বৈঠকটার জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছিলেন মিশেল প্লাতিনি। হয়তো আশা করেছিলেন, নির্বাচন পিছিয়ে গেলে প্রার্থী হতে আর কোনো বাধা থাকবে না। কিন্তু সেটি হচ্ছে না, কাল ফিফার নির্বাহী কমিটি বিশেষ বৈঠকের পর জানিয়েছে, নির্বাচন ২৬ ফেব্রুয়ারিই হচ্ছে। সভাপতিত্ব নিয়ে আরও কিছু গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্তও নিয়েছে কমিটি।
এ সিদ্ধান্তের পর প্লাতিনি বড় একটা ধাক্কাই খেলেন। এ মুহূর্তে ফিফার নৈতিকতা কমিটির ৯০ দিনের নিষেধাজ্ঞার খড়্গ ঝুলছে উয়েফা সভাপতির ওপর। সেটা অবশ্য ২৬ ফেব্রুয়ারির আগেই শেষ হবে। কিন্তু ফিফা সভাপতিত্বের চূড়ান্ত আবেদনের শেষ সময় ২৬ অক্টোবর। নিষিদ্ধ হলে তো প্লাতিনি প্রার্থীই হতে পারবেন না। তার মানে কি সব আশাই শেষ হয়ে গেল? এর মধ্যে প্লাতিনি সর্বোচ্চ ক্রীড়া আদালত সিএএসের কাছে আপিল করার ঘোষণা দিয়েছেন। সেখানে যদি নিষেধাজ্ঞা বাতিল হয়, তাহলে লড়তে পারবেন প্লাতিনি। কাল ফিফার নির্বাচন কমিটির চেয়ারম্যান ডমিনিক স্কালাও জানিয়েছেন, নিষেধাজ্ঞা উঠে গেলে প্লাতিনি প্রার্থিতা করতে পারবেন।
জর্ডানের প্রিন্স আলী বিন আল হুসেইন ও ত্রিনিদাদের ডেভিড নাখিদ এরই মধ্যে প্রয়োজনীয় পাঁচটি দেশের সমর্থনও জমা দিয়েছেন। এশিয়ান ফুটবল ফেডারেশনের প্রধান শেখ সালমান বিন ইব্রাহিম আল খলিফা ও সাবেক সুইস ফুটবলার র্যামন ভাগা আভাস দিয়েছেন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার।
নির্বাহী কমিটি কাল আরও কয়েকটি ঘোষণা দিয়েছে। এখন থেকে ১২ বছরের বেশি কেউ সভাপতি থাকতে পারবেন না। আর সভাপতিত্বের সর্বোচ্চ বয়সসীমাও ৭৪ বছর। বোঝাই যাচ্ছে, ফিফা আরেকজন ‘সেপ ব্ল্যাটার’ কোনোভাবেই চায় না! এএফপি, রয়টার্স।