আজই খবর এসেছে, মার্কো আসেনসিওর চুক্তি নবায়ন করতে চায় রিয়াল মাদ্রিদ। ২০১৬/১৭ মৌসুমে যে ঝলক দেখিয়েছিলেন, সেটা বহুদিন ধরেই দেখা যায় না। দলে উইঙ্গারের অভাব নেই, বহুদিন ধরে ফর্মে নেই স্প্যানিশ এই খেলোয়াড়, তবু আসেনসিওর চুক্তি নবায়ন করার ইচ্ছার খবরে অনেকেই বিস্ময় প্রকাশ করছিলেন। গ্রানাদার বিপক্ষে তাই নিজেকে প্রমাণের দায় ছিল আসেনসিওর।
আসেনসিও সেটা কিছুটা করেও প্রমাণ করেছেন। গ্রানাদার বিপক্ষে রিয়াল নিজদের শক্তি দেখিয়েছে আজ। প্রতিপক্ষের মাঠ থেকে ৪-১ গোলের জয় নিয়ে লিগে আবার শীর্ষে উঠে এসেছে রিয়াল মাদ্রিদ।
প্রতিপক্ষের মাঠে রিয়ালকে ১৯ মিনিটে এগিয়ে দিয়েছেন মার্কো আসেনসিও। ১৯ মিনিটে গোলের শুরুটা হয়েছিল ভিনিসিয়ুসের মাধ্যমে। মাঝমাঠের একটু সামনে প্রতিপক্ষের কাছ থেকে বল কেড়ে নিয়েছিলেন প্রথমার্ধের বাকি সময় অনুজ্জ্বল থাকা ব্রাজিলিয়ান উইঙ্গার। সেখান থেকে বল পেয়ে থ্রু বল বাড়িয়ে দেন টনি ক্রুস। বল নিয়ে এক টানে ছুটে বক্সে ঢুকে যান আসেনসিও। আগুয়ান গোলরক্ষকের স্পর্শ নিয়েও বল চলে যায় জালে।
৬ মিনিট পর রিয়ালকে দ্বিতীয় গোল এনে দেন নাচো। কর্নার থেকে ক্রুস পাস দেন মদরিচকে। মদরিচ আবার বল ফেরত দেন জার্মান মিডফিল্ডারকে। ক্রুসের পাস থেকে শুধু পা ছোঁয়াতে হয়েছিল রিয়াল ডিফেন্ডারকে।
অবশ্য ৯ মিনিট পরই এই নাচোই বিপদে ফেলে দেন রিয়ালকে। প্রতিপক্ষের পা থেকে বল কেড়ে নিয়ে প্রথম গোল এনে দেওয়া ভিনিসিয়ুস এবার নিজেদের অর্ধে বল খোয়ালেন। আর সেখান থেকে বল পেয়ে বেশ জোড়ে শট নিয়েছিলেন লুইস সুয়ারেজ। বলের দিকে ঝাঁপ দিয়েছিলেন থিবো কোর্তোয়া। কিন্তু বল নাচোর গায়ে লেগে দিক বদলে চলে যায় জালে। প্রথমার্ধের একদম শেষ মুহূর্তে একক প্রচেষ্টায় গোল করার চেষ্টা করেছিলেন করিম বেনজেমা। কিন্তু গ্রানাদা গোলরক্ষক ম্যাক্সিমিয়ানো দারুণ এক ডাইভে দলকে রক্ষা করেছেন।
দ্বিতীয়ার্ধের শুরু থেকেই একের পর এক আক্রমণ করছিল রিয়াল। ৫৩ মিনিটে গোলের চরম এক সুযোগ নষ্ট করেছিলেন বেনজেমা। পরে যদিও অফসাইডের কারণে সে গোল টিকত না বলেই জানা গেছে। ৩ মিনিট পরই অবশ্য বেনজেমা সে ভুল ভুলিয়ে দিয়েছেন। দারুণ নিয়ন্ত্রণে বল নিয়ে আবার ঢুকে পড়েন বক্সে। বেনজেমা বল বাড়িয়ে দেন বাঁ পোস্টের কাছে থাকা মদরিচকে। মদরিচ শট না নিয়ে ফাঁকায় থাকা ভিনিসিয়ুসের দিকে বাড়িয়ে দেন। গোল করতে কোনো ভুল করেননি ভিনিসিয়ুস।
৬৭ মিনিটে ম্যাচটা শেষ করে দিয়েছেন ওই ভিনিসিয়ুস। বাঁ প্রান্তে বল পেয়ে একাই ছুটছিলেন। একবার বল নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাওয়ার পরও আবার দখলে নিয়ে কর্নারের কাছে গিয়ে ঢোকার চেষ্টা করছিলেন। তাঁকে আটকাতে দুই পা দিয়ে ট্যাকল করার চেষ্টা করেন গ্রানাদার মনচু। সরাসরি লাল কার্ড দেখে বেড়িয়ে যান মনচু। আর এই সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ জানাতে গিয়ে লাল কার্ড দেখেন কোচ রবার্ত মরেনো।
বাড়তি একজন পেয়ে আক্রমণের গতি বাড়ায় রিয়াল। ৭৫ মিনিটে ফারলাঁ মেন্দিকে গোল বঞ্চিত করেছেন ম্যাক্সিমিয়ানো। কিন্তু পরের মিনিটেই গ্রানাদা রক্ষণকে ঘোল খাইয়ে গোল করেন রিয়ালের লেফটব্যাক।