>ফাইনালে টাইব্রেকারে তাজিকিস্তানকে ৪-৩ গোলে হারিয়ে বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপ চ্যাম্পিয়ন ফিলিস্তিন
বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপ আন্তর্জাতিক ফুটবল টুর্নামেন্টে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে ফিলিস্তিন। আজ সন্ধ্যায় বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ ফাইনালে তারা টাইব্রেকারে ৪-৩ গোলে হারিয়েছে তাজিকিস্তানকে। নির্ধারিত ও অতিরিক্ত সময়ের খেলা ছিল গোলশূন্য ড্র।
ফাইনালে যে রকম ফুটবল প্রত্যাশা থাকে দর্শকদের, তার পুরোটাই পাওয়া গেছে আজ বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে। নির্ধারিত ৯০ মিনিট, অতিরিক্ত ৩০ মিনিট আক্রমণ–পাল্টা আক্রমণ থাকলেও গোল পায়নি কোনো দল। শেষ পর্যন্ত টাইব্রেকারে মীমাংসা হয় শিরোপার। ফাইনাল শেষে চ্যাম্পিয়ন ফিলিস্তিন দলের অধিনায়কের হাতে ট্রফি তুলে দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
অতিরিক্ত সময়ে ফাইনাল নিয়ে যেতে পারাই তাজিকদের বড় সাফল্য। কারণ ১০ জন নিয়ে ৮৬ মিনিট খেলেছে তাজিকিস্তান। ৩৪ মিনিটে ১০ জনের দল হওয়ার আগে ভালো খেলেছে ফিফা র্যাঙ্কিংয়ে ১২০তম দেশটি, লাল কার্ডের পরও যথেষ্ট ভালো খেলেছে তারা। ফিলিস্তিন অবশ্য এই তাজিকদের গ্রুপ পর্বে হারিয়েছে ২-০ গোলে। কিন্তু ফাইনালে সেই দলটির বিপক্ষে একজন বেশি নিয়ে খেলেও গোল পায়নি র্যাঙ্কিংয়ে ১০০তম ফিলিস্তিন।
২০০৬ সালে এই মাঠেই এএফসি চ্যালেঞ্জ কাপ জিতেছিল তাজিকিস্তান। জয়ের স্মৃতিটা অনেক চেষ্টা করেও ফিরিয়ে আনতে পারেনি দলটি। কিন্তু মন কেড়েছে জনতার। ১০ জন নিয়ে এত দীর্ঘ সময় লড়াই করা সত্যিই অসাধারণ। ৩৪ মিনিটে ফাইনালের গতি কিছুটা থমকে যায় উত্তেজনাময় এক ঘটনায়। তাজিকিস্তানের অধিনায়ক ফাতখুল্লেভ ফাতখুল্লোকে কড়া ট্যাকল করেন ফিলিস্তিনের মিডফিল্ডার সামেহ মারাহ। দুজনই পড়ে যান। উঠে দাঁড়িয়েই ক্ষুব্ধ তাজিক অধিনায়ক গুঁতো মেরে বসেন মারাহকে। ফিলিস্তিনের মিডফিল্ডার মোহামেদ রশিদ এসে এক তাজিক খেলোয়াড়কে ধাক্কা মারলে উত্তেজনা বাড়ে। খেলোয়াড়ের ভিড়ে ফিলিস্তিনের এক খেলোয়াড়কে লাথি মেরে বসেন স্ট্রাইকার এরগাশভ জাহঙ্গীর। বাংলাদেশের রেফারি মিজানুর রহমান লাল কার্ড দেখালেন ঘটনার উৎপত্তি যিনি ঘটিয়েছেন সেই তাজিক অধিনায়ককে। হলুদ কার্ড দেখান ফিলিস্তিন মিডফিল্ডার রশিদকে, যিনি ধাক্কা দিয়েছেন। কিন্তু লাথি মারা তাজিক স্ট্রাইকার ‘নাম্বার টেন’ এরশাদের জাহংগীর বেঁচে গেলেন!
একটি লাল কার্ডই যেকোনো দলের সর্বনাশের জন্য যথেষ্ট। কিন্তু সেই সর্বনাশের দুয়ারে দাঁড়িয়েও তাজিকরা ১০ জন নিয়ে বুক চিকিয়ে লড়েছে গোলের নেশায় বারবার উঠে আসা ফিলিস্তিনের সঙ্গে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত টাইব্রেকার নামের ভাগ্য পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে পারেনি মধ্য এশিয়ার দেশটি।