>এই ৩৫ বছর বয়সেও প্রায় প্রতি ম্যাচেই অসাধারণ খেলছেন রোনালদো। গলায় পরে যাচ্ছেন একের পর এক রেকর্ডের মালা। কালও যেমন গড়েছেন জুভেন্টাসের একটি গোলের রেকর্ড।
'আমরা এমন একটি দলের বিপক্ষে খেলেছি, যে দলে ভিনগ্রহের একজন ফুটবলার আছে'—জুভেন্টাসের কাছে ২–১ গোলে হেরেও অ্যাওয়ে গোলের হিসেবে চ্যাম্পিয়নস লিগের কোয়ার্টার ফাইনালে ওঠার পর অলিম্পিক লিঁওর কোচ রুডি গার্সিয়া এই কথাটাই বলেছেন সবার আগে। জুভেন্টাসের ভিনগ্রহের ফুটবলার বলতে তিনি ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোকেই কে বুঝিয়েছেন সেটা না বললেও চলে!
রোনালদো সত্যিই ভিনগ্রহের ফুটবলার হবেন! আর নইলে কি এই ৩৫ বছর বয়সেও এমন ফিটনেস থাকে তাঁর, উপহার দিতে পারেন এমন নজড়কাড়া ফুটবল! কাল তো তাঁর কাছেই হেরেছে লিঁও, আরেকটু হলে তো একা রোনালদোর কারিশমায় শেষ ষোলো থেকেই বিদায় নিত ফরাসি দলটি। সেটা হয়নি, রোনালদো এবার আর পারেননি। গত মৌসুমে অ্যাটলেটিকোর বিপক্ষে হ্যাটট্রিক করে জুভেন্টাসকে কোয়ার্টার ফাইনালে তোলার মতো অলৌকিক পারফরম্যান্স এবার আর উপহার দিতে পারেননি পর্তুগিজ ফরোয়ার্ড।
কিন্তু এই ৩৫ বছর বয়সেও প্রায় প্রতি ম্যাচেই অসাধারণ খেলে যাচ্ছেন রোনালদো। গলায় পরে যাচ্ছেন একের পর এক রেকর্ডের মালা। কালও যেমন গড়েছেন জুভেন্টাসের একটি গোলের রেকর্ড।
তুরিনের ক্লাবটির ১২২ বছরের ইতিহাসে এক মৌসুমে সর্বোচ্চ গোল করা খেলোয়াড় এখন তিনিই। কাল লিঁওর বিপক্ষে দুই গোল নিয়ে এ মৌসুমে জুভেন্টাসের জার্সি গায়ে ৩৭ গোল করেছেন রোনালদো। এক মৌসুমে এত গোল এর আগে করতে পারেনি জুভেন্টাসের কোনো খেলোয়াড়।
শব্দটা যখন গোল, রোনালদোর সঙ্গে কারও জুড়ি মেলা ভার! বিশেষ করে চ্যাম্পিয়নস লিগে। ইউরোপ সেরার প্রতিযোগিতায় সর্বকালের সেরা গোলদাতার আসনে অনেক আগেই বসেছেন রোনালদো। কালকের জোড়া গোল নিয়ে এই প্রতিযোগিতায় তাঁর গোলসংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৩০টি। চ্যাম্পিয়নস লিগের নকআউট পর্ব এলে যেন গোলক্ষুধা আরও বেড়ে যায় রোনালদোর! ১৩০ গোলের ৬৭টিই তিনি করেছেন নকআউটে। পাঁচবারের চ্যাম্পিয়নস লিগজয়ী রোনালদো গোল করেছেন তিনটি ফাইনালেও।
নকআউট ম্যাচ যদি আবার ঘরের মাঠে হয় তাহলে তো রোনালদো হয়ে ওঠেন আরও ভয়ংকর। চ্যাম্পিয়নস লিগের নকআউটে ঘরের মাঠে সর্বশেষ ১৩ ম্যাচে ২০ গোল করেছেন পর্তুগালের অধিনায়ক। আর নকআউটে তাঁর করা ৬৭ গোল অন্য যেকোনো খেলোয়াড়ের চেয়ে ২১টি বেশি। ৪৬ গোল নিয়ে এই তালিকায় তাঁর পরে আছেন বার্সেলোনার আর্জেন্টাইন ফরোয়ার্ড লিওনেল মেসি।