>বিমান দুর্ঘটনায় নিখোঁজ আর্জেন্টাইন ফুটবলার এমিলিয়ানো সালাকে উদ্ধারের অভিযান বন্ধ ঘোষণা করেছে কর্তৃপক্ষ। এখন শুরু হয়েছে ব্যক্তি উদ্যোগে তহবিল সংগ্রহ করে উদ্ধার অভিযান কার্যক্রম
এমিলিয়ানো সালাকে তাহলে আর পাওয়া গেল না! বিমান দুর্ঘটনার পর ছয় দিন হয়ে গেল কিন্তু খোঁজ মেলেনি আর্জেন্টাইন এই ফুটবলারের। উদ্ধারকর্মীরা ইংলিশ চ্যানেলে অভিযান চালিয়েও সালা এবং বিমানের পাইলটের কোনো হদিস পাননি। বৃহস্পতিবার তাই উদ্ধার কার্যক্রম বন্ধ ঘোষণা করে কর্তৃপক্ষ। যদিও সালাকে উদ্ধারের অভিযান চালিয়ে যাওয়ার অনুরোধ করেছিলেন লিওনেল মেসি থেকে ডিয়েগো ম্যারাডোনার মতো কিংবদন্তিরা। কিন্তু কর্তৃপক্ষ হাল ছেড়েই দিয়েছে। এবার তাই শুরু হয়েছে ব্যক্তি উদ্যোগ। ২৮ বছর বয়সী এই ফরোয়ার্ডকে জীবিত অথবা মৃত খুঁজে বের করতে গঠন করা হয়েছে তহবিল। বিবিসি জানিয়েছে, এখন পর্যন্ত তহবিলে উঠেছে ২ লাখ ২০ হাজার পাউন্ড।
গণ-অর্থায়ন সংগ্রহ করে ‘গোফান্ডমি’ নামের একটি উদ্যোগের মাধ্যমে এই তহবিল সংগ্রহ করা হচ্ছে। উদ্ধার অভিযান চালিয়ে যেতে সালার পরিবারকে দুটি নৌকা হস্তান্তর করা হয়েছে এই তহবিল থেকে। কাল থেকে ব্যক্তি উদ্যোগে শুরু হয়েছে এই উদ্ধার অভিযান। নতুন ক্লাব কার্ডিফ সিটিতে যোগ দিতে ফ্রান্স থেকে সোমবার রাতে রওনা হয়ে ইংলিশ চ্যানেলে নিখোঁজ হয় সালাকে বহনকারী বিমান। এরপর থেকেই সালা ও বিমানের পাইলট ডেভিড ইবোটসন নিখোঁজ। ছোট বিমানটিতে যাত্রী ছিলেন এই দুজনই।
গার্নসে পুলিশ জানিয়েছে, ‘সালাকে খুঁজে বের করার অভিযান খড়ের গাদায় সুচ খোঁজার মতো। যখন এটাও আমরা জানি না খড়ের গাদা আসলে কোথায়।’ সালাকে বহনকারী বিমান ঠিক কোথায় দুর্ঘটনার কবলে পড়েছে, তা এখনো বের করতে পারেনি কর্তৃপক্ষ।
তহবিল আয়োজকেরা জানিয়েছেন, তাঁরা কমপক্ষে ২ লাখ ৬০ হাজার পাউন্ড সংগ্রহের আশা করছেন। এদিকে ফ্রান্সে শুরু হয়েছে আরেক প্রচারণা। সালাকে খোঁজার অভিযান কর্তৃপক্ষ যেন চালিয়ে যায় সেই আরজি জানিয়ে সংগ্রহ করা হয়েছে ৮০ হাজার স্বাক্ষর। সালার বোন রোমিনা এখনো আশা হারাননি। তাঁর দাবি, ‘এমিলিয়ানো বিমানের পাইলট চ্যানেলের কোথাও হয়তো জীবিত আছেন। আমাদের অনুরোধ, দয়া করে উদ্ধার কার্যক্রম বন্ধ করবেন না।’
এর আগে গার্নসে পুলিশ এবং উদ্ধার কার্যক্রমে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ তিনটি বিমান, পাঁচটি হেলিকপ্টার, দুটি লাইফবোট এবং আরও কয়েকটি জলযান নিয়ে চ্যানেলের নিকটবর্তী এলাকায় ৮০ ঘণ্টা খোঁজাখুঁজি চালিয়েও কিছু পায়নি। এমনকি দুর্ঘটনার কবলে পরা বিমানটির হদিস পর্যন্ত মেলেনি। গার্নসে পোতাশ্রয়ের ক্যাপ্টেন ডেভিড বার্কার জানান, উদ্ধার কার্যক্রম বন্ধ ঘোষণার সিদ্ধান্তটি খুব ‘কঠিন’ ছিল। তাঁদের বেঁচে থাকার সম্ভাবনা ‘খুবই কম’ এবং কর্তৃপক্ষ আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে মনে করছে এর চেয়ে বেশি আর কিছু করা যেত না।