শেষ পর্যন্ত শাস্তি পেলেন পিএসজির উইঙ্গার আনহেল ডি মারিয়া।
শেষ পর্যন্ত শাস্তি পেলেন পিএসজির উইঙ্গার আনহেল ডি মারিয়া।

থুতু ছিটিয়ে চার ম্যাচ নিষিদ্ধ ডি মারিয়া

বাঁচতে পারলেন না আনহেল ডি মারিয়া। প্যারিস সেন্ট-জার্মেইর (পিএসজি) আর্জেন্টাইন উইঙ্গারকে শেষ পর্যন্ত নিষিদ্ধ হতেই হলো। ফ্রেঞ্চ লিগ ‘আঁ’তে পিএসজি-মার্শেই ম্যাচের মারামারির ঘটনার জেরেই কাল ডি মারিয়াকে চার ম্যাচের জন্য নিষিদ্ধ করেছে ফ্রেঞ্চ লিগ কর্তৃপক্ষ।

১৪ সেপ্টেম্বর অলিম্পিক মার্শেইয়ের বিপক্ষে ওই ম্যাচে ০-১ গোলে হারে নেইমার-ডি মারিয়ার পিএসজি। লিগে পিএসজির টানা দ্বিতীয় হার ছিল সেটি। ম্যাচের শেষ দিকে মারামারিতে জড়িয়ে পড়েন দুই দলের খেলোয়াড়েরা।

রেফারি সরাসরি লাল কার্ড দেখিয়ে মাঠ থেকে বের করে দিয়েছিলেন পিএসজির লিয়ান্দ্রো পারেদেস ও লেভিন কুরজাওয়া এবং মার্শেইর দারিও বেনেদেত্তো ও জর্দান আমাভিকে। পরে ভিডিও অ্যাসিস্ট্যান্ট রেফারি বা ভিএআর দেখে পিএসজির ব্রাজিলিয়ান তারকা নেইমারকেও লাল কার্ড দেখান রেফারি। পরে এক থেকে ছয় ম্যাচের জন্য নিষিদ্ধ করা হয় এই খেলোয়াড়দের।

ফুটবল ম্যাচ সেদিন বক্সিং দেখেছিল। ১৪ সেপ্টেম্বর লিগ আঁ’তে পিএসজি-মার্শেই ম্যাচে।

সেদিন রেফারি বা ভিএআরের চোখ এড়িয়ে গেলেও মার্শেইর কোচ আন্দ্রে ভিলাস-বোয়াস পরে অভিযোগ করেন তাঁর দলের ডিফেন্ডার আলভারো গঞ্জালেসকে থুতু মেরেছেন ডি মারিয়া। সেই অভিযোগ তদন্ত করেই কাল ডি মারিয়াকে চার ম্যাচের জন্য নিষিদ্ধ করেছে লিগ কর্তৃপক্ষ। নিষিদ্ধ করার কারণ হিসেবে অবশ্য থুতু ছিটানোর কথা উল্লেখ করেনি কর্তৃপক্ষ।

ডি মারিয়ার নিষেধাজ্ঞা কার্যকর হবে ২৯ সেপ্টেম্বর থেকে। যার অর্থ আগামী রোববার লিগে রেঁসের বিপক্ষে খেলতে পারবেন ৩২ বছর বয়সী এই ফুটবলার। তবে এরপর অঁজে, নিম, দিজঁ ও নঁতের বিপক্ষে খেলত পারবেন না তিনি।

নেইমার-গঞ্জালেসের কথা-কাটাকাটি। ১৪ সেপ্টেম্বর লিগ আঁ’তে পিএসজি-মার্শেই ম্যাচে।

যার শরীরের থুতু ছিটানোর অভিযোগ ডি মারিয়ার বিরুদ্ধে সেই আলভারো গঞ্জালেসের মাথার পেছনে চাটি মেরেই লাল কার্ড দেখেছিলেন নেইমার। কার্ড দেখে বেড়িয়ে যাওয়ার সময় ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ড চতুর্থ রেফারির কাছে অভিযোগ করে বলেছিলেন গঞ্জালেস তাঁকে বর্ণবাদী গালি দিয়েছে। পরে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নেইমার লেখেন তাঁর আফসোস হচ্ছে তিনি কেন গঞ্জালেসের মুখে চড় মারেননি।

মার্শেইও নেইমারের বিরুদ্ধে পাল্টা অভিযোগ করেছে। ক্লাবটির দাবি তাদের জাপনি রাইটব্যাক হিরোকি সাকাইকে বর্ণবাদী গালি দিয়েছেন নেইমার। এ ছাড়া গঞ্জালেসকে সমকামী বিদ্বেষী গালি দেওয়ার অভিযোগও করা হয়েছে মারামারির ঘটনায় দুই ম্যাচ নিষিদ্ধ নেইমারে বিরুদ্ধে। ফ্রেঞ্চ লিগ কর্তৃপক্ষ জানিয়েছ আগামী ৩০ সেপ্টেম্বর নেইমারের করা অভিযোগের তদন্ত করবে তারা।