ডি ইয়ং
ডি ইয়ং

সাবেক খেলোয়াড়দের হতাশা

দেখে মনে হয় পিঠে আলুর বস্তা নিয়ে নামছেন ডি ইয়ং

চ্যাম্পিয়নস লিগ থেকে কাল রাতে বাদ পড়েছে বার্সেলোনা। এ মৌসুমে কাতালান ক্লাবটি যেমন খেলছে, এতে খুব বেশি বিস্মিত হওয়ার লোক খুঁজে পাওয়া কঠিন। গ্রুপে ৬ ম্যাচে মাত্র ২ গোল করেছে বার্সেলোনা। ফরোয়ার্ডদের  মতো ব্যর্থ বার্সার মাঝমাঠ আর রক্ষণভাগও। এর মধ্যেও গত কিছুদিন একটু আলো ছড়িয়েছিলেন ফ্র্যাঙ্কি ডি ইয়ং।

কাল রাতে ডাচ মিডফিল্ডার ছিলেন অনুজ্জ্বল। তাঁর খেলা দেখে মনেই হয়নি, এই মিডফিল্ডারকে পেতে একসময় কাড়াকাড়ি পড়ে গিয়েছিল ইউরোপের পরাশক্তিদের মধ্যে। কালকের পারফরম্যান্স দেখে তাঁর সমালোচনা হচ্ছে। স্প্যানিশ দলগুলোর ক্ষেত্রে যা হয়, বিদেশি খেলোয়াড়দের ক্ষেত্রেই সমালোচনার তিরটা বেশি ছোড়া হয়।

তবে ডি ইয়ংকে নিয়ে হতাশ তাঁর দেশের মানুষ। তা–ও যেনতেন লোক নন, নেদারল্যান্ডস জাতীয় দলে খেলা পূর্বসূরিরাই ডি ইয়ংকে নিয়ে চিন্তায় পড়ে গেছেন। এই মিডফিল্ডারকে দেখে নাকি মনে হচ্ছে, পিঠে ৫০ কেজির আলুর বস্তা নিয়ে মাঠে নামছেন!

ডি ইয়ং

২০১৯ সালে ৮ কোটি ৬০ লাখ ইউরোর বিনিময়ে আয়াক্স থেকে ডি ইয়ংকে নিয়েছিল বার্সেলোনা। আয়াক্সের হয়ে মাঝমাঠে খেলা নিয়ন্ত্রণ করা ডি ইয়ং মাঝেমধ্যেই নিজের সামর্থ্য দেখালেও পরিপূর্ণ খেলাটা কখনো দেখাতে পারেননি। জাভির অধীনে প্রথম কয়েকটি ম্যাচে আবার ঔজ্জ্বল্য ছড়াচ্ছিলেন। কিন্তু কাল তাঁর খেলা দেখে চেনার উপায়ই ছিল না। সাবেক ডাচ ডিফেন্ডার রন ভ্লার তো রীতিমতো দুশ্চিন্তায় পড়ে গেছেন, ‘এখন সে এমনভাবে খেলে, দেখে মনে হয় পিঠে ৫০ কেজির আলুর বস্তা বেঁধে নেমেছে। আমরা সবাই জানি সে কী দিতে পারে, কিন্তু এই দলে সেটা দেখাতে পারছে না। সে একদম ভুল জায়গায় খেলছে।’

লিরয় সানের গোলের মুহূর্তে ডি ইয়ং

অ্যাস্টন ভিলার সাবেক ডিফেন্ডারের ধারণা, বার্সেলোনা ছেড়ে এখনই অন্য কোনো দলে যাওয়া উচিত ডি ইয়ংয়ের। ভ্লার বলছেন, আয়াক্স ছেড়ে বার্সেলোনা বেছে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়ে নির্ঘাত অনুশোচনা হচ্ছে ২৪ বছর বয়সীর। আরটিএলসেভেনকে বলেছেন, ‘আমার মনে হয় সে যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে, তা নিয়ে এখন মাথা চুলকায়। সে তো বায়ার্ন মিউনিখেও যেতে পারত। আপনার কী মনে হয়, সে বায়ার্ন মিউনিখে অন্য রকম খেলত না? আয়াক্সে তো তাই করত। এমন এক দলে গিয়ে ভুল করেছে। বার্সেলোনায় এখন সে দল নেই এবং তারা টাকাও খরচ করতে পারবে না।’

ডি ইয়ং

সাবেক লিভারপুল ফরোয়ার্ড ডির্ক কাউটও হতাশ ডি ইয়ংয়ের খেলায়, ‘সে সব সময় দলের খেলা বদলে দেওয়ার ক্ষমতা রাখে। ও আরেকটু সামনে খেললেই খুশি হতাম। গোল করার মতো অবস্থানে গেলে ভালো লাগত। কিন্তু সে শট নেওয়ার মতো জায়গাতেই যায়নি। ওর মধ্যে এটা আবার দেখতে পারলে ভালো লাগত, কারণ আগে সব সময় সে এটা করত। সে দুর্দান্ত এক খেলোয়াড়, সে ইউরোপের সেরাদের মধ্যে আছে।’