নেইমার, মার্তা—দুজনই ব্রাজিলের ফুটবল অধিনায়ক। একজন পুরুষ দলের, অন্যজন মেয়েদের। দুজনেই এবারের রিও অলিম্পিকে ব্রাজিলীয় স্বপ্নের ধারক ও বাহক। কিন্তু দুজনের মধ্যে সত্যিকার অর্থে কে স্বপ্নকে বাস্তব রূপ দেবেন, সেটা নিয়ে শুরু হয়েছে জোর আলোচনা। কিন্তু অলিম্পিকে মেয়েদের ফুটবলের শুরুর দিনেই ব্রাজিলের মেয়েরা যা খেলল, তাতে অনেকেই নেইমারের চেয়ে একটু এগিয়েই রাখছেন মার্তাকে। তবে কী অলিম্পিকের আগে সূক্ষ্ম প্রতিদ্বন্দ্বিতা শুরু হয়ে গেছে ব্রাজিলের পুরুষ ও নারী ফুটবল দলের মধ্যে!
অলিম্পিকে নিজেদের প্রথম ম্যাচে কাল চীনকে ৩-০ গোলে হারিয়েছে ব্রাজিলের মেয়েরা। পাঁচবারের বিশ্বসেরা নারী ফুটবলার মার্তা খেলেছেন দুর্দান্ত। তাঁর উজ্জ্বল পারফরম্যান্সে ব্রাজিলীয়রা এতটাই মন্ত্রমুগ্ধ যে চীনের বিপক্ষে ম্যাচেই স্টেডিয়ামে স্লোগান উঠে গেল—‘নেইমারের চেয়ে মার্তা ভালো’।
তবে ব্যাপারটা একেবারেই ভালো লাগেনি ব্রাজিলীয় নারী ফুটবল দলের কোচ ভাদাওয়ের। তিনি এই তুলনাটাকে মোটেও সুস্থ কিছু মনে করছেন না, ‘ব্রাজিলের নারী ও পুরুষ ফুটবল দলের মধ্যে কোনো প্রতিদ্বন্দ্বিতা নেই। মার্তা মার্তাই, সে নেইমার নয়।’
রিও অলিম্পিকে এবারের ব্রাজিলের নারী ফুটবল দল সোনার পদক ছাড়া কিছুই ভাবতে পারছে না। ঘরের মাঠে অলিম্পিকের নারী ফুটবলে যুক্তরাষ্ট্রের একাধিপত্য নষ্ট করতে মার্তা দারুণ গুরুত্বপূর্ণ অস্ত্র ব্রাজিলীয়দের কাছে। তবে অলিম্পিকে নিজেদের প্রথম ম্যাচটা পুরো সময় খেলতে পারেননি মার্তা। ব্যাপারটা কিছুটা হলেও চিন্তায় ফেলেছে সবাইকে। তবে ভাদাও জানিয়েছেন, ‘এটা নিয়ে দুশ্চিন্তার কিছু নেই। এখনো অলিম্পিকের অনেকগুলো ম্যাচ বাকি। সে জন্যই একটু আঘাত পাওয়ায় বাড়তি সতর্কতা হিসেবে তুলে নেওয়া হয়েছিল মার্তাকে। সে আমাদের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ একজন খেলোয়াড়।’
ব্রাজিলের পুরুষ ফুটবল দলের কোচ রোজারিও মিচেলের সঙ্গে ভাদাওয়ের কথায় অনেক মিল। মারতা যেমন ভাদাওয়ের কাছে, ঠিক তেমনি মিচেলের কাছে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ নেইমার। স্বপ্ন পূরণে এই দুই ‘গুরুত্বপূর্ণ’ এখন কতটা কী করতে পারেন, দেখার বিষয় ওটাই।
ব্রাজিলীয়দের অলিম্পিক-স্বপ্নই এই দুইকে মুখোমুখি অবস্থানে দাঁড় করিয়ে দিয়েছে। সূত্র : এএফপি।