>সামারায় ডেনমার্ক-অস্ট্রেলিয়া ম্যাচটি ১-১ গোলে ড্র হয়েছে। ৭ মিনিটে ক্রিস্টিয়ান এরিকসেনের গোলে এগিয়ে যায় ডেনমার্ক। ৩৮ মিনিটে মিলে জেডিনাকের গোলে সমতা আনে সকুরারা।
ম্যাচটা হারলেই রাশিয়া বিশ্বকাপ থেকে বিদায় নিশ্চিত হয়ে যেত অস্ট্রেলিয়ার। জিততে না পারলেও অন্তত হারা যাবে না—দ্বিতীয় পর্বের আশা টিকিয়ে রাখতে এই ছিল সকারুদের সমীকরণ। সামারায় ডেনমার্কের বিপক্ষে ১-১ ড্র করে দ্বিতীয় পর্বের আশা বাঁচিয়ে রাখল অস্ট্রেলিয়া। বেঁচে গেল ডেনমার্কও। দ্বিতীয়ার্ধে সকারুরা যে আক্রমণ করেছে, তাতে ম্যাচ কোনোভাবে ড্র করে মাঠ ছাড়তে পেরেই খুশি হওয়ার কথা ডেনিশদের।
বিশ্বকাপ ইতিহাসে ডেনমার্ক কখনো নিজেদের প্রথম দুই ম্যাচে জেতেনি। এবার পারবে ডেনিশরা, এমন ইঙ্গিত মিলেছিল ম্যাচের ৭ মিনিটেই। দারুণ এক সুযোগ পেয়ে ক্ষিপ্র গতিতে ডি-বক্সে ঢুকে পড়া নিকোলাই ইয়ুর্গেনসন শেষ মুহূর্তে পেছনে থাকা এরিকসনকে বল বাড়িয়ে দিলেন। বুলেট গতিতে বল জালে পাঠাতে ভুল করেননি ডেনিশ মিডফিল্ডার।
পোলান্ড অবশ্য এই অগ্রগামিতা নিয়ে প্রথমার্ধ শেষ করতে পারেনি। ৩৭ মিনিটে অস্ট্রেলিয়ার কর্নার হেডে বল ক্লিয়ার করতে গিয়ে ডি-বক্সে হ্যান্ডবল হলো ইউসুফ পুলসেনের। সাদা চোখে বুঝতে অসুবিধা হওয়ায় রেফারি পরে ভিএআরের সহায়তা নিলেন। ভিএআরে দেখা গেছে, পুলসেনের হাতে বল ভালোভাবেই লেগেছে। যদিও সেটি ইচ্ছাকৃত কি না, সেটি নিয়ে প্রশ্ন থাকতে পারে। ভাগ্যের ছোঁয়ায় পেনাল্টি কাজে লাগাতে ভুল করেননি জেডিনাক।
এ ঘটনায় দুই দিক থেকেই ভুগেছে ডেনমার্ক। গোল হজম তো করতেই হয়েছে, টানা দুই ম্যাচ হলুদ কার্ড দেখে পরের ম্যাচ খেলা হবে না প্রথম ম্যাচের গোলদাতা পুলসেনের।
দ্বিতীয়ার্ধে ম্যাচটা জেতার প্রাণপণ চেষ্টা করেছে অস্ট্রেলিয়া। বারবার আক্রমণের ফলা হয়ে ডেনিশ রক্ষণে ঢুকেছেন সকারু ফরোয়ার্ডরা। কখনো তারা ডেনমার্কের রক্ষণ ভাঙতে পারেনি, কখনোবা নিজেরাই সুযোগ হাতছাড়া করেছে। অস্ট্রেলিয়ার দাপট এতটাই ছিল, দ্বিতীয়ার্ধে ডেনমার্ককে খুঁজে পাওয়াই মুশকিল ছিল! ভাগ্যের ছোঁয়ায় ম্যাচে ফিরলেও আফসোস থাকবেই, ড্র মেনে নিয়ে আজ মাঠ ছাড়তে হলো।