ধর্মীয় উৎসবের সময়টা পরিবারের সঙ্গে কাটাতে কার না মন চায়। অন্তত এই কদিন সবাই ফিরে যান পরিবারের কাছে। একসঙ্গে মেতে ওঠেন আনন্দে। কিন্তু তপু বর্মণের সেই উপায় নেই। মালেতে সাফ চ্যাম্পিয়নশিপের খেলা নিয়েই ভাবতে হচ্ছে তাঁকে।
গতকাল সন্ধ্যায় মালেতে জাতীয় দলের অনুশীলন শেষে তপুর কাছে জানতে চাওয়া হয়, দুর্গাপূজা শুরু হয়ে গেছে, পরিবারকে মিস করছেন না? বাংলাদেশ দলের ডিফেন্ডার বললেন, ‘মিস করছি তো অবশ্যই! সবার সঙ্গে থাকা, শপিং করা—সবই মিস করছি। এই সময়ে পরিবারের সঙ্গে থাকলে অনেক ভালো লাগত। সবাই মিলে পূজামণ্ডপে যেতাম। খাওয়াদাওয়া করতাম। কিন্তু এ মুহূর্তে দেশের দায়িত্ব অনেক বড়। লক্ষ্য একটাই—নেপালকে হারাতে হবে। দেশকে সাফের ফাইনালে তুলতে হবে।’
স্ত্রীর কথা একটু বেশিই নাকি মনে পড়ছে। ঢাকা মেডিকেল কলেজে পড়া স্বর্ণালি কৃষ্ণার সঙ্গে গাঁটছড়া বেঁধেছেন কিছুদিন আগে। দুজনের প্রেমের সর্ম্পক পরিণতিতে পৌঁছালেও এখনো আনুষ্ঠানিকতা সারা হয়নি। তবে বিষয়টি নিয়ে ভাবছেন তিনি। বাংলাদেশ দলের অন্যতম সেরা ফুটবলার বললেন, ‘করোনা ও খেলা নিয়ে ব্যস্ততার কারণে এখনো আনুষ্ঠানিকতা সারতে পারিনি। তবে এবার দেশে ফিরে বাকি কাজ সেরে নেব।’
আগামীকাল নেপালের সঙ্গে মহাগুরুত্বপূর্ণ ম্যাচ। এই ম্যাচে জিতলে সাফ চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে উঠে যাবে বাংলাদেশ। আর বাংলাদেশকে ফাইনালে তোলার কাছে পূজায় পরিবারের সঙ্গে থাকতে না পারার বেদনা কিছুই নয় তপুর কাছে। বললেন, ‘সাফের ফাইনালে ওঠা হবে আমাদের জন্য অনেক বড় প্রাপ্তি। সেটার কাছে ব্যক্তিগত প্রাপ্তি–অপ্রাপ্তি এমন কিছু নয়। দেশের হয়ে প্রতিনিধিত্ব করার চেয়ে আনন্দ ও গর্বের কিছু নেই।’
নেপালকে হারানো এমন কঠিন কিছু মনে করেন না নারায়ণগঞ্জের দয়াল বর্মণের ছেলে তপু বর্মণ। বলছেন, ‘এটা আমাদের জন্য সোনালি সুযোগ। নিশ্চিতভাবেই সেটা কাজে লাগাতে ভালো ফুটবল খেলব আমরা।’
বাংলাদেশ দলের অন্যতম ডিফেন্ডার বিশ্বনাথ ঘোষও পরিবারকে মিস করছেন শারদীয় দুর্গোৎসবের এই সময়ে। কিন্তু তিনিও লক্ষ্যে অবিচল, কাল নেপালকে হারিয়ে সাফের ফাইনালে তুলতেই হবে বাংলাদেশকে।