>প্রীতি ম্যাচ খেলার জন্য বাংলাদেশ কোনো প্রতিপক্ষ জোগাড় করতে পারেনি। সেখানে পাকিস্তান খেলবে দুটি আন্তর্জাতিক প্রীতি ম্যাচ
ইউরোপের ক্লাবগুলো এখন ভুগছে ‘ফিফা ভাইরাস’ আতঙ্কে। জাতীয় দলগুলোর মধ্যে প্রীতি ম্যাচ চলছে বিশ্বজুড়ে। ইউরোপে চলছে নেশনস লিগ। আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলার জন্য ফিফা উইন্ডোতে খেলোয়াড়দের চোট পাওয়ার ঘটনা প্রতিনিয়তই দেখা যায়। ইভান রাকিটিচ ও সার্জিও রামোস এর মধ্যেই এর শিকার হয়েছেন। এই ‘ফিফা ভাইরাস’ নিয়ে তাই আতঙ্ক থাকাটাই স্বাভাবিক। এদিক থেকে বাংলাদেশের ক্লাবগুলো অনেকটাই নির্ভার।
চলতি মাসের ২০ তারিখ পর্যন্ত ক্লাব ফুটবল পর্দার আড়ালে যাচ্ছে। ফিফার নির্ধারিত এই সময়ে আন্তর্জাতিক প্রীতি ম্যাচ খেলার জন্য হুমড়ি খেয়ে পড়েছে দেশগুলো। বিশ্ব ফুটবল র্যাঙ্কিংয়ে ১৯৯তে অবস্থান করা পাকিস্তানও সময়টা কাজে লাগিয়েছে। কিন্তু বাংলাদেশের দুর্ভাগ্য, এই আন্তর্জাতিক সূচিতে অংশগ্রহণ নেই জাতীয় দলের।
এশিয়ান গেমস, সাফ ফুটবল চ্যাম্পিয়নশিপ ও সব শেষে বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপ। টানা খেলার মধ্যেই ছিল বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দল। এসব টুর্নামেন্টে ফুটবলারদের পারফরম্যান্স ছিল ইতিবাচক। কিন্তু এই পারফরম্যান্সের ধারাবাহিকতা রক্ষা করার জন্য নিয়মিত যে আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলার প্রয়োজন, তা পূরণ করতে ব্যর্থ বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন। ফিফার নির্ধারিত এই সূচিতে বাফুফের ইচ্ছে ছিল ভুটান ও শ্রীলঙ্কাকে নিয়ে একটি সিরিজ আয়োজন করার। কিন্তু দল দুটি অপারগতা প্রকাশ করায়, তা সম্ভব হয়নি। এরপর বাংলাদেশের ইচ্ছে ছিল শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে আন্তর্জাতিক প্রীতি ম্যাচ খেলার, সেটাও সম্ভব হয়নি।
প্রীতি ম্যাচ খেলার জন্য বাংলাদেশ একটি প্রতিপক্ষ জোগাড় করতে পারেনি। সেখানে পাকিস্তান খেলবে দুটি আন্তর্জাতিক প্রীতি ম্যাচ। ইতিমধ্যে ১৬ তারিখে ফিলিস্তিনের বিপক্ষে প্রথম ম্যাচে ২-১ গোলে হেরেছে তাঁরা। ২০ নভেম্বর দ্বিতীয় ম্যাচে তাঁদের প্রতিপক্ষ তাজিকিস্তান। বসে নেই প্রতিবেশী ভারতও। গতকাল আন্তর্জাতিক প্রীতি ম্যাচে জর্ডানের মাঠে ২-১ গোলে হেরেছে তারা।
আন্তর্জাতিক ম্যাচ আয়োজনে ব্যর্থ হয়ে অনূর্ধ্ব–২৩ দলের জন্য ক্যাম্পের আয়োজন করেছে বাফুফে। মার্চে অনুষ্ঠেয় এএফসি অনূর্ধ্ব–২৩ চ্যাম্পিয়নশিপের বাছাইপর্ব সামনে রেখে ফেডারেশন কাপ বিরতি দিয়ে যুবদলের জন্য ৫ দিনের ক্যাম্পের ব্যবস্থা করেছিল বাফুফে।
কিন্তু আবার কবে আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলবে বাংলাদেশ? বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক আবু নাঈম সোহাগ জানিয়েছেন, আগামী মার্চের আগে জাতীয় ফুটবল দলের কোনো ম্যাচ খেলার সম্ভাবনা নেই। ফিফার আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলার সেই সূচিটাও না হাতছাড়া হয়!