মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলের ফুটবল একাডেমি থেকে উঠে আসা মাহবুবুর রহমান সুফিলের ক্যারিয়ার বদলে গিয়েছিল স্বাধীনতা কাপ দিয়ে। তাঁর নেতৃত্বেই চট্টগ্রাম আবাহনীকে হারিয়ে স্বাধীনতা কাপের শিরোপা জিতেছিল আরামবাগ ক্রীড়া সংঘ। ক্লাবটির ৬০ বছরের ইতিহাসে যা ছিল প্রথম শিরোপা। আলোচিত এই তরুণ ফুটবল তারকা এবার বিয়ের পিঁড়িতে বসলেন। পাত্রী মোহামেডানের নারী ক্রিকেটার জিন্নাত আছিয়া অর্থি। তিনি মোহামেডানের প্রমীলা দলের উইকেটকিপার।
বগুড়া শহরের জলেশ্বরীতলার বাসিন্দা আলমগীর হোসেনের দুই মেয়ের মধ্যে জিন্নাত আছিয়া ছোট। প্রায় এক যুগ আগে বগুড়ার প্রয়াত ক্রিকেট প্রশিক্ষক মোসলেম উদ্দিনের হাত ধরে ক্রিকেটে অভিষেক জিন্নাত আছিয়ার। এরপর শহীদ চান্দু স্টেডিয়াম থেকে ভর্তির সুযোগ পান বিকেএসপিতে। সেখানেই পরিচয় ফুটবলার মাহবুবুর রহমানের সঙ্গে। পরিচয় থেকে টুকটাক কথা, এরপর হৃদয়ের লেনাদেনা। সোমবার সেই সম্পর্কের শুভ পরিণতি। পারিবারিক সম্মতিতেই সোমবার বিয়ের আনুষ্ঠানিকতার প্রথম পর্ব আয়োজন করা হয় বগুড়া শহরের শেরপুর সড়কের একটি চায়নিজ রেস্টুরেন্টে। সেখানে দুই পক্ষের অভিভাবক ছাড়াও দুই পরিবারের সদস্যদের উপস্থিতিতে পারিবারিক পরিবেশে বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা হয়।
এক দিন আগে হয়েছে গায়েহলুদ। পরে বিবাহোত্তর সংবর্ধনার আয়োজন করা হবে বলে জানিয়েছেন মাহবুবুর রহমানের অভিভাবকেরা।
বিয়ের অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বগুড়ার শহীদ চান্দু স্টেডিয়ামের ভেন্যু ম্যানেজার জামিলুর রহমান। জিন্নাতদের শুভকামনা জানিয়ে তিনি বলেছেন, ‘জীবনের নতুন অধ্যায় শুরুর অভিষেক ক্ষণে দারুণ রোমাঞ্চিত ফুটবলার মাহবুবুর এবং ক্রিকেটার জিন্নাত আছিয়া। ওঁদের খুশি দেখে ভালো লাগছে। দুজনই সবার কাছে নতুন জীবনের জন্য দোয়া চেয়েছেন।’
মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলের ছেলে মাহবুবুর রহমান বয়সভিত্তিক দলের হয়ে নিয়মিত পারফরম্যান্স করার পর বাংলাদেশ জাতীয় দলে অভিষেক লাওসের বিপক্ষে ম্যাচে। অভিষেক ম্যাচেই গোল করে বাংলাদেশকে জয়ের সমান ড্র এনে দেন মৌলভীবাজারের এই ছেলে।
তাঁর বাবা সেলিম মিয়া। মা রেবেকা সুলতানা। চার ভাই, চার বোনের মধ্যে সবার ছোট মাহবুবুর। ২০১১ সাল থেকে ফুটবল ক্যারিয়ার শুরু তাঁর। তিনি জাতীয় দলের আক্রমণভাগের খেলোয়াড়। গত বছর ভুটানে অনুষ্ঠিত অনূর্ধ্ব-১৮ সাফ চ্যাম্পিয়নশিপে ভারতের বিপক্ষে ৪-৩ গোলে জিতেছিল বাংলাদেশ। সেখানে সমতাসূচক গোল করেছিলেন তিনি। তাজিকিস্তানে অনুষ্ঠিত অনূর্ধ্ব-১৯ বাছাই পর্বেও তিন ম্যাচে ৩ গোল করেছিলেন মাহবুবুর।