>বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে ফ্রান্সের কাছে হেরে বিদায় নিয়েছে বেলজিয়াম। এ ম্যাচে হারের জন্য ফ্রান্সের রক্ষণাত্মক ফুটবলকে কাঠগড়ায় তুলেছেন বেলজিয়ামের গোলরক্ষক থিবো কোর্তোয়া
পরাজিত নয়, বিজয়ীদের হাতেই লেখা হয় ইতিহাস। কালকের সেমিফাইনালের কথাই ধরুন, এই ম্যাচের ইতিহাস ফ্রান্সের জয়গান গাইবে। কিন্তু বেলজিয়ামের গোলরক্ষক থিবো কোর্তোয়া তা মানতে নারাজ। তাঁর দাবি, ফ্রান্সের জয়টা ‘ফুটবলের জন্য লজ্জা’!
বিশ্বকাপে বেলজিয়ামের গোলপোস্টে আস্থার প্রতীক হয়ে ছিলেন কোর্তোয়া। ব্রাজিলের বিপক্ষে কোয়ার্টার ফাইনালে দারুণ কিছু সেভ করেছিলেন। কাল ফ্রান্সের বিপক্ষে সেমিফাইনালেও দেয়াল হয়ে দাঁড়িয়েছিল কোর্তোয়ার বিশ্বস্ত দুটি হাত। প্রথমার্ধেই দুটি দুর্দান্ত সেভ করেছেন তিনি। বিরতির পরও ত্রাণকর্তা হিসেবে দেখা গেছে তাঁকে। কিন্তু বেলজিয়ামের এই গোলরক্ষক ফ্রান্সের খেলার ধাঁচে ভীষণ বিরক্ত। তাঁর মতে, দিদিয়ের দেশমের দল কোনোভাবেই আক্রমণাত্মক ফুটবল খেলেনি।
ঠিক এ কারণেই ফ্রান্সের ওপর চটেছেন কোর্তোয়া। ৫১ মিনিটে স্যামুয়েল উমতিতি কর্নার থেকে জয়সূচক গোল এনে দেন ফ্রান্সকে। এ ছাড়া ম্যাচের প্রায় গোটা সময় ফরাসিরা রক্ষণ আগলে খেলেছে বলেই মনে করছেন কোর্তোয়া, ‘এটা হতাশার ম্যাচ। ফ্রান্স তো খেলেইনি। ১১ জন খেলোয়াড় নিয়ে গোলপোস্টের ৪০ মিটারের মধ্যে তাঁরা বেলজিয়ামের আক্রমণগুলো ঠেকিয়ে গেছে।’
ফ্রান্স প্রতি-আক্রমণনির্ভর ফুটবল খেলেছে। দেশমের শিষ্যরা সুযোগের অপেক্ষায় থেকেই বাজিমাত করেছে, ‘কিলিয়ান এমবাপ্পেকে নিয়ে ওঁরা প্রতি আক্রমণনির্ভর ফুটবল খেলেছে। এমবাপ্পে দ্রুতগতিসম্পন্ন খেলোয়াড়। ওঁরা জানত, আমরা কখন ওপরে উঠে ডিফেন্স করব। এটাই সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে আমাদের জন্য।’
বিশ্বকাপ থেকে বিদায় নেওয়ায় কোর্তোয়া তাই হতাশ, ‘আমরা এমন কোনো দলের কাছে হারিনি, যাঁরা আমাদের চেয়ে ভালো; বরং আমরা এমন দলের কাছে হেরেছি যাঁরা কিছুই খেলেনি, শুধু রক্ষণ সামলেছে। উরুগুয়ের (শেষ আট) বিপক্ষে তাঁরা ফ্রিকিক ও গোলরক্ষকের ভুলে জিতেছে। আজ জিতল কর্নার থেকে দেওয়া গোলে। আজ বেলজিয়ামের জিততে না পারাটা আসলে ফুটবলের জন্যই লজ্জার।’
পরিসংখ্যান কিন্তু কোর্তোয়ার এই দাবিতে একমত হতে পারছে না। সেমির পুরোটা সময় রক্ষণাত্মক ফুটবল খেলেনি দেশমের শিষ্যরা। মাত্র ৩৬ শতাংশ বল দখলে রেখেও বেলজিয়ামের গোলে ১৯টি শট নিয়েছে ফ্রান্স। এর মধ্যে ৫টি শটই ছিল বেলজিয়ামের গোলপোস্ট তাক করে। বেলজিয়াম ৯টি শটের মধ্যে ৩টি ফ্রান্সের গোলপোস্টে রাখতে পেরেছে।