>সরে দাঁড়াবেন না সাম্পাওলি। বিশ্বকাপ তাঁর কাছে হতাশা, ব্যর্থতা নয়।
দুঃস্বপ্নের এই বিশ্বকাপের পর কোচ হোর্হে সাম্পাওলির বিদায়ই কাম্য আর্জেন্টিনা–সমর্থকদের। কিন্তু এই কোচ বলছেন, তিনি কোচের পদ ছাড়তে চান না।
যেকোনো বিপর্যয়ের পরপরই কোচের পদে পরিবর্তন আসাটা খুবই স্বাভাবিক। আর যেখানে সাম্পাওলির কৌশল ও দল নির্বাচনের পাশাপাশি খেলোয়াড়দের সঙ্গে তাঁর বোঝাপড়া নিয়ে প্রশ্ন আছে, সেখানে ফ্রান্সের বিপক্ষে হেরে বিশ্বকাপ থেকে বিদায় নেওয়ার পরপরই তাঁর দিকে ছুটে গিয়েছিল প্রশ্ন—পদত্যাগ করবেন কি না!
এই প্রশ্নের উত্তরটা আর্জেন্টিনা কোচ দিয়েছেন বেশ কৌশল করেই। কথার মারপ্যাঁচে, ‘দেখুন, আমি যেখানে আছি, আর যেখানে যাওয়ার ক্ষমতা রাখি, তার পরিপ্রেক্ষিতে আমি আর্জেন্টিনার কোচের পদ থেকে সরে দাঁড়াতে চাই না।’
রাশিয়া বিশ্বকাপে আর্জেন্টিনার এই ফলকে হতাশার বললেও ব্যর্থতা বলতে চান না সাম্পাওলি, ‘অবশ্যই এটা তাঁর কাছে কষ্টের অভিজ্ঞতা। তবে এটা ব্যর্থতা নয়।’
বিশ্বকাপে একেক ম্যাচে একেক একাদশ, একেক ম্যাচে একেক কৌশল—সাম্পাওলির সক্ষমতাকেই প্রশ্নবিদ্ধ করেছে। ফ্রান্সের বিপক্ষে দ্বিতীয় রাউন্ডের ম্যাচে লিওনেল মেসিকে ‘ফলস নাইনে’র ভূমিকায় রাখাটা কতটা যুক্তিযুক্ত হয়েছে, সেটি নিয়েও প্রশ্নবাণে পড়েছেন সাম্পাওলি। তিনি অবশ্য স্বীকার করেছেন, রাশিয়া বিশ্বকাপে আসলে ‘কী করলে কী হবে’ —এ ব্যাপারে কোনো পরিষ্কার পরিকল্পনা বা ভাবনা তাঁর দলের ছিল না, ‘আমরা যা চেয়েছি, সেটা আমাদের মাথায় ছিল। আমরা জিততে চেয়েছি—আমাদের ভাবনায় এটাই ছিল। আমরা বিভিন্ন কৌশল নিয়ে ভেবেছি। প্রয়োগ করেছি। খুব সম্ভবত আমাদের ভাবনা বিশ্বকাপ জয়ের উপযুক্ত ছিল না। আমরা বিশ্বকাপে প্রয়োজন অনুসারে অনেক পরিকল্পনা নিয়েছি। হয়তো সে পরিকল্পনাগুলো সম্পর্কে পরিষ্কার ধারণা আমাদের ছিল না।’
মেসির নিষ্ক্রিয়তা নিয়ে কোনো অভিযোগ নেই সাম্পাওলির। তিনি বরং স্বীকার করেছেন মেসির মতো খেলোয়াড়কে ব্যবহার করতে ব্যর্থ হয়েছে তাঁর দল, ‘বিশ্বের সেরা খেলোয়াড়ই আমাদের দলে ছিল, আমাদের উচিত ছিল সবাই মিলে মেসির অনুকূলে পরিস্থিতি তৈরি করা। আমরা তার জন্য বিভিন্ন কৌশল প্রয়োগ করেছি। তাকে ঘিরে খেলা, তার জন্য জায়গা বের করা, অনেক সময় সে যা করতে চেয়েছে, সেটাই করতে দেওয়ার চেষ্টা করেছি। কিন্তু বেশির ভাগ সময়ই সেটা আমরা করতে পারিনি। প্রয়োগ করতে পারিনি সে ভাবনাগুলো।’