>আন্তর্জাতিক ফুটবল থেকে লিওনেল মেসিকে তিন মাসের জন্য নিষিদ্ধ করেছে দক্ষিণ আমেরিকা ফুটবলের নিয়ন্ত্রক সংস্থা (কনমেবল)। এর আগে কোপা আমেরিকায় কনমেবলের তুমুল সমালোচনা করেছিলেন আর্জেন্টাইন তারকা
দক্ষিণ আমেরিকা ফুটবলের নিয়ন্ত্রক সংস্থাকে (কনমেবল) ‘দুর্নীতিগ্রস্ত’ বলার জন্য আন্তর্জাতিক ফুটবল থেকে তিন মাসের জন্য নিষিদ্ধ হয়েছেন লিওনেল মেসি। এ ছাড়া তাঁকে ৫০ হাজার ডলার জরিমানা করা হয়েছে। শাস্তির বিপক্ষে আপিল করতে সাত দিন সময় পাবেন আর্জেন্টাইন এ তারকা। কাল তাঁকে এ শাস্তি দেয় কনমেবল।
গত কোপা আমেরিকার সেমিফাইনালে ব্রাজিলের কাছে হার ও তৃতীয় স্থান নির্ধারণী ম্যাচে চিলির বিপক্ষে জয়ের পর কনমেবল অফিশিয়াল ও সদস্যদের তুমুল সমালোচনা করেছিলেন মেসি। মেসি দাবি করেছিলেন, স্বাগতিক ব্রাজিলের হাতে শিরোপা তুলে দেওয়ার জন্য সম্ভাব্য সব রকম চেষ্টাই করছে কনমেবল। আর সেমির পরে এসব কথা বলেছিলেন দেখেই পরের ম্যাচে (চিলির বিপক্ষে তৃতীয় স্থান নির্ধারণী) লাল কার্ড দেখানো হয়েছে—এমন দাবিও করেছিলেন পাঁচবারের বর্ষসেরা এ ফুটবলার। পরে অবশ্য নিজ আচরণের জন্য ক্ষমাও চেয়েছিলেন।
চিলির বিপক্ষে সে ম্যাচে লাল কার্ড দেখায় মেসি এরই মধ্যে এক ম্যাচ নিষিদ্ধ হয়েছেন। মার্চে দক্ষিণ আমেরিকা বিশ্বকাপ বাছাইপর্বে আর্জেন্টিনার প্রথম ম্যাচটা খেলতে পারবেন না তিনি। এবার তিন মাস নিষিদ্ধ হওয়ায় সেপ্টেম্বর ও অক্টোবরে চিলি, মেক্সিকো ও জার্মানির বিপক্ষে প্রীতি ম্যাচেও খেলতে পারবেন না। ৫ সেপ্টেম্বর লস অ্যাঞ্জেলসে চিলির মুখোমুখি হবে আর্জেন্টিনা। পাঁচ দিন পর সান আন্তোনিতে তাঁদের প্রতিপক্ষ মেক্সিকো। জার্মানির বিপক্ষে প্রীতি ম্যাচ ৯ অক্টোবর ডর্টমুন্ডে।
মেসিকে ঠিক কী কারণে এ শাস্তি দেওয়া হয়েছে, তা উল্লেখ করা হয়নি কনমেবলের ওয়েবসাইটে। শুধু বলা হয়েছে, এ শাস্তি নিয়ম-শৃঙ্খলা নীতিমালার ৭.১ ও ৭.২ অনুচ্ছেদের সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত। শাস্তির ব্যাপারে সেখানে একটি ধারা এমন, ‘আক্রমণাত্মক, অপমানজনক আচরণ কিংবা যেকোনো মানহানিকর প্রতিবাদ।’ আরেকটি ধারায় বলা হয়েছে, ‘বিচারিক কর্তৃপক্ষের নির্দেশ, সিদ্ধান্ত অমান্য করলে।’
কনমেবলের এ শাস্তি নিয়ে মেসি কিংবা আর্জেন্টিনা ফুটবল অ্যাসোসিয়েশনের (এএফএ) কেউ কোনো মন্তব্য করেনি। তৃতীয় স্থান নির্ধারণী ম্যাচ শেষে পদক নিতে মঞ্চেও যাননি মেসি। পরে বলেছিলেন, ‘পদক নিতে যাইনি। কারণ আমাদের যে অসম্মান করা হয়েছে, সেটি মেনে নিতে পারিনি। তা ছাড়া এই দুর্নীতির অংশ হতে চাই না।’ কনমেবলের উদ্দেশে আর্জেন্টাইন ফরোয়ার্ড আরও বলেছিলেন, ‘কোনো সন্দেহ নেই সবকিছু ব্রাজিলের পক্ষে পাতানো। আমাদের ফাইনালে যেতে দেওয়া হয়নি। দুর্নীতি ও রেফারির জন্য মানুষ ফুটবল উপভোগ করতে পারছে না।’
সেমিফাইনাল ও তৃতীয় স্থান নির্ধারণী ম্যাচে দুটি ঘটনার জন্য খেপেছিলেন মেসি। সেমিতে ব্রাজিলের কাছে ২-০ গোলে হারের ম্যাচে আর্জেন্টিনার দুটি পেনাল্টির দাবি নাকচ করে দেওয়া হয়। আর চিলির বিপক্ষে ম্যাচে বিতর্কিতভাবে দেখেছিলেন লাল কার্ড।