>ফ্রান্সের বিশ্বকাপজয়ী সাবেক ডিফেন্ডার ভিসেন্তে লিজারাজুর মতে মাঠে নিজেকে বেশি জাহির করাই নেইমারের এত চোটের কারণ।
নতুন বছরে নেইমারের শুরুটা দুঃস্বপ্নের মতো। প্রায় প্রতি বছরের শুরুতেই তাঁর একটা না একটা চোট লেগেই আছে। গত বছরের শুরুতে উরুর চোটে এক সপ্তাহ বাইরে থাকতে হয়েছিল নেইমারকে। পরে ফেব্রুয়ারিতে গোড়ালির চোটে বিশ্বকাপে খেলা নিয়েই অনিশ্চয়তায় পরেছিলেন। এ বছরেরও শুরুতে চোট পেয়েছেন নেইমার। ফ্রেঞ্চ কাপে দ্বিতীয় রাউন্ডের ম্যাচে আবারও গোড়ালির চোটে মাঠের বাইরে নেইমার। মাঠে বল নিয়ে বেশি কারিকুরি করাই নেইমারের এত চোটপ্রবণতার কারণ বলে মনে করছেন ফ্রান্সের বিশ্বকাপজয়ী তারকা ভিসেন্তে লিজারাজু।
১৯৯৮ বিশ্বকাপে ঘরের মাঠে ফ্রান্সের শিরোপা জয়ের সারথি ছিলেন লিজারাজু। জিতেছেন ২০০০ ইউরো শিরোপাও। চোটের কারণে তাঁর ক্যারিয়ারও সেভাবে পাখা মেলতে পারেনি। নেইমারের কষ্টটা তাই ভালোভাবেই বোঝেন ৪৯ বছর বয়সী লিজারাজু। ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ডের এত চোটের পেছনে তাঁর খেলার ধরনকেই দায়ী করেছেন এই ফরাসি। ফ্রেঞ্চ কাপের সেই ম্যাচে স্ট্রাসবুর্গ খেলোয়াড়দের দোষ দিলেও নেইমারকে ছাড়েননি তিনি, ‘সে মুহূর্তে স্ট্রাসবুর্গ খেলোয়াড়রা যা করেছে তা করা অনুচিত, কিন্তু নেইমার যেভাবে প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছে সেটাও অনুচিত।’
সেই ম্যাচের ৬০ মিনিটে মোয়াতাজ জেমজেমির ধাক্কায় মাটিতে পড়ে যান নেইমার। নিজেকে সামলাতে গিয়ে ডান গোড়ালিতে বেশি চাপ পড়ে যায়। এরপর মাঠ ছাড়তে হয় নেইমারকে। এর আগে নেইমার ম্যাচের মাঝে দুই তিনবার পর্যুদস্ত করেছেন জেমজেমিকে। এরপরই তাঁর আঘাতেই মাঠ ছাড়তে হয় নেইমারকে। লিজারাজু মনে করেন বেশি কারিকুরি দেখিয়ে নিজেকে জাহির করাই কাল হয়েছে নেইমারের জন্য, ‘স্ট্রাসবুর্গ রক্ষণের সমালোচনা করতে পারি, কিন্তু এটা সত্যি যে নেইমার মাঠে বেশি জাহির করে। যেটা প্রতিপক্ষ খেলোয়াড়ের জন্য খুবই বিরক্তিকর ও তাঁদের উসকে দেয়। সত্যি বলতে নেইমারের এগুলো কমানো উচিত। কারণ সে চোটপ্রবণ খেলোয়াড়। সে এগুলো যত কম করবে, তত কম চোটে পড়ার আশঙ্কা থাকবে।’
নেইমারের এই চোটে বেশ ভালো দুশ্চিন্তায় পরেছেন পিএসজি কোচ টমাস টুখেল। গত বছরও এই সময়ে একই জায়গার চোট বেশ ভালোই ভুগিয়েছিল নেইমারকে। প্রায় চার মাস তাঁকে মাঠের বাইরে থাকতে হয়েছিল তাঁকে। সেবার পিএসজির চ্যাম্পিয়নস লিগ স্বপ্নও ধূলিসাৎ হয়ে যায় নেইমারের চোটের কারণে। এবারও চ্যাম্পিয়নস লিগে পিএসজির সামনে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের মতো দল। শেষ ষোলোয় ইউনাইটেডের বিপক্ষে নেইমার প্রথম লেগ খেলতে পারবেন না তা মোটামুটি নিশ্চিত। শঙ্কা রয়েছে ফিরতি লেগে খেলা নিয়েও। প্রথম লেগ ১৩ ফেব্রুয়ারি, ফিরতি লেগ ৭ মার্চ।