হেরেই চলেছে বড় বাজেটের দল শেখ রাসেল ক্রীড়া চক্র। প্রিমিয়ার লিগে আজ তারা টানা পঞ্চম ম্যাচ হারল। বসুন্ধরা কিংস অ্যারেনায় নিজেদের হোম ভেন্যুতে শেখ রাসেল ৩-০ গোলে উড়ে গেছে পয়েন্ট তালিকার নিচের দিকের দল মুক্তিযোদ্ধা সংসদ ক্রীড়া চক্রের কাছে। আজ দিনের অন্য ম্যাচে গোপালগঞ্জে উত্তর বারিধারার সঙ্গে গোলশূন্য ড্র করেছে মোহামেডান।
শেখ রাসেল প্রথম দুই ম্যাচে মোহামেডান ও চট্টগ্রাম আবাহনীর সঙ্গে ড্র করেছিল। তৃতীয় ম্যাচে বিতর্কিত পেনাল্টিতে সাইফ স্পোর্টিংয়ের বিপক্ষে জিতেছে। এরপর পথ হারিয়ে ফেলেছে দলটি। আবাহনী লিমিটেডের কাছে ১-৩ গোলে হার দিয়ে বিপর্যয়ের শুরু। শেখ জামাল ধানমন্ডি ও বসুন্ধরা কিংসের কাছে হারের ব্যবধান ০-১। গত ম্যাচে উত্তর বারিধারার সঙ্গে ২ গোলে এগিয়ে থেকেও শেষ পর্যন্ত ২-৩ গোলে হার।
আজ ঘুরে দাঁড়ানোর আশায় মাঠে নেমে উল্টো ৩ গোলে উড়ে গেছে নীল জার্সিধারীরা। দলটির ব্রাজিলিয়ান স্ট্রাইকার এইতন মাদাচো লিগে এখন পর্যন্ত গোলের খাতাই খুলতে পারেননি। পর্তুগিজ ফরোয়ার্ড রুতি তাবারেজ করেছেন মাত্র ১টি গোল। বিদেশিদের সঙ্গে ব্যর্থ স্থানীয়রাও। ফলে একের পর এক ম্যাচ হারছে শেখ রাসেল।
হারের বৃত্তে ঘুরপাক খাচ্ছিল মুক্তিযোদ্ধাও। প্রথম চার ম্যাচেই তারা পয়েন্টশূন্য। পঞ্চম মাচে উত্তর বারিধারার বিপক্ষে আসে জয়। এরপর বাংলাদেশ পুলিশ ও রহমতগঞ্জের কাছে ০-১ গোলে হারের পর আজ লিগে দ্বিতীয় জয় পেয়েছে ধুঁকতে থাকা মুক্তিযোদ্ধা। এ মৌসুমে মাঠে আজই নিজেদের সেরা ম্যাচ খেলেছে লাল জার্সিধারীরা।
আজ ২২ মিনিটে মুক্তিযোদ্ধাকে এগিয়ে নিয়েছেন জাপানি ফরোয়ার্ড সোমা। বক্সের একটু বাইরে থেকে তাঁর বাঁ পায়ের দারুণ শটে লক্ষ্যভেদ। ফিরে আসার অনেক সময় পেলেও শেখ রাসেল উল্টো আরও ২টি গোল খেয়েছে। ৫৪ মিনিটে ফ্রি–কিক থেকে গোলকিপার আশরাফুল ইসলাম বল ফেরালেও ফিরতি বল গড়ানো শটে জালে পাঠান দিদার।
তৃতীয় গোলটি হয়েছে ৮১ মিনিটে। দল আক্রমণে থাকায় পোস্ট ছেড়ে প্রায় মাঝমাঠের কাছাকাছি চলে আসেন রাসেলের গোলকিপার আশরাফুল। কিন্তু পাল্টা আক্রমণে মুক্তিযোদ্ধার এক খেলোয়াড়ের বাড়ানো বল আশরাফুল ধরতে পারেননি। তাঁর কাছ থেকে ছোঁ মেরে বল নিয়ে বাকিটা কাজটা অনায়াসে করেছেন আমিনুর রহমান। আশরাফুল তখনো বক্সের অনেক বাইরে।
কিংসের মাঠে প্রথম ম্যাচেই ভাগ্য ফিরল মুক্তিযোদ্ধার। ৮ ম্যাচে ৬ পয়েন্ট নিয়ে আপাতত ১২ দলের লিগ টেবিলের ১০–এ আছে তারা। সমান ম্যাচে ৫ পয়েন্ট নিয়ে ১১তম স্থানে শেখ রাসেল।
দলের এই ব্যর্থতা নিয়ে জানতে শেখ রাসেলের কোচ সাইফুল বারীর সঙ্গে যোগাযোগ করলেও তিনি ফোন ধরেননি। কর্মকর্তা সালেহ জামান সেলিমকে ফোন করলে তাঁর এক সহকারী জানান, সেলিম মাঠে এসে অসুস্থ হয়ে পড়লে তাঁকে নিকটবর্তী হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে।