>গ্যাব্রিয়েল জেসুসের জন্য ব্রাজিলের একাদশে সুযোগ মিলছে না রবার্তো ফিরমিনোর। অথচ বদলি হিসেবে মাঠে নেমেও জেসুসের চেয়ে ভালো খেলছেন লিভারপুলের এই ফরোয়ার্ড
আরতিয়ম জিউবাকে দেখে কি ঈর্ষা হয় ফিরমিনোর? এ বিশ্বকাপে বদলি হিসেবে নেমে সবচেয়ে দ্রুততম গোল রাশিয়ান এই ফরোয়ার্ডের। সৌদি আরবের বিপক্ষে ৭০ মিনিটে মাঠে নেমেছিলেন। গোলের দেখা পেতে মাত্র ১ মিনিট ২৯ সেকেন্ড সময় নিয়েছেন। আজ একটুর জন্য জিউবাকে ধরতে পারেননি রবার্তো ফিরমিনো।
লিভারপুল ফরোয়ার্ড আজ মেক্সিকোর বিপক্ষে মাঠে নেমেছেন ৮৬তম মিনিটে। আর নেইমারের পাস যখন তাঁকে খুঁজে নিল, ম্যাচের বয়স তখন ৮৮। আরেকটু নিখুঁত হতে চাইলে, কুতিনহোর সঙ্গে জায়গা বদল করে মাঠে নামা ফিরমিনো গোল করার জন্য সময় নিয়েছেন ২ মিনিট ৪ সেকেন্ড। এ গোলেই কোয়ার্টার ফাইনাল নিশ্চিত হলো ব্রাজিলের।
তবে ফিরমিনোর ঈর্ষা জাগবে অন্য কারণে। সৌদি আরবের বিপক্ষে বদলি নেমে গোল করা জিউবা পরের ম্যাচেই জায়গা পেয়েছেন মূল একাদশে। মিসরের বিপক্ষেও পেয়েছেন গোল। স্পেনকে স্তব্ধ করে দেওয়া শেষ ষোলোর ম্যাচে দলকে সমতা এনে দেওয়ার সুযোগটাও তাই পেয়েছেন এই ফরোয়ার্ড। কিন্তু ফিরমিনো এমন কিছুর আশা করতে পারছেন না এখনো।
কোচ হিসেবে তিতে একটু অনুমেয়। মূল একাদশে কারা থাকবেন, প্রায় সবারই জানা। ফলে বিশ্বকাপের শুরু থেকেই অনুজ্জ্বল খেলেও মূল ফরোয়ার্ড হিসেবে দলে জায়গা অনেকটা নিশ্চিত গ্যাব্রিয়েল জেসুসের। বিশ্বকাপ বাছাইপর্বে দারুণ পারফরম্যান্স দেখিয়ে যে আগেই তিতের মন জয় করে নিয়েছেন ম্যানচেস্টার সিটি ফরোয়ার্ড। এ ছাড়া নেইমার, কুতিনহো ও উইলিয়ানের সঙ্গেও রসায়নটা নাকি ভালো জমে জেসুসের।
ফিরমিনোর সঙ্গেও যে রসায়ন খুব একটা খারাপ তা কিন্তু নয়। কোস্টারিকার বিপক্ষে ফিরমিনো মাঠে নামার পরই কিন্তু দুই গোল পেয়েছিল ব্রাজিল। যখনই মাঠে নেমেছেন, ব্রাজিলের খেলার গতি বেড়েছে। আজ তো গোলই পেয়ে গেলেন। অথচ গ্রুপ পর্বে ২ ম্যাচে নেমেছেন, খেলেছেন মাত্র ৩৩ মিনিট! অর্থাৎ ৩৭ মিনিটে ১ গোল করেছেন ফিরমিনো। একজন স্ট্রাইকারের কাছ থেকে আর কী চান একজন কোচ!
উল্টো দিকে ৩৪৯ মিনিট মাঠে থেকেও কোনো গোল করতে পারেননি জেসুস। শুধু যে গোল করতে পারছেন না সেটাও না, খেলাটাও ঠিক রোমারিও-রোনালদোদের উত্তরসূরির মতো হচ্ছে না তাঁর।
এবারের মৌসুমের কথা চিন্তা করলেও ফিরমিনোকে টপকে দলে সুযোগ পাওয়ার কথা না জেসুসের। সিটির জার্সিতে এবার ২৮৯৪ মিনিট মাঠে থেকে মাত্র ১৭ গোল করেছেন। অর্থাৎ প্রতিটি গোল করতে ১৭০ মিনিট লেগেছে জেসুসের। ওদিকে ফিরমিনো ৪১৮৮ মিনিট মাঠে ছিলেন এবার, মোহাম্মদ সালাহর মতো গোলশিকারির সঙ্গে থেকেও ২৭ গোল করেছেন। অর্থাৎ প্রতি ১৫৫ মিনিটে এক গোল।
বিশ্বকাপের সঙ্গে একই ব্র্যাকেটে না হলেও দ্বিতীয় বা তৃতীয় বন্ধনী জায়গা পেতে পারে যে প্রতিযোগিতা, সেই চ্যাম্পিয়নস লিগেও ১২ গোল ছিল ফিরমিনোর। জেসুসের গোল সেখানে মাত্র ৪টি। তবু তিতের প্রথম পছন্দ জেসুসই।
আজকের গোলের পরও যদি ৬ তারিখের কোয়ার্টার ফাইনালে ফিরমিনো জায়গা না পান, লিভারপুল ফরোয়ার্ড কিন্তু তাহলে জিউবার প্রতি ঈর্ষা নিয়ে তাকাতেই পারেন!