলটার তবু জয়হীন ছিল প্রতিযোগিতামূলক ম্যাচে, সেটাও মাত্র ২২ ম্যাচে। ফলে বিশ্ব রেকর্ডের ধারেকাছে যেতে পায়নি তারা। সে রেকর্ডটি বহু কষ্টে (!) গড়েছে অ্যান্ডোরা। ২০০৬ সালে মেসিডোনিয়াকে বিশ্বকাপ বাছাইপর্বে হারানোর পর ১১ বছর ফুটবলে জয় পায়নি দেশটি। এ সময়ে প্রীতি ও বাছাইপর্ব মিলিয়ে ৮৬টি ম্যাচ খেলেছে তারা। অবশেষে ২০১৭ সালের ২২ ফেব্রুয়ারি সান ম্যারিনোকে তাদেরই মাঠে ২-০ গোলে হারিয়েছিল অ্যান্ডোরা। সে জয়ের পর পাল্টে গেছে দেশটির ফুটবল। ২০৩ র্যাঙ্কিংয়ে থাকা দলটি গত ২০ মাসে নিজেদের ১২৮তম অবস্থানে নিয়ে এসেছে!
কিন্তু সে ম্যাচের অন্য দলের ভাগ্য বদলায়নি। সে ম্যাচের আগে ২০২ র্যাঙ্কিংয়ে থাকা সান ম্যারিনো আরও ২ ধাপ নিচে এখন। ২০০৪ সালের পর ফুটবলে আর জয়ের দেখা মেলেনি তাদের। এ সময়ে শুধু ২০১৪ সালে এস্তোনিয়ার সঙ্গে একটি ম্যাচ ড্র করেছে তারা। অ্যান্ডোরার ভাগ্য বদলে দেওয়া সে ম্যাচের পর আরও ১০ ম্যাচ খেলে প্রতিটিতেই হেরেছে তারা। ফলে সান ম্যারিনোর জয়হীন থাকার রেকর্ড এখন ৮৫ ম্যাচ!
আগামী পরশু লুক্সেমবার্গের বিপক্ষে জয় না পেলে অ্যান্ডোরার রেকর্ড ছুঁয়ে ফেলবে সান ম্যারিনো!