একবারেই ৮ কোটি নাকি প্রথমে সাড়ে ৬ কোটি এবং পরের আরও দেড় কোটি ইউরো—ফ্রেঙ্কি ডি ইয়ংয়ের ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড-যাত্রায় এটুকুই নাকি যা বাধা। অন্তত ইউরোপের দলবদলের গুঞ্জনে কান পাতলে তো এমনটাই শোনা যায়। আর্থিক দুর্দশা কাটিয়ে উঠতে ডাচ মিডফিল্ডার ডি ইয়ংকে বিক্রি করতে বাধ্য হচ্ছে বার্সেলোনা। এবং তাঁকে পেতে আগ্রহী শুধু ইউনাইটেড। আয়াক্সে যাঁর অধীনে খেলে ইউরোপে নজর কেড়েছেন, সেই এরিক টেন হাগ এখন ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডে।
শুরুতে বার্সেলোনা ছাড়তে আপত্তি জানালেও এখন নাকি ভবিষ্যৎ মেনে নিয়েছেন ডি ইয়ং। এখন শুধু দর-কষাকষিতে কোন ক্লাব বেশি পারঙ্গম, সেটি দেখার অপেক্ষা। কিন্তু বার্সেলোনা সভাপতি হোয়ান লাপোর্তা শোনালেন ভিন্ন কিছু, ডি ইয়ংকে নাকি বিক্রির কোনো ইচ্ছা নেই তাঁদের।
বেশ কিছুদিন সংবাদমাধ্যমের সামনে দেখা যায়নি লাপোর্তাকে। গতকাল ইয়োহান ক্রুইফকে স্মরণ করে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে হাজির হয়েছিলেন বার্সা সভাপতি। সুযোগ পেয়ে দলবদলের বাজারে বার্সেলোনাকে নিয়ে সৃষ্ট সব গুঞ্জনের ব্যাপারে নিজের মত জানিয়েছেন লাপোর্তা।
শুরুটা করেছেন ডি ইয়ংকে দিয়ে। এ মৌসুমে এখন পর্যন্ত যে অবস্থা, তাতে নতুন কোনো স্পনসর থেকে অর্থ না পেলে ও খেলোয়াড় কিনতে চাইলে দলের বর্তমান খেলোয়াড় বিক্রি করে এবং খেলোয়াড়দের বেতন কমিয়ে তহবিল সংগ্রহ করতে হবে, সে ক্ষেত্রে বিক্রয়যোগ্য এবং বাজারে আগ্রহ আছে, এমন খেলোয়াড় তালিকায় শুধু ডি ইয়ংকেই পাওয়া যাচ্ছে। অন্য যেসব খেলোয়াড়কে বিক্রি করে বড় অঙ্ক পাওয়া সম্ভব, তাঁরা সবাই কোচ জাভির দলের অবিচ্ছেদ্য অংশ।
লাপোর্তা অবশ্য বলছেন, আনসু ফাতি, পেদ্রি, ফেরান তোরেস বা গাভির মতো ডি ইয়ংকেও ধরে রাখতে চায় বার্সেলোনা, ওকে বিক্রি করার কোনো ইচ্ছাই আমাদের নেই। সে নিজেও থাকতে চায়। তবে এর পরের কথায় তাঁর মূল উদ্দেশ্য টের পাওয়া গেছে। দলবদলের বাজারে অন্য কোনো ক্লাব ডি ইয়ংকে চায় না বলে, দাম বেশি পাচ্ছে না বার্সেলোনা—এমন এক গুঞ্জন শোনা যাচ্ছে। লাপোর্তা সে ধারণা উড়িয়ে দিতে চাইলেন, ‘ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডই একমাত্র ক্লাব না যারা ওকে চায়।’
মধ্যমাঠ থেকে ডি ইয়ংকে বিক্রি করে হোক বা না হোক, আক্রমণে রবার্ট লেভানডফস্কিকে যোগ করতে চাইছে বার্সেলোনা। লেভানডফস্কিও বায়ার্ন মিউনিখ ছাড়তে চান। এখনো মুখ ফুটে বার্সেলোনায় যেতে চান—এটা জানাননি, তবে তাঁর সম্ভাব্য গন্তব্য বার্সেলোনাই। লাপোর্তা অবশ্য কাল এই দলবদল নিয়ে কথা বলতে গিয়ে নিরাপদে হেঁটেছেন, ‘লেভানডফস্কি একজন বায়ার্ন মিউনিখ খেলোয়াড় এবং এ ব্যাপারে কথা বলতে চাচ্ছি না। বার্সেলোনায় আসতে চান, এ কারণে তাঁকে ধন্যবাদ দিতে চাই।’