প্রিমিয়ার লিগের বাইরে থেকে স্বাধীনতা কাপে খেলার জন্য আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল বাংলাদেশ সেনা, নৌ ও বিমানবাহিনীর ফুটবল দলকে। এদের মধ্যে খাতা–কলমে সবচেয়ে শক্তিশালী দল নৌবাহিনী। নামে শক্তিশালী হলেও মাঠে খেলা দিয়ে তা প্রমাণ করতে পারেনি তারা।
আজ কমলাপুর বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ সিপাহী মোস্তফা কামাল স্টেডিয়ামে বাংলাদেশ পুলিশ ফুটবল ক্লাবের সঙ্গে ১–১ গোলে ড্র করে টুর্নামেন্ট থেকে বিদায় নিয়েছে তারা।
নৌবাহিনীকে জাতীয় দল বললেও ভুল হবে না। একাদশে বর্তমান ও সাবেক মিলিয়ে জাতীয় দলের খেলোয়াড় ৯ জন। অথচ টুর্নামেন্টে ৩ ম্যাচ খেলে একটিও জয় পায়নি তারা। বসুন্ধরা কিংসের কাছে হজম করেছে ৬ গোল। সেই বড় হারটাই তাদের জন্য কাল হয়ে দাঁড়িয়েছে। বাকি দুই ম্যাচে ড্র করে বিদায়।
আজ জিততে পারলে শেষ আটে যাওয়ার সম্ভাবনা ছিল দুই দলেরই। ড্র করেও সে সুযোগ টিকে আছে পুলিশের। তবে তাদেরও তাকিয়ে থাকতে হবে এই মুহূর্তে চলতে থাকা বসুন্ধরা কিংস ও চট্টগ্রাম আবাহনী ম্যাচের দিকে।
আগের দুই ম্যাচে সুন্দর ও দাপুটে ফুটবল খেলা পুলিশ আজ সাদামাটা ম্যাচ উপহার দিয়েছে। প্রথমার্ধে ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ ছিল নৌবাহিনীর। কিন্তু গোলের সুযোগ তৈরি করতে পারেননি মামুনুল ইসলাম, জুয়েল রানারা।
উল্টো দ্বিতীয়ার্ধের ৫২ মিনিটে এম এস বাবলুর গোলে এগিয়ে যায় পুলিশ। মিডফিল্ডার সাহেদুল আলমের সঙ্গে বল দেওয়া-নেওয়া করে নৌবাহিনীর এক ডিফেন্ডারকে কাটিয়ে বক্সের মধ্যে থেকে বাঁ পায়ের শটে গোল করেন এই ফরোয়ার্ড।
গোলটি ধরে রাখতে পারলে কোয়ার্টার ফাইনালে খেলা নিশ্চিত হয়ে যেত পুলিশের। কিন্তু নিজেদের ভুলে সেটি ধরে রাখতে পারেনি তারা।
৭৩ মিনিটে সমতায় ফিরে নৌবাহিনী। জাহিদ হোসেনের নির্বিষ এক ফ্রি-কিক পুলিশের আফগান ফরোয়ার্ড আমিরউদ্দিন শরিফি ক্লিয়ার করতে পারেননি। জটলার ভেতর দিয়েই বল জালে চলে যায়।
তিন ম্যাচে ২ পয়েন্ট পেয়েছে নৌবাহিনী ও পুলিশ দুই দলই। দুই ম্যাচে ২ পয়েন্ট চট্টগ্রাম আবাহনীর। এই তিন দলের হেড টু হেডের পয়েন্ট সমান। গোল ব্যবধানে নৌবাহিনী (-৬) সবচেয়ে পিছিয়ে, পুলিশ-১ এবং চট্টগ্রাম আবাহনীর শূন্য (০)।
কিংসের বিপক্ষে পয়েন্ট পেলে সেরা আটে উঠবে চট্টগ্রাম আবাহনী। হারলেও তাদের সুযোগ থাকবে, সে ক্ষেত্রে মেলাতে হবে অনেক সমীকরণ।