ডাগআউটে নেই কোচ। গত সপ্তাহে কর্মকর্তাদের সঙ্গে রাগ করে ক্লাব ছেড়ে চলে গেছেন ব্রাদার্স ইউনিয়নের কোচ আবদুল কাইয়ুম। গোপীবাগের দলটি রীতিমতো ধুঁকছে। মাঠের খেলায় প্রাণ নেই। অনলাইন বেটিংয়ে জড়িয়ে পড়ার অভিযোগে এএফসির সন্দেহের তির ব্রাদার্সের দিকে। মাঠের বাইরে এমন ছন্নছাড়া যখন অবস্থা কমলা দলের, তখন লিগে জয় পেতে অপেক্ষা শুধু দীর্ঘই হচ্ছে ব্রাদার্সের।
৯ ম্যাচে ৭টিতেই হার। লিগে দ্বিতীয়বারের মতো ড্র করে ব্রাদার্স একটা পয়েন্ট পেয়েছে আজ। বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামে মুক্তিযোদ্ধা সংসদ ক্রীড়া চক্রের সঙ্গে গোলশূন্য ড্র করেছে ব্রাদার্স।
নিষ্প্রাণ ম্যাচে যা একটু সুযোগ পেয়েছে মুক্তিযোদ্ধা, কিন্তু কাজে লাগাতে পারেনি। আগের ম্যাচেই পুলিশকে হারিয়ে উজ্জীবিত মুক্তিযোদ্ধার ফুটবলাররা গোলমুখে দু–একবার শট নেওয়ার চেষ্টা করেছেন। কিন্তু ব্রাদার্সের ফুটবলারদের মধ্যে সেই চেষ্টাও যেন ছিল না!
প্রথমার্ধে দুই দলের খেলায় ছিল না কোনো আক্রমণের ধার। বলার মতো কোনো আক্রমণ চোখেই পড়েনি। ১৪ মিনিটে মুক্তিযোদ্ধার উজবেক ফরোয়ার্ড আকবর আলী খোলদারভ বক্সের মধ্যে লক্ষ্যভ্রষ্ট শট নেন। এরপর ৪০ মিনিটে আকবরের আরেকটি দুর্বল শট জমে যায় ব্রাদার্স গোলরক্ষক তিতুমীর চৌধুরীর গ্লাভসে।
ম্যাচের যোগ হওয়া সময়ে দুই ডিফেন্ডারকে কাটিয়ে বক্সে ঢোকেন মুক্তিযোদ্ধার মিডফিল্ডার ইউসুকে কাতো। কিন্তু এই জাপানি ফুটবলারের শট গোলরক্ষক তিতুমীরের গায়ে লেগে ফেরে। দ্বিতীয়বার চেষ্টা করার আগেই অবশ্য গোলরক্ষকের গায়ে লেগে পড়ে যান কাতো।
৯ ম্যাচে ২ পয়েন্ট নিয়ে ১৩ দলের মধ্যে ১২তম স্থানে ব্রাদার্স। অবনমন এখনই চোখ রাঙাতে শুরু করেছে তাদের। আর সমান ম্যাচে ২ জয় ও ২ ড্রতে ৮ পয়েন্ট নিয়ে দশম স্থানে মুক্তিযোদ্ধা।