টাকা চেয়ে মার খেলেন নাইজেরিয়ান ফুটবলার

ঠোঁট উলটিয়ে আঘাতের চিহ্ন দেখানোর চেষ্টা করছেন মানডে। ছবি: সংগৃহীত
ঠোঁট উলটিয়ে আঘাতের চিহ্ন দেখানোর চেষ্টা করছেন মানডে। ছবি: সংগৃহীত

চলতি মৌসুমে রহমতগঞ্জ মুসলিম ফ্রেন্ডস সোসাইটি থেকে শেখ জামাল ধানমন্ডিতে নাম লেখান নাইজেরিয়ান ফুটবলার মানডে ওসাজিও। কিন্তু ধানমন্ডির ক্লাবটির হয়ে খেলতে গিয়ে শেষ পর্যন্ত মার খাওয়ার অভিজ্ঞতা হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন তিনি।

আজ সন্ধ্যায় মুঠোফোনে মানডে প্রথম আলোকে জানান, ক্লাবের পরিচালক শেখ ইকবাল খোকন তাঁর গায়ে হাত তুলেছেন। তিন মাসের বেতন না দিয়েই তাঁকে ক্লাবের বাসা থেকে বের করে দেওয়ারও অভিযোগ করেন মানডে।

গত মার্চে প্রিমিয়ার লিগ স্থগিত হয়ে যাওয়ার পর মানডেসহ ক্লাবের বিদেশি ফুটবলাররা ধানমন্ডিতে ক্লাবের দেওয়া বাসাতেই ছিলেন। ফেব্রুয়ারি মাসের পর থেকে বেতন পাচ্ছিলেন না তাঁরা। এ নিয়ে গতকাল প্রথম আলোর খেলার পাতায় একটি প্রতিবেদনও ছাপা হয়েছে। আর আজ বিকেলেই ক্লাবের গভর্নিং বডির চেয়ারম্যান মনজুর কাদেরের অফিসে ডেকে পাঠানো হয় বিদেশি খেলোয়াড়দের। সেখানেই নাকি ঘটেছে অপ্রীতিকর এই ঘটনা।

মানডে বলেন, 'আমাদের আজ মনজুর কাদের সাহেবের অফিসে ডাকা হয়েছিল। সেখানে তিন মাসের বেতন না দিয়েই আমাকে কাগজে স্বাক্ষর করতে বলা হয় । আমি টাকা হাতে না নিয়ে স্বাক্ষর করতে চাইনি। তখন খোকন (ক্লাবের পরিচালক) আমার নাকে–মুখে–মাথায় ঘুষি মারেন। ফিরতি ফ্লাইটের টিকিটও আমাকে দেওয়া হয়নি। জোর করে আমার স্বাক্ষর নেওয়া হয়। ক্লাবের বাসা থেকেও আমাকে বের করে দেওয়া হয়েছে। এখন আমি রাস্তায় রাস্তায় ঘুরছি।' এ সময় মনজুর কাদের ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলেন বলে জানান মানডে।

এ ব্যাপারে জানতে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে কথা না বলেই ফোন কেটে দেন মনজুর কাদের। তবে শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাবের ফুটবল দলের ম্যানেজার আনোয়ারুল করিম হেলালের দাবি, মানডের গায়ে হাত তোলা হয়নি। শুধু কথা কাটাকাটি হয়েছে। তিনি বলেন, 'মারামারির কোনো ঘটনা ঘটেনি। শুধু মাত্র উচ্চবাচ্য হয়েছিল সেখানে।' মানডেকে বেতন ভাতা বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে বলেও দাবি তাঁর, 'আমরা জুন পর্যন্ত অর্থ বুঝিয়ে দিয়েছি। অন্য কোনো ক্লাব তাও দেয়নি।'