মঙ্গোলিয়াকে ৩-০ গোলে হারিয়ে অনূর্ধ্ব-১৯ বঙ্গমাতা আন্তর্জাতিক গোল্ডকাপের ফাইনালে বাংলাদেশ। ম্যাচসেরা হয়েছেন মিডফিল্ডার মণিকা চাকমা।
ধরুন আপনি ম্যাচসেরা হয়ে প্রাইজমানি হিসেবে ৫০০ ডলার (টাকায় প্রায় ৪৩ হাজার) পেয়েছেন। কী করবেন? যা–ই করুন না কেন, একটু হলেও হয়তো ভেবে বলবেন। কিন্তু বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ দলের নারী ফুটবলার মণিকা চাকমাকে প্রশ্নটা যখন করা হলো, কোনো রকম ভাবা বা ভণিতা না করেই বলে দিলেন, ‘যেহেতু আমরা মাঠে ১১ জন খেলেছি। স্যাররাও আমাদের সাপোর্ট করেছে। যদি আমাকে ১০ জন বল না দিত, আমি গোল করতে পারতাম না। তো আমি চেষ্টা করব সবাইকে কিছু দিতে (প্রাইজমানি)।’
একটু আগেই প্রতিপক্ষকে লন্ডভন্ড করে আসা মনিকাকে ম্যাচপরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে চেনা যায় না! তাঁর সহজসরল কথা শুনলে অবাক হতেই হয়, একটু আগেই কি মেয়েটা প্রতিপক্ষকে মাঠে দুমড়েমুচড়ে দিয়ে এসেছেন। মঙ্গোলিয়ার বিপক্ষে ৩-০ গোলের জয় নিয়ে অনূর্ধ্ব-১৯ বঙ্গমাতা আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্টের ফাইনালে পা রেখেছে বাংলাদেশ। স্বাগতিকদের জয়ে সবচেয়ে বড় অবদান যে মণিকার, ম্যাচসেরা পুরস্কার পাওয়াতেই তো বোঝা যাচ্ছে। একের পর এক আক্রমণের পরও যখন গোল পাচ্ছিল না বাংলাদেশ, তখন ত্রাতা হয়ে এসেছিলেন মণিকা চাকমা। পেনাল্টি আর্কের ওপর থেকে দুর্দান্ত ভলিতে গোল করে গ্যালারির দর্শকদের আনন্দ ভাসিয়েছেন এই মিডফিল্ডার। দ্বিতীয়ার্ধে সতীর্থ মার্জিয়া আক্তারকে দিয়েও করিয়েছেন একটি গোল। ব্যস, ম্যাচ শেষে পুরস্কার হিসেবে হাতে উঠেছে ৫০০ ডলার।
বাংলাদেশ দলের হৃৎপিণ্ড বলা হয়ে থাকে তাঁকে। মাঝমাঠে থেকে খেলাটা নিয়ন্ত্রণ করে থাকে তাঁর বাঁ পা। টুর্নামেন্টের প্রথম দুই ম্যাচে ভালো খেললেও গোলের দেখা পাচ্ছিলেন না মণিকা। আজ গোল করলেন ও করালেন। স্বাভাবিকভাবে মণিকার সেরা ছন্দে ফেরায় ফাইনালের জন্য বাংলাদেশের জ্বালানি গিয়েছে বেড়ে। আর আত্মবিশ্বাস বেড়েছে মণিকারও, ‘আজকের ম্যাচে ম্যাচসেরা হওয়ায় অনেক ভালো লাগছে। আর আমার জন্য সবাই দোয়া করবেন। পরবর্তী সময়েও যেন আমরা ভালো কিছু করতে পারি।’