>টানা তৃতীয় মৌসুমের জন্য সাইফ স্পোর্টিং ক্লাবের সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হয়েছেন বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দলের অধিনায়ক জামাল ভূঁইয়া। আজই হয়েছে নতুন চুক্তি।
‘ঢাকার ফুটবলে টাকা ওড়ে’, সাম্প্রতিক সময়ে দল বদলের সময় হওয়ার আগেই ফুটবল পাড়ায় ঘুরে বেড়ালে এ কথা মনে হতে বাধ্য। জাতীয় ফুটবল দলের অবস্থা যত খারাপই হোক না কেন, ঘরোয়া ফুটবল মানেই টাকার ঝনঝনানি। প্রতি বছর যেভাবে খেলোয়াড়দের দাম বাড়ছে, তাতে এই কথায় ভুল ধরার লোক আর পাওয়া যাচ্ছে না। প্রতি মৌসুমে জ্যামিতিক হারে বাড়ছে ফুটবলারদের দাম। জাতীয় দলের তরুণ উদীয়মান খেলোয়াড়দের দামই এবার উঠে গিয়েছে ৫০ লাখ টাকা।
সেখানে প্রশ্ন উঠতে পারে জাতীয় দলের অধিনায়ক জামাল ভূঁইয়ার দাম কত? বিশ্বস্ত সূত্রমতে ৬৬ লাখ টাকা। নতুন মৌসুমের জন্য এই মোটা অঙ্কের বিনিময়েই নিজেদের অধিনায়ককে ধরে রেখেছে সাইফ স্পোর্টিং। দুই পক্ষের মধ্যে হয়েছে নতুন চুক্তি। নতুন চুক্তির সময়কাল এ বছরের সেপ্টেম্বর থেকে ২০২০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত বলে নিশ্চিত করেছেন সাইফ স্পোর্টিংয়ের ব্যবস্থাপনা পরিচালক নাসির উদ্দিন চৌধুরী।
জামাল-সাইফের চুক্তিটা ফুটবল বিশ্বের উন্নত দেশগুলোর মতো মাসিক চুক্তিতে। বিশ্বস্ত সূত্রমতে সাইফ থেকে মাসিক সাড়ে ৫ লাখ টাকা পাবেন জামাল (এবারের চলতি মৌসুমেও একই চুক্তি ছিল)। সে হিসেবে এক বছরে ৬৬ লাখ টাকা। এবারের মৌসুমে তাঁর সঙ্গে সাইফের চুক্তি এক বছর হলেও বারবার খেলা পেছানোয় শেষ পর্যন্ত ১৪ মাসে শেষ হতে যাচ্ছে মৌসুম (২০১৮ জুন-২০১৯ আগস্ট)। ফলে ২০১৯ মৌসুমে ১৪ মাসের জন্য ২৯ বছর বয়সী এই হোল্ডিং মিডফিল্ডারের পেছনে সাইফকে খরচ করতে হয়েছে ৭৭ লাখ টাকা।
এবারের মৌসুমে সাইফের বাকি আছে আর এক ম্যাচ। ২৩ ম্যাচে ৪৪ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের চতুর্থ স্থানে আছে তারা। শেষ ম্যাচে মুক্তিযোদ্ধার বিপক্ষে জিতলেও চতুর্থ স্থানে থেকেই লিগ শেষ করতে হবে তাদের। ২৩ ম্যাচের মধ্যে ১৯ ম্যাচে মাঠে ছিলেন জামাল। হোল্ডিং এই মিডফিল্ডারের পা থেকে গোল এসেছে একটি।
২০১৩ সাল থেকে জাতীয় দলের জার্সিতে খেলছেন ডেনমার্ক প্রবাসী জামাল। ২০১৪ সালে প্রথমবারের মতো শেখ জামাল ক্লাবের হয়ে ঘরোয়া ফুটবলে নাম লেখান তিনি। শেখ জামাল থেকে পরের মৌসুমে শেখ রাসেল ক্রীড়াচক্রে। সেখান থেকে ২০১৭ সালে গায়ে তুলে নেন সাইফের জার্সি। আগামী মৌসুমে টানা তৃতীয় বারের মতো করপোরেট ক্লাবটিতে দেখা যাবে বাংলাদেশ অধিনায়ককে।