‘খেলোয়াড়েরা মাঠে কেমন দৌড়াল?’
সাফ ফুটবল চ্যাম্পিয়নশিপের আগে বাংলাদেশ ক্রীড়া শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে (বিকেএসপি) প্রশ্নটি করা হয়েছিল বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দলের কোচ জেমি ডেকে। শেখ জামালের সঙ্গে প্রীতি ম্যাচে সবে ১-১ গোলে ড্র করে মাঠ ছেড়েছে জাতীয় দল। শিষ্যদের পারফরম্যান্স দেখে ডের চোখে মুখে স্বস্তি। কিন্তু প্রশ্নের উত্তর ঠিক সংখ্যায় দিতে না পেরে কিছু অস্বস্তিতে ভুগছিলেন বাংলাদেশ কোচ। কারণ সঠিক তথ্য জানার যন্ত্র নেই। জেমির জন্য সুখবর, অবশেষে খেলোয়াড়দের পারফরমেন্স বিশ্লেষণ করার যন্ত্র গ্লোবাল পজিশনিং সিস্টেম বা ‘জিপিএস’ পেতে যাচ্ছেন। ফলে জামাল ভূঁইয়ারা মাঠে ফাঁকি দিলেই ধরা পড়ে যাবেন।
মাঠে খেলোয়াড়েরা কতটুকু দৌড়ালেন, তা জানা যায় ‘জিপিএস’ এর মাধ্যমে। ছোট এ ডিভাইসটি খেলোয়াড়দের জার্সির নিচে আলাদা করে লাগানো থাকে। এই যুগে জিপিএস ব্যবহার করে না, এমন দল (উপমহাদেশের বাইরে) খুঁজে পাওয়া কঠিন। মাঠে খেলোয়াড়দের ‘ওয়ার্ক লোড’ জানার জন্য ভুটানের মতো দেশও এই প্রযুক্তি ব্যবহার করে আসছে। এমনকি মারুফুল হকের অধীনে শেষ মৌসুমে বাংলাদেশের ক্লাব আরামবাগ ক্রীড়া সংঘও ব্যবহার করেছে এই প্রযুক্তি। নতুন মৌসুমে সাইফ স্পোর্টিং ক্লাবও যুক্ত করেছে এ প্রযুক্তি। দেরিতে হলেও এবার জাতীয় দলে দেখা যাবে তা।
বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের চাহিদা অনুযায়ী ৪০টি জিপিএস পাঠিয়েছে এশিয়ান ফুটবল কনফেডারেশন। যদিও এখনো বাফুফের কাছে এসে পৌঁছায়নি, রয়েছে চট্টগ্রাম বন্দরে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক আবু নাঈম সোহাগ।
দেশের ফুটবলে জিপিএস যুগের সূচনা করেছেন মারুফুল হক। এর উপকার সম্পর্কে তাঁর ব্যাখ্যা, ‘জিপিএস প্রযুক্তি থেকে ফুটবলারদের সম্পর্কে পরিষ্কার ধারণা নিতে পারেন কোচ। জিপিএসের মাধ্যমে একজন ফুটবলারের সামর্থ্য জানা যায়। এটা ব্যবহার করলে ফুটবলারদের মধ্যে একটা সুস্থ প্রতিযোগিতা শুরু হয়ে যায়, যার ফলে তাদের খেলা হয় গতিময়। জিপিএস ব্যবহার করে সহজেই বোঝা যায় খেলোয়াড়েরা কে কতটুকু পরিশ্রম করেছেন।’