প্রথমার্ধে ৩টি গোলের সুযোগ নষ্ট, বিরতির পরও সুযোগ কাজে লাগাতে পারেননি। গোল করা যাঁর কাজ, তিনি এমন পারফরম্যান্স করলে পয়েন্ট টেবিলের তলানিতে থাকা (২০তম) দলের বিপক্ষেও জেতা কঠিন।
পিএসজিও আজ মেসের বিপক্ষে পয়েন্ট হারানোর পথেই ছিল। শেষ মুহূর্তে আশরাফ হাকিমির গোলে রক্ষা।
লিগ আঁ-তে ঘরের মাঠে পিএসজিকে যোগ করা সময়ের ৫ মিনিট পর্যন্ত ১-১ গোলে আটকে রেখেছিল মেস। ৯৫ মিনিটে নেইমারের দারুণ পাস থেকে জয়সূচক গোলটি করেন গোটা ম্যাচে দারুণ খেলা আশরাফ হাকিমি।
৫ মিনিটে এই রাইটব্যাকের গোলেই এগিয়ে গিয়েছিল পিএসজি। ২-১ গোলে জয় তুলে নেওয়ার আগে মেসের কাছে ভালোই ভুগেছে মরিসিও পচেত্তিনোর দল।
হাঁটুতে চোট পাওয়ায় লিওনেল মেসি ম্যাচটা খেলতে পারেননি। ডান প্রান্ত দিয়ে হাকিমি স্বভাবসুলভাবে দৌড়ে ঢুকেছেন মেসের বক্সে। ৫ মিনিটে তাঁর করা গোলটা ফিরতি শটে দৌড়ে বক্সে ঢোকার ফল।
ম্যাচের প্রথম ১৫ মিনিট পর্যন্তও জমাট ফুটবল খেলেছে পিএসজি। মাঝমাঠ গোছালো ছিল। কিন্তু সময় গড়ানোর সঙ্গে পচেত্তিনোর মাঝমাঠ মিলিয়ে যায়! রক্ষণে মার্কিনিওস, প্রেসনেল কিমপেম্বে ও তাভারেজ মেন্দেজকে রেখে মাঝমাঠ যোগ দিয়েছে আক্রমণে। এদিকে প্রথমার্ধেই ৩টি গোলের সুযোগ নষ্ট করে বসেন এমবাপ্পে।
মিডফিল্ডার ভাইনালডম ও রাফিনহারা তাল মিলিয়ে নিচে নামতে পারেননি মেসের গতিময় ফুটবল থামাতে। তবে ৩৯ মিনিটে কর্নার থেকে মেসের সমতাসূচক গোলে ডিফেন্ডারদের দায় থাকবে।
তিন ডিফেন্ডারের ভেতর থেকে শূন্যে লাফিয়ে গোলটি করেন বউবাকার কয়োতে। প্রথমার্ধের একদম শেষ মিনিটে মেসের নিশ্চিত গোল রুখে দেন পিএসজি গোলকিপার কেইলর নাভাস। তাঁকে একা পেয়েও গোল করতে পারেননি মেস ফরোয়ার্ড লামিন গায়ে।
গোল পেতে মরিয়া পচেত্তিনো বিরতির পর ৬৫ মিনিটে দুটি বদল আনেন মিডফিল্ডে—আন্দের এরেরা ও আনহেল ডি মারিয়াকে নামিয়ে এবং রাফিনহা ও ভাইনালডমকে তুলে। এরপর পিএসজি আক্রমণে বৈচিত্র্য পেলেও গোলমুখ খুলতে পারছিল না। যোগ করা সময়ের ৯১ মিনিটে ১০ জনে পরিণত হয় মেস।
দ্বিতীয় হলুদ কার্ড দেখে মাঠ ছাড়েন ডিফেন্ডার ডিলান ব্রোন। ৪ মিনিট পরই মাঝমাঠ থেকে ডিফেন্স চেরা পাসে হাকিমিকে সুযোগ তৈরি করে দেন নেইমার। দারুণ ফিনিশিংয়ে গোল করেন মরোক্কো রাইটব্যাক। টানা দুই ম্যাচে শেষ মুহূর্তে জয় পেল ৭ ম্যাচে ২১ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে থাকা পিএসজি।