পচেত্তিনো
পচেত্তিনো

পচেত্তিনোর চাই পুরো দেড় কোটি ইউরো

পিএসজিকে সহজে ছাড়ছেন না মরিসিও পচেত্তিনো। চুক্তির মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই কোচের পদ থেকে তাঁকে সরিয়ে দিচ্ছে প্যারিসের ক্লাবটি। এমন অবস্থায় কোনো ছাড় দিতে রাজি নন আর্জেন্টাইন কোচ। চুক্তির শর্ত অনুযায়ী যে দেড় কোটি ইউরো পাওয়ার কথা, সেটা পুরোটাই আদায় করে নিতে ইচ্ছুক লিওনেল মেসি-নেইমার-এমবাপ্পেদের কোচ।

এমবাপ্পেদের সঙ্গে আর কাজ করা হবে না পচেত্তিনোর

পেশাদার কোচিং ক্যারিয়ারে কোনো শিরোপা না জেতা পচেত্তিনোকে পিএসজি দায়িত্ব দিয়েছিল চ্যাম্পিয়নস লিগ জেতানোর। প্রথম মৌসুমে চ্যাম্পিয়নস লিগ দূরে থাকা মৌসুমের বাকি দ্বিতীয়ার্ধে দায়িত্ব পাওয়ার সময়টায় লিগও খুইয়ে ফেলেন পচেত্তিনো।

গত মৌসুমে লিওনেল মেসি, জিয়ানলুইগি দোন্নারুম্মা, আশরাফ হাকিমি, নুনো মেন্দেজ, সের্হিও রামোস ও ভাইনালদমের মতো খেলোয়াড়দের টানা পিএসজি লিগ শিরোপা ফিরে পেয়েছে। কিন্তু চ্যাম্পিয়নস লিগে শেষ ষোলো থেকেই বাদ দলটি।

ক্রিস্তোফ গালতিয়ের

তাই দেড় মৌসুমেই সাবেক খেলোয়াড়কে সাবেক কোচ বানিয়ে ফেলার সিদ্ধান্ত নিয়েছে পিএসজি। সে ভূমিকায় জিনেদিন জিদানকে চেয়েও পায়নি তারা। এখন লিলের ক্রিস্তোফ গালতিয়েরকে পছন্দ তাদের। কিন্তু নতুন কোচ নিয়োগ দিতে হলে তো বর্তমান কোচকে আগে সরাতে হবে। কিন্তু সেটা করতে পারছে না পিএসজি।

কয়েক দিন ধরে শোনা যাচ্ছে, পচেত্তিনোকে এক কোটি ইউরো ক্ষতিপূরণ দিতে চায় পিএসজি। কিন্তু পচেত্তিনো এতে রাজি হচ্ছেন না। শর্ত অনুযায়ী চুক্তির এক বছর বাকি থাকায় পুরো বেতনটাই চাচ্ছেন। দেড় কোটি ইউরোর মধ্যে ৩০ লাখ ইউরো পচেত্তিনোর সহকর্মীদের জন্য।

মেসি-নেইমারকে পেয়েও চ্যাম্পিয়নস লিগে শেষ ষোলোতে বাদ পচেত্তিনোর পিএসজি

এ নিয়ে এখনো দুই পক্ষের মধ্যে দর-কষাকষি চলছে। তবে পিএসজি দ্রুত এ আলোচনা শেষ করতে চায়। কারণ, পচেত্তিনোর সঙ্গে সম্পর্ক শেষ হলেই কেবল নতুন কোচের নিয়োগ দেওয়া সম্ভব।

জিদানকে রাজি করানো সম্ভব হয়নি। ফলে গালতিয়েরেই সন্তুষ্ট হতে হচ্ছে পিএসজিকে। নতুন কোচকে তাঁর দলের সঙ্গে যত দ্রুত সম্ভব পরিচয় করিয়ে দিতে চায় পিএসজি। ক্লাবের নতুন ক্রীড়া পরিচালক লুইস কাম্পোসের পছন্দের এই কোচ লিলকে ২০২১ সালে ফ্রেঞ্চ লিগ চ্যাম্পিয়ন করেছেন। গত মৌসুমে নিসের হয়েও পিএসজিকে বেশ ভুগিয়েছেন। এবার তাই তাঁর হাতেই দলের দায়িত্ব দিতে ইউরোপে কিছু করে দেখাতে চায় পিএসজি। কিন্তু তার আগে তো পচেত্তিনোর বিদায় নেওয়াটা জরুরি।