থ্যাঙ্কগডই চট্টগ্রাম আবাহনীর মূল ভরসা। আজ মুন্সিগঞ্জে হ্যাটট্রিক করেছেন এই স্ট্রাইকার
থ্যাঙ্কগডই চট্টগ্রাম আবাহনীর মূল ভরসা। আজ মুন্সিগঞ্জে হ্যাটট্রিক করেছেন এই স্ট্রাইকার

থ্যাঙ্কগডকে চট্ট. আবাহনীর ‘থ্যাঙ্ক ইউ’

হারের দিকেই এগিয়ে যাচ্ছিল চট্টগ্রাম আবাহনী। শেষ বাঁশি বাজার অপেক্ষা তখন। কিন্তু দিনের শেষ ঝলকটা তখনো জমিয়ে রেখেছিলেন পিটার থ্যাঙ্কগড। শেষ মুহূর্তে গোল করে শুধু সাইফ স্পোর্টিং ক্লাবের হাতের মুঠো থেকে জয়টা বের করে এনে দলকে শুধু ড্র উপহারই দিলেন না নাইজেরিয়ান এই স্ট্রাইকার, হ্যাটট্রিকও।

তাঁর হ্যাটট্রিকেই মুন্সিগঞ্জ ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট মতিউর রহমান স্টেডিয়ামে প্রিমিয়ার লিগে ৩-৩ গোলের এক নাটকীয় ম্যাচ দেখলেন ফুটবল–সমর্থকেরা।

বল দখলের লড়াইয়ে আশরুর গফুরোভ ও থ্যাঙ্কগড

লিগে এটি দ্বিতীয় হ্যাটট্রিক। আজকের হ্যাটট্রিক নিয়ে মোট ৬ গোল করে এখন পর্যন্ত সর্বোচ্চ গোলদাতা থ্যাঙ্কগড। তাঁর আগে টঙ্গীর শহীদ আহসান উল্লাহ মাস্টার স্টেডিয়ামে রহমতগঞ্জ মুসলিম ফ্রেন্ডস সোসাইটির বিপক্ষে প্রথম হ্যাটট্রিকটি করেছিলেন আবাহনী লিমিটেডের ব্রাজিলিয়ান দরিয়েলতন গোমেজ। লিগে এখন পর্যন্ত তাঁর গোল ৫টি।

তিন–তিনবার পিছিয়ে পড়েও ম্যাচটি ড্র করেছে মারুফুল হকের দল। লিগে এখন পর্যন্ত অপরাজিত তাঁর দল চট্টগ্রাম আবাহনী। আজ মোট ৬ গোলের ম্যাচের ৪টি গোলই হয়েছে দ্বিতীয়ার্ধে। ৩টি গোল এসেছে পেনাল্টি থেকে। এর মধ্যে ২টি সাইফের আর ১টি চট্টগ্রাম আবাহনীর।

দুর্দান্ত গোলে গোলের মেলাটা বসিয়েছিলেন সাইফের স্থানীয় ফরোয়ার্ড সাজ্জাদ হোসেন। মাঝমাঠ থেকে ডান প্রান্তে থ্রু দিয়েছিলেন উজবেকিস্তানের মিডফিল্ডার আশরুর গফুরোভ।

চট্টগ্রাম আবাহনীর লেফটব্যাক শোয়েব মিয়াকে ঘোল খাইয়ে বক্সে ঢুকে বাঁ পায়ের শটে গোলটি করেছেন সাজ্জাদ। সাইফের বাকি গোল ২টি এসেছে পেনাল্টি থেকে। স্পটকিক থেকে বল জালে জড়িয়ে ২টি গোলই করেছেন নাইজেরিয়ার স্ট্রাইকার এমেকা ওগবুগ।

দুর্দান্ত গোল করে সাইফ স্পোর্টিংকে এগিয়ে নিয়েছিলেন সাজ্জাদ হোসেন

সাজ্জাদ আর এমেকা মিলে সাইফকে এগিয়ে নিয়েছেন তিনবার। প্রতিবারই সেই ক্ষতে প্রলেপ দিয়েছেন থ্যাঙ্কগড। তাঁর প্রথম গোলটি ছিল যোগ করা সময়ে পেনাল্টি থেকে। দ্বিতীয় গোলটি ৬৮ মিনিটে মিডফিল্ডার সোহেল রানার সঙ্গে দুর্দান্ত এক রসায়নে।

মাঝমাঠ থেকে রক্ষণচেরা পাস দিয়েছিলেন সোহেল, পোস্ট ছেড়ে বের হয়ে এগিয়ে আসা সাইফের গোলরক্ষক মিতুল হাসান বলের নাগাল পাওয়ার আগেই স্লাইডিং করে বলটা জালে পাঠিয়ে দেন থ্যাঙ্কগড—২-২।

৮০ মিনিটে পেনাল্টি থেকে ৩-২ করেছিলেন ওগবুগ। লিগে প্রথম হারের দিকে এগিয়ে যাচ্ছিল চট্টগ্রাম। যোগ করা তৃতীয় মিনিটে সেটি হতে দিলেন না থ্যাঙ্কগড। যোগ করা সময়ে গোলমুখ থেকে কেহিন্দে ইসার শট দারুণভাবে ঠেকিয়েছিলেন সাইফের গোলকিপার মিতুল।

বল বাতাসে ভাসা অবস্থায় থ্যাঙ্কগড হেড করলে মিতুলের হাত ফসকে জালে জড়িয়ে যায়। হ্যাটট্রিক করে দলকে হারের হাত থেকে বাঁচানোর জন্য থ্যাঙ্কগডকে বড় একটা ‘থ্যাঙ্ক ইউ’ জানাতেই পারে চট্টগ্রাম আবাহনী।

এই ড্রয়ে ৫ ম্যাচে ৯ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের চতুর্থ স্থানে চট্টগ্রাম আবাহনী। ৭ পয়েন্ট নিয়ে ষষ্ঠ স্থানে সাইফ।