প্রীতি ম্যাচে ক্যামেরুনকে ১-০ গোলে হারিয়েছে ব্রাজিল। ম্যাচের একমাত্র গোলটি করেন রিচার্লিসন।
ইংল্যান্ডের এমকে স্টেডিয়ামে প্রীতি ম্যাচটিতে ছিল রেকর্ডসংখ্যক দর্শক—৩৯ হাজার ৬৬৯ জন। ব্রাজিলের ‘পোস্টার বয়’ নেইমারের খেলা উপভোগ করবেন বলেই যারা এসেছেন, তাঁদের হৃদয় ভেঙেছে ম্যাচের শুরুতেই। হৃদয় ভেঙেছে ব্রাজিল-সমর্থকদেরও।
মঙ্গলবার রাতে খেলা শুরুর সাত মিনিটের মাথাতেই চোট নিয়ে মাঠ ছাড়েন ব্রাজিলের পিএসজি তারকা নেইমার। তাঁর বদলি হিসেবে রিচার্লিসনকে বেছে নেন তিতে। গুরুর আস্থার প্রতিদান আর সতীর্থকে একটা দামি উপহার দিতে ভুল করেননি রিচার্লিসন। ইংলিশ ক্লাব এভারটনের সবচেয়ে দামি এই খেলোয়াড়ের গোলেই ১-০ গোলের জয় নিয়ে মাঠ ছাড়েন তিতের শিষ্যরা। এ নিয়ে টানা ছয় ম্যাচে জয়ের স্বাদ পেল ব্রাজিল।
নেইমারকে হারিয়ে শুরুতেই ধাক্কা খায় ব্রাজিল। এতে তাদের খেলায় যে খুব বেশি ছন্দপতন হয়েছে তা কিন্তু নয়। বল দখলে, আক্রমণে, খেলায় আধিপত্য ছিল ব্রাজিলেরই। তবে নেইমারের অভাব ঠিকই টের পেয়েছে ফিরমিনো-উইলিয়ানরা। গোলমুখে ২৩টি শটের মাত্র ৯টি লক্ষ্যে রাখতে পারাই সেটা পরিষ্কার বলে দিচ্ছে। ক্যামেরুনের জালে আরও বার দুই-তিনেক নিশ্চিত বল জড়াত। আফ্রিকার অন্যতম সেরা দলটির গোলরক্ষকের নৈপূন্যে আর ব্রাজিলের এলোমেলো আক্রমণভাগের কারণে গোল বঞ্ছিত হয় সেলেসাওরা। ম্যাচের ২১তম মিনিটে পাওলিনহোর শট আটকে দিয়ে প্রথমবার দলকে রক্ষা করেন ক্যামেরুনের গোলরক্ষক ওনানা। ম্যাচের ৪৪ মিনিটে ব্রাজিলিয় মিডফিল্ডার অ্যালানের শট থেকে কর্নারের বিনিময়ে দলকে রক্ষা করেন ওনানা। ৪৫ মিনিটে সেই কর্নার থেকে নেওয়া উইলিয়ানের দুর্দান্ত শট থেকে রিচার্লিসনের মাথা ছুঁয়ে বল জালে জড়ালে ১-০ গোলে এগিয়ে যায় ল্যাতিন আমেরিকার দলটি। এর মিনিট দুয়েক আগে অবশ্য গোলের সুযোগ পেয়েও হাতছাড়া করেন ফিরমিনহো।
প্রথমার্ধে পাল্টা আক্রমণে দু-একটি সুযোগ তৈরি করেছিল ক্যামেরুনও। ফিনিশিংয়ের অভাবে গোলের মুখ দেখেনি একটিও। পুরো খেলায় ব্রাজিলের গোলপোস্ট বরাবর ক্যামেরুনের খেলোয়াড়েরা শট নিয়েছে ৫টি। এর একটি মাত্র শট লক্ষ্য ঠিক রাখতে পেরেছে। বাকিগুলো ছিল বেপথু। প্রতিপক্ষকে আটকে রাখাই ছিল তাদের মূল পরিকল্পনা। তাতে মোটামুটি সফলও হয়েছে ক্যামেরুন। যদিও শেষ রক্ষা করতে পারেনি। প্রথমার্ধেই রিচার্লিসনের কোপের নিচে পড়ে পিছিয়ে যায় ১৯৯০ বিশ্বকাপে দুর্দান্ত খেলা আফ্রিকান দলটি।
দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই গোলরক্ষক ওনানাকে তুলে নেন ক্যামেরুনের কোচ সেডরফ। খেলার শেষ মুহূর্তে ৮৮মিনিটে পরপর দুবার নিশ্চিত গোলের হাত থেকে দলকে রক্ষা করেন বদলি গোলরক্ষক ওন্দোয়া।