>ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোর বিরুদ্ধে ২০০৯ সালে ধর্ষণের অভিযোগ তুলেছেন যুক্তরাষ্ট্রের এক নারী মডেল ক্যাথরিন মায়োরগা, এ পুরোনো খবর। কিন্তু রোনালদোর সে সময়ের প্রেমিকা নেরেইদা গ্যালার্দোর মতে, এমন জঘন্য কাজ করতেই পারেন না রোনালদো, রোনালদো অমন মানুষই নন!
২০০৮ সালে সুপার মডেল নেরেইদা গ্যালার্দোর সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়েছিলেন পর্তুগিজ তারকা ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো। বেশি দিন টেকেনি সেই সম্পর্ক, মাত্র আট মাসেই সব চুকেবুকে গিয়েছিল। সম্পর্কের মেয়াদ আট মাস হলেও এ সময়ে রোনালদোকে বেশ ভালো মানুষ হিসেবেই চিনেছেন নেরেইদা। তাই, রোনালদোর বিরুদ্ধে ধর্ষণ-বিতর্কটা ঠিক বিশ্বাস করতে পারছেন না তিনি। তাঁর মতে, এমন জঘন্য কাজ রোনালদোর মতো কেউ করতে পারেই না! নেরেইদার মতে, রোনালদো একজন আদর্শ পুরুষ।
রীতিমতো রোনালদোর প্রশংসাই করেছেন নেরেইদা, ‘আমি অনেক মানুষের সঙ্গেই সম্পর্কে জড়িয়েছি, অনেকেই আমার সঙ্গে দুর্ব্যবহার করেছে, জোর জবরদস্তি করার চেষ্টা করেছে, কিন্তু ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো অবশ্যই তাদের মধ্যে কেউ নয়। রোনালদো অনেক সাহসী ছিল, অনেক ভালোবাসত আমাকে। সে কখনই আমার সঙ্গে জোরাজুরি করার চেষ্টা করেনি, তেমন কুমতলব নিয়ে কাছেই আসেনি কখনো। তাই রোনালদোর বিরুদ্ধে যখন ধর্ষণের অভিযোগ আসল, আমি বড় ধাক্কাই খেয়েছি। কিছুতেই বিশ্বাস করতে মন চায়নি। আমি ভাবতেই পারি না রোনালদোর মতো একজন কীভাবে মেয়েদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করে!’
নেরেইদা রোনালদোর পক্ষে আদালতে সাক্ষী দিতেও রাজি আছেন, ‘এখনো পর্যন্ত কেউ আমাকে সেই প্রস্তাব (রোনালদোর পক্ষে সাক্ষ্য দেওয়ার) দেয়নি, তবে কেউ যদি আমাকে সাক্ষ্য দিতে বলে, আমি অবশ্যই তার হয়ে আদালতে সাক্ষী দেব।’
এদিকে সাবেক আমেরিকান মডেল ও মামলার বাদী ক্যাথরিন মায়োরগার অনুরোধে একটি ধর্ষণ মামলা আবারও পুনরুজ্জীবিত করেছে লাস ভেগাস পুলিশ। বলা হচ্ছে, ২০০৯ সালে রিয়াল মাদ্রিদে যোগ দেওয়ার মুহূর্তে যুক্তরাষ্ট্রে ছুটি কাটাচ্ছিলেন রোনালদো। এ সময় নেভাদার লাস ভেগাসের এক নৈশক্লাবে তিনি ক্যাথরিন মায়োরগাকে ধর্ষণ করেন এবং সেটি গোপন রাখতে ৩ লাখ ৭৫ হাজার ডলারে সমঝোতা করেন। মায়োরগার দাবি, ধর্ষণের পরদিনই তিনি পুলিশের কাছে অভিযোগ করেছিলেন। কিন্তু তাঁর আইনজীবী ও রোনালদোর আইনি দলকে নাকি জানানো হয়েছিল, তারা সমঝোতা করলে পুলিশ আপত্তি করবে না। ধর্ষণের শিকার হওয়ার পর সামাজিকভাবে হেয় প্রতিপন্ন হওয়া ও রোনালদো-ভক্তদের কাছ থেকে হয়রানির কথা ভেবে ৩ লাখ ৭৫ হাজার ডলার ক্ষতিপূরণ মেনে নেন মায়োরগা ও তাঁর আইনজীবী। সে সঙ্গে এ তথ্য কখনো প্রকাশ করা যাবে না, চুক্তিপত্রে এই স্বীকারোক্তি আদায় করা হয় বাদীর কাছ থেকে। ‘হ্যাশট্যাগ মিটু’ আন্দোলনের পর ক্যাথরিন নিজের পরিচয় প্রকাশের সাহস পেয়েছেন বলে দাবি করা হচ্ছে।
এদিকে ধর্ষণের মতো ভয়ংকর এক অভিযোগ ওঠার পরেও রোনালদো শতভাগ আত্মবিশ্বাসী, ‘আমি এবং আমার আইনজীবী এই ব্যাপারে পুরোপুরি আত্মবিশ্বাসী। সত্য সব সময়ই সবার আগে। সবচেয়ে বড় সত্য হচ্ছে আমি ফুটবলকে উপভোগ করে যাচ্ছি।’