>গত রাতে চ্যাম্পিয়নস লিগের শেষ ষোলোর প্রথম লেগে বরুসিয়া ডর্টমুন্ডের বিপক্ষে খেলেছেন নেইমার। একটা গোলও করেছেন। সদ্য চোট থেকে ফেরা নেইমারকে যদিও মাঠে নামাতে চাননি কোচ টমাস টুখেল
গত পাঁচ তারিখে জন্মদিন ছিল তাঁর। সে জন্মদিন উদযাপন করতে গিয়ে পাঁজরে চোট পেয়েছিলেন। চারটা ম্যাচ খেলতে পারেননি। সংশয় ছিল বরুসিয়া ডর্টমুন্ডের বিপক্ষে চ্যাম্পিয়নস লিগের শেষ ষোলোর প্রথম লেগের ম্যাচটা খেলা নিয়েও। সব সংশয় দূর করে মাঠে নেমেছেন নেইমার। গোলও করেছেন। তবে, ক্লাবের কথা শুনলে এই ম্যাচটাও বলে খেলা হত না তাঁর!
গত কয়েক মৌসুমের শেষ কয়েক মাসে নেইমার কোনো না কোনো চোটে পড়ে মাঠের বাইরে থাকবেন, এটা যেন একরকম নিশ্চিতই। এই চোটে পড়েই গত দুই বছর চ্যাম্পিয়নস লিগের শেষ ষোলোর একটা ম্যাচেও খেলতে পারেননি। গত মৌসুমে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের কাছে নিজের দলের হতাশাজনক বিদায় দেখেছেন ডাগআউটে বসে বসে। সেদিনই বোধহয় প্রতিজ্ঞা করেছিলেন, শরীরের অবস্থা যতই খারাপ হোক না কেন, এমন গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে কোনোভাবেই বেঞ্চে বসে থাকবেন না। তাই এক রকম ডাক্তারদের সঙ্গে তর্ক করেই গত রাতে বরুসিয়া ডর্টমুন্ডের বিপক্ষে খেলেছেন নেইমার, ‘গত দুই বছর ধরে আমি চ্যাম্পিয়নস লিগের দ্বিতীয় রাউন্ডে খেলতে পারছি না, এই চোটের কারণেই। তাই এ ম্যাচটা যে করেই হোক আমি খেলতে চেয়েছি। আমার মনে হচ্ছিল আমি ম্যাচটা খেলার জন্য ফিট, কিন্তু আমার ক্লাব ভয় পাচ্ছিল। তারা আমাকে খেলতে দেওয়ার ঝুঁকিটা নিতে চাচ্ছিল না। কারণ দিনশেষে যদি কিছু একটা হয়ে যায়, আমাকেই ভুগতে হবে। আমি ক্লাবের অবস্থান বুঝি।’
নেইমারের চোটের গুরুত্ব বুঝে পিএসজি তাঁকে না খেলানোর ব্যাপারে এক রকম সিদ্ধান্তই নিয়ে ফেলেছিল বলে, ‘টানা চার ম্যাচ না খেলাটা বেশ কঠিন। কিন্তু, দুর্ভাগ্যবশত, আমার ইচ্ছেমত তো আর সবকিছু হয় না। আমাকে না খেলানোর সিদ্ধান্তটা ক্লাবেরই ছিল, ডাক্তারদের সিদ্ধান্ত ছিল। তারা আমার ব্যাপারে যখন এই সিদ্ধান্তটা নিল, আমার ভালো লাগেনি। আমি অনেক আলোচনা করেছি তাদের সঙ্গে, কেননা আমি ম্যাচটা খেলতে চাচ্ছিলাম।’
তবে নেইমার যে নিজের মান অনুযায়ী ম্যাচটা খেলতে পারেননি, সেটা তিনি নিজেও বুঝেছেন, ‘ম্যাচটা বেশ কঠিন ছিল। টানা নব্বই মিনিট একই ছন্দে খেলতে হয়েছে। তবে আমার শরীরের অবস্থা ভালো থাকলে আরও ভালো খেলতে পারতাম।’
ম্যাচে পিএসজি হেরেছে যদিও। ডর্টমুন্ডের মাঠ সিগনাল ইদুনা পার্কের প্রথম লেগে ২-১ গোলে হেরেছে তারা। তবে ম্যাচ হারলেও, এই ‘অসুস্থ’ নেইমারের কল্যাণেই মহামূল্যবান একটি ‘অ্যাওয়ে গোল’ ছিনিয়ে আনতে পেরেছে তারা। দুই লেগ শেষ হয়ে যাওয়ার পর যে গোলের কল্যাণে পিএসজি ডর্টমুন্ডকে টপকে উঠে যেতে পারে কোয়ার্টার ফাইনালে।