বিশ্বকাপ থেকে আরেকটু হলেই বাদ পড়ে যেত জার্মানি। দ্বিতীয় রাউন্ডে ওঠার জন্য গতকাল সুইডেনের বিপক্ষে জয়ের কোনো বিকল্প ছিল না তাদের। প্রথমে সুইডিশরা এক গোলে এগিয়ে গেলেও পরে দুর্দান্তভাবে ফিরে এসে নিজেদের বিশ্বকাপ–স্বপ্ন জিইয়ে রেখেছে তারা। এ জন্য চাইলেই সুইডিশ মিডফিল্ডার জিমি দুরমাজকে তারা একটু ধন্যবাদ দিতেই পারে কিন্তু!
অলা তইভনেনের গোলে পিছিয়ে পড়ার পর মার্কো রয়েসের গোলে সমতায় ফেরে জার্মানরা। ম্যাচের একদম শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত মনে হচ্ছিল, ড্র হয়েই শেষ হবে ম্যাচটা। আর ড্র হলে জার্মানির বিশ্বকাপ–স্বপ্ন মোটামুটি শেষই হয়ে যেত। এ সময়েই জার্মানির ‘ত্রাতা’ হয়ে আসেন সুইডিশ মিডফিল্ডার জিমি দুরমাজ। নিজেদের ডি-বক্সের একটু বাইরে খামোখাই ফাউল করে বসেন জার্মান স্ট্রাইকার টিমো ভেরনারকে, ম্যাচের তখন মাত্র আধা মিনিট বাকি। সেই ফ্রিকিকেই দুর্দান্ত এক গোল করে সুইডেনের নাকের ডগা থেকে দু-দুটো অমূল্য পয়েন্ট ছিনিয়ে আনেন ক্রুস। আর এ কারণেই দুরমাজের প্রতি ক্ষিপ্ত হয়েছেন সুইডেনের সমর্থকেরা।
এর মধ্যেই দুরমাজের ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্টের সর্বশেষ পোস্টে তিন হাজারের বেশি মন্তব্য করেছেন সুইডেনের বেশ কিছু উগ্র সমর্থক এবং প্রতিটি মন্তব্যেই দুরমাজকে প্রচণ্ডভাবে হেনস্তা করা হয়েছে গালিগালাজ, বর্ণবাদী খোঁটা দেওয়ার মাধ্যমে। কেউ কেউ আবার দিয়েছেন মৃত্যুর হুমকিও!
তবে এই মিডফিল্ডার বিষয়টাকে একদমই পাত্তা দিতে চাইছেন না, ‘বিশ্বকাপে আমি আমার দেশের একজন প্রতিনিধি হতে পেরে গর্বিত। বাকিরা কোথায় কী বলল না বলল, তাতে আমার কিছু যায় আসে না।’
এই পরিস্থিতিতে সতীর্থদের সমর্থনও পেয়েছেন দুরমাজ। জন গিদেতি বলেছেন, ‘ফ্রিকিকের জন্য দুরমাজকে দোষ দেওয়াটা একদমই অবান্তর। আমরা জানি দুরমাজ প্রতিদিন অনুশীলনের সময়ে এই দেশকে প্রতিনিধিত্ব করার জন্য কী পরিশ্রম করে, সে সব সময় সর্বোচ্চটা দেওয়ার চেষ্টা করে। এটা একটা দুর্ভাগ্যের বিষয় যে ম্যাচের একদম শেষ মুহূর্তে দুরমাজের ওই ট্যাকলটার কারণেই জার্মানি ফ্রিকিক পায়!’