খেলোয়াড়দের নামের ভার বা মাঠের পারফরমেন্সের বিচারে কোনোভাবেই মন জয় করতে পারেনি ফিলিস্তিন। তবু বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপে বাংলাদেশকে ২–০ গোলে হারাতে খুব একটা কাঠখড় পোড়াতে হয়নি ফিলিস্তিনকে। এ ম্যাচে ফিলিস্তিন কতটা ভালো ফুটবল খেলেছে, তা নিয়ে তর্ক হতে পারে। তবে একটি বিষয়ে কারও দ্বিমত থাকার কথা নয়, জামাল ভূঁইয়াদের বাজে পারফরম্যান্সের পূর্ণ সুবিধা আদায় করে নিয়েছে তারা।
প্রথমবারের মতো জাতীয় দলে আক্রমণাত্মক মিডফিল্ডার হিসেবে খেলেছেন জামাল ভূঁইয়া। মাঝমাঠে তাঁর রক্ষণাত্মক ভূমিকার অভাব বোধ হয়নি ফিলিস্তিন মিডফিল্ডারদের ব্যর্থতায়। বাংলাদেশ দলের মতো তাঁরাও দিয়েছেন ভুরি ভুরি মিস পাসের মহড়া। কিন্তু ঠিকই দুটি সুযোগ পেয়ে সেটা থেকে গোল আদায় করে নিয়েছে ফিলিস্তিন। গোলের ভালো সুযোগই দুটোতেই সফল গোল্ডকাপের বর্তমান চ্যাম্পিয়নরা।
২৮ মিনিটে প্রতি আক্রমণ থেকে খালেদ সেলিমের গোলে এগিয়ে যায় ফিলিস্তিন। মাঝমাঠ থেকে মোহামেদ দারওয়িশের রক্ষণচেরা থ্রু নিয়ন্ত্রণে নিয়ে এগিয়ে আসা বাংলাদেশ গোলরক্ষকের পাশ দিয়ে জালে জড়িয়ে দিয়েছেন খালেদ। অথচ ডিফেন্ডাররা সময় মতো বলের পেছনে ছুটলে গোলটা নাও হতে পারত। অফসাইডের জন্য হাত তুলে দাঁড়িয়ে গিয়েছিলেন বাংলাদেশের একাধিক খেলোয়াড়।
চার মিনিট পরেই সমতায় ফিরতে পারত বাংলাদেশ। ম্যাচে বাংলাদেশের সহজতম সুযোগে গোল করতে ব্যর্থ হয়েছেন চোট থেকে ফেরা তপু বর্মণ। রায়হান হাসানের লম্বা থ্রো ইন থেকে ফিলিস্তিন এক ডিফেন্ডারের মাথা ছুঁয়ে দূরের পোস্টে আনমার্কড তপুর মাথায় গিয়ে পড়ে। গোল লাইনের প্রায় ৫ গজ দূর থেকে তাঁর নেওয়া হেড সাইড পোস্ট ঘেঁষে বাইরে।
দ্বিতীয়ার্ধে বাংলাদেশের শুরুটা ভালোই ছিল। অন্তত বলের আদান–প্রদানে ছিল উন্নতির ছোঁয়া। কিন্তু ৫৮ মিনিটে আবারও ডিফেন্ডারদের ভুলে গোল হজম করে বসে বাংলাদেশ। রেদওয়ান আবুকারাশের এরিয়াল পাস বক্সের মধ্যে নিয়ন্ত্রণে নিয়ে কোনো রকম চাপ ছাড়াই টোকা দিয়ে জালে জড়িয়েছেন দায়ত কারুভ। তাঁকে বাধা দেওয়ার মতো কোনো ডিফেন্ডারকে পাওয়া যায়নি বক্সে। এই গোলেদায় এড়ানোর সুযোগ নেই ইয়াসিন খান ও রায়হান হাসানের। বলের ফ্লাইট মিস করেছেন সেন্টারব্যাক ইয়াসিন, আর প্রতিপক্ষকে নজরে রাখতে পারেননি রাইটব্যাক রায়হান।
গতবার এই ফিলিস্তিনেরর কাছে ২–০ গোলে হেরেই সেমিফাইনাল থেকে বিদায় নিয়েছিল বাংলাদেশ। কিন্তু গতবার তুলনামূলক শক্তিশালী ছিল ফিলিস্তিন দল। এবারের দলটি গতবারের দলের চেয়ে সবদিক থেকেই পিছিয়ে। আজকের হারটা বাংলাদেশের সামর্থ্য নিয়েই তুলে দিয়েছে প্রশ্ন।