বছরের প্রথম এল ক্লাসিকো হয়ে গেল কাল। সৌদি আরবের রিয়াদে স্প্যানিশ সুপার কাপের সেমিফাইনালে বার্সেলোনাকে ৩-২ গোলে হারিয়েছে রিয়াল মাদ্রিদ। ম্যাচের আগে যেমনটা ধারণা করা হয়েছিল, তেমন একপেশে ম্যাচ দেখা যায়নি কাল। বরং প্রথমার্ধের পর বার্সেলোনারই বেশি প্রাধান্য ছিল। অতিরিক্ত সময়ে ফেদে ভালভার্দের গোলই ২০২০ সালের পর রিয়ালকে সুপার কাপের ফাইনালে তুলে দিয়েছে।
ম্যাচজুড়ে দুই দল ১২০ মিনিট পাল্লা দিয়ে লড়েছে। ম্যাচ শেষেও প্রতিদ্বন্দ্বিতার ঝাঁজ ছিল কারও কারও মধ্যে। রিয়াল কোচ কার্লো আনচেলত্তি যেমন আলাদা ডেকে কথা বলেছেন বার্সেলোনা ডিফেন্ডার জেরার্দ পিকেকে। ম্যাচের এক ঘটনায় প্রতিপক্ষকে সৌজন্য দেখাননি কেন পিকেরা, সেটা জিজ্ঞেস করেছিলেন আনচেলত্তি। জবাবে নাকি পিকে জানিয়ে দিয়েছেন, বার্সেলোনা ওই সৌজন্য দেখায় না।
গতকাল ম্যাচের একপর্যায়ে বার্সেলোনা ডি-বক্সের বাইরে মুখে আঘাত পাওয়ায় মাঠে শুয়ে ছিলেন ভিনিসিয়ুস জুনিয়র। বেশ কিছুক্ষণ ওভাবেই পড়েছিলেন। এসব ক্ষেত্রে প্রতিপক্ষ আক্রমণের খুব গুরুত্বপূর্ণ জায়গা না থাকলে মাঝে মাঝে বল বাইরে পাঠিয়ে শুশ্রূষার সুযোগ করে দেয়। গতকাল ম্যাচের প্রথমার্ধেই এমন সৌজন্য দেখিয়েছিল রিয়াল মাদ্রিদ। কিন্তু বার্সেলোনা সেটা করেনি। নিজেদের মতোই আক্রমণে উঠে গিয়েছিল বার্সা।
ম্যাচ শেষে তাই পিকেকে ডেকে এ নিয়ে কথা বলেছিলেন আনচেলত্তি। তখনই নাকি পিকে বলে দিয়েছেন, এই বাড়তি সৌজন্য কখনোই দেখায় না বার্সেলোনা। সংবাদ সম্মেলনে এ ব্যাপারে আনচেলত্তির কাছে প্রশ্ন রাখা হয়েছিল। এ ব্যাপারে বার্সেলোনার চিন্তাটা জানা ছিল না রিয়াল কোচের, ‘আমি ওর (পিকে) ওপর রেগে গিয়েছিলাম। আমি ওকে বললাম, প্রথমার্ধে আমরা যেমন করেছিলাম, ওদেরও বলটা বাইরে পাঠানো উচিত ছিল। সে বলল, ওরা নাকি এমন পরিস্থিতিতে কখনো বল বাইরে পাঠায় না।র
বল বাইরে পাঠাতেই হবে, এমন কোনো ধরাবাঁধা নিয়ম নেই। বিশেষ করে, দল আক্রমণে থাকলে এমনটা অনেক দলই করে না। গোল হওয়ার সম্ভাবনা নেই, এমন ক্ষেত্রেই সৌজন্য দেখানোর চেষ্টা করা হয়। বার্সেলোনা যে সেটা দেখায় না, সেটায় অবশ্য আপত্তির কিছু দেখছেন না আনচেলত্তি, ‘আমি ওকে “দুঃখিত” বলেছি। আমি সেটা জানতাম না (বার্সেলোনা এটা করে না)। ওরা খেলা চালিয়ে যেতে চেয়েছিল, এ সিদ্ধান্তকে সম্মান করতে হবে। আমি জানতাম না ওরা এটা করে না।’