২০০৮ থেকে ২০১৬—আট বছর দারুণভাবে সামলেছেন বার্সেলোনার রক্ষণের ডান পাশ। রক্ষণে যেমন ভরসার প্রতীক হয়ে ছিলেন, তেমনি ডান পাশ দিয়ে বার্সেলোনার অনেক আক্রমণের রচয়িতাও ছিলেন দানি আলভেজ। ব্রাজিলের এই রাইটব্যাক ২০১৬ সালে জুভেন্টাসে পাড়ি জমানোর পর রক্ষণের ডান পাশটা সামলানো নিয়ে সমস্যায় পড়ে ক্যাম্প ন্যুয়ের দলটি। সেই সমস্যা কাটছিলই না। এ কারণেই বার্সেলোনার কোচ হয়ে ফিরে সাবেক সতীর্থকে ক্যাম্প ন্যুতে ফিরিয়ে আনেন জাভি হার্নান্দেজ।
কিন্তু আলভেজকে দিয়ে আর কত দিন চলবে! বয়স হয়ে গেছে ৩৯ বছর। আগের মতো সেই ধার কি আর আছে ব্রাজিলিয়ান ডিফেন্ডারের! বয়সের কারণেই এখন আর আগের মতো ওভারল্যাপ করে সময়মতো রক্ষণে ফিরতে পারেন না। তা ছাড়া আর বেশি দিন হয়তো তাঁর পক্ষে পেশাদার ফুটবল খেলা সম্ভবও হবে না। তাই আলভেজের বিকল্প খুঁজছে বার্সেলোনা। যা গুঞ্জন, তাতে মনে হতে পারে, আলভেজের অভাবটা হয়তো বার্সা পূরণ করতে যাচ্ছে এক ব্রাজিলিয়ানকে দিয়েই!
দমিলসন কোরদেইরো দস সান্তোস, ডাকনাম দোদো। ব্রাজিলিয়ান এই ডিফেন্ডার এখন আছেন শাখতার দোনেৎস্কে। ব্রাজিলের ক্লাব করিতিবা থেকে ২০১৮ সালে শাখতারে নাম লেখান এ রাইটব্যাক। এক মৌসুম ভিতোরিয়া গিমারেসে ধারে খেলার পর ফিরে যান শাখতারে। ক্লাবটির হয়ে ৫৫টি ম্যাচ খেলেছেন। আলভেজের মতোই রক্ষণের পাশাপাশি আক্রমণেও রাখতে পারেন ভূমিকা। ৫৫ ম্যাচে ৩টি গোলও করেছেন দোদো।
শাখতারের সঙ্গে দোদোর বর্তমান চুক্তির মেয়াদ ২০২৫ সাল পর্যন্ত। কিন্তু গুঞ্জন আছে, সেখানে আর তিনি খেলতে চান না। এ ছাড়া ইউক্রেনে রুশ আগ্রাসনের কারণে সেখানে খেলাও হচ্ছে না দোদোর! সুযোগটা কাজে লাগাতে চায় বার্সেলোনা। তবে এটাও শোনা যাচ্ছে, ব্রাজিল অনূর্ধ্ব–২৩ দলের ডিফেন্ডার দোদোকে পেতে চায় রিয়াল মাদ্রিদ আর বায়ার্ন মিউনিখও। ২৩ বছর বয়সী ডিফেন্ডারকে পাওয়ার দৌড়ে নাকি ইতালির ক্লাব ফিওরেন্তিনা আর ইংল্যান্ডের টটেনহামও আছে।
শোনা যাচ্ছে বার্সেলোনার সঙ্গে নতুন চুক্তি করবেন আলভেজ। শেষ পর্যন্ত যদি দোদো ক্যাম্প ন্যুকে ঠিকানা করতে পারেন, তাহলে স্বদেশি আলভেজের ছায়াতেই তৈরি হবে আরেকজন আলভেজ!