লিগে নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে গতকাল রেনেঁর কাছে ২-১ গোলে হেরে বসেছে পিএসজি। আর এর মাধ্যমে যেন তারা অনুচ্চারে বুঝিয়ে দিল, নেইমারকে কত দরকার তাদের।
যথারীতি গতকালও পিএসজির হয়ে নেইমার খেলেননি। নেইমার ছাড়া গত সপ্তাহে জিতলেও গতকাল আর পারল না তারা। রেনেঁর কাছে হেরে বসল ২-১ গোলে। ম্যাচ শেষে কোচ টমাস টুখেলের কথায় প্রতিধ্বনিত হলো, আসলে নেইমারকে যে কত দরকার পিএসজির!
৪-৩-৩ ছকে নেইমারের জায়গায় আর্জেন্টাইন অ্যানহেল ডি মারিয়াকে রেখে খেলা শুরু করেছিল পিএসজি। আক্রমণভাগের বাকি দুই খেলোয়াড় ছিলেন কিলিয়ান এমবাপ্পে ও এডিনসন কাভানি। ম্যাচের ৩৬ মিনিটে গোল করে পিএসজিকে এগিয়ে দেন কাভানি। ৪৪ মিনিটে রেনেঁকে সমতায় ফেরান উইঙ্গার এমবায়ে নিয়াং। দ্বিতীয়ার্ধে খেলা শুরুর তিন মিনিটের মাথায় গোল করে পিএসজিকে স্তব্ধ করে দেন ফরাসি মিডফিল্ডার রোমাইন দেল কাস্তিয়ো। গোটা ম্যাচে ১৬ বছর বয়সী অ্যাঙ্গোলার মিডফিল্ডার এদুয়ার্দো কামাভিঙ্গা চরকির মতো নাচিয়ে ছেড়েছে পিএসজিকে। দ্বিতীয় গোলটায় অ্যাসিস্টও ছিল এই কিশোরের। পরে শত চেষ্টা করেও সে গোল শোধ করতে পারেননি এমবাপ্পে-কাভানিরা। উল্টো সহজ সুযোগ মিস না করলে পিএসজিকে আরও বড় পরাজয়ের লজ্জায় ডুবোতে পারতেন নিয়াং ও ডামিয়েন ডা সিলভারা। ম্যাচ শেষে হতাশ কোচ টুখেলের কণ্ঠে প্রতিধ্বনিত হয়েছে নেইমারের গুরুত্ব, ‘নেইমারের যোগ্য বিকল্প দলে না আসা পর্যন্ত আমরা নেইমারকে বিক্রি করতে পারব না। ওকে যদি আমরা ম্যাচ খেলাই, ও এমন একজন খেলোয়াড়, যে প্রতিপক্ষের সঙ্গে মুখোমুখি প্রতিযোগিতাগুলো (ওয়ান-অন-ওয়ান) জিততে পারবে।’
নেইমারের দল ছাড়ার কী অবস্থা? আদতেই কি বার্সা বা রিয়ালে যাওয়া হচ্ছে তাঁর? এ ব্যাপারে টুখেল নিজেই নিশ্চিত নন, ‘দেখা যাক। এখনো কোনো অগ্রগতি হয়নি ওর দলবদলের বিষয়ে। দলবদলের বাজার এখনো খোলা আছে। আজ–কালের মধ্যে কিছু একটা হলে হবে। এটা আগে থেকে নির্ধারিত হয়ে থাকা কোনো বিষয় নয়।’ তবে এই দলবদলের জন্যই যে নেইমার খেলছেন না, সেটা সরাসরি মানতে রাজি হননি টুখেল, ‘ও এখনো ম্যাচ খেলার পর্যায়ে নেই। ওর পর্যাপ্ত ফিটনেস দরকার। ও এখনো সতীর্থদের সঙ্গে অনুশীলনই করেনি। চোটের আশঙ্কা এখনো অনেক আছে। ওকে নিয়ে আমরা ঝুঁকি নিতে পারি না।’