>গত সপ্তাহে চেলসির বিপক্ষে ৮০ মিনিট পর্যন্ত এগিয়ে থেকেও পরে হার নিয়ে ফিরতে হয়েছিল আর্সেনালকে। এবার নতুন বছরে সে ব্যর্থতাকে আর দীর্ঘায়িত করেননি নতুন কোচ মিকেল আরতেতা। চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডকে ২-০ গোলে হারিয়েছে আর্সেনাল
এর আগে কখনো মূল কোচ হিসেবে কোনো ক্লাবের দায়িত্বে না থাকলেও, কোচ হিসেবে মিকেল আরতেতার যে জ্ঞান, সেটা নিয়ে বিভিন্ন সময়ে প্রশংসা করেছেন আর্সেন ওয়েঙ্গার, কার্লো আনচেলত্তি, পেপে গার্দিওলার মতো ম্যানেজারেরা। আর্সেনালের দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকেই গত দুই সপ্তাহে সে ঝলক দেখা গেলেও, জয়টাই শুধু আসছিল না। সে অপেক্ষাটাও ঘুচল গত রাতে।
আর্সেনালের ম্যানেজার হিসেবে নিজের প্রথম জয় তুলে নেওয়ার জন্য চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডকেই পছন্দ হলো আর্সেনালের। নিজেদের মাঠে ওলে গুনার সুলশারের দলকে ২-০ গোলে হারিয়েছে মিকেল আরতেতার দল। নতুন বছরের প্রথম এই জয়ের ফলে প্রিমিয়ার লিগে টানা জয়হীন থাকার রেকর্ডটা ঘুচল তাঁদের, ১৩ ম্যাচ পর জয়ের দেখা পেল তারা। তিন মাস পর লিগে গোল না খেয়ে ম্যাচ শেষ করেছে তারা। এটাও একটা উন্নতি। এই জয়ের ফলে পয়েন্ট তালিকায় দশ নম্বরে চলে এসেছে আর্সেনাল, ইউনাইটেড পাঁচ নম্বরেই আছে।
ম্যাচের আট মিনিটেই এগিয়ে যায় আর্সেনাল। স্ট্রাইকার পিয়েরে-এমেরিক অবামেয়াংয়ের পাস থেকে বাঁ-প্রান্তে বল পান বসনিয়ার লেফটব্যাক সিদ কোলাসিনাচ। তার পাস ভিক্টর লিন্ডেলফের পায়ে লেগে চলে আসে দলে নতুন আসা উইঙ্গার নিকোলাস পেপের দিকে। গোল করতে ভুল করেননি তিনি।
ম্যাচে এগিয়ে গিয়ে আরও ক্ষুরধার হয়ে ওঠে আর্সেনাল। গত রাতে যেন জ্বলে উঠেছিলেন পেপে। মাঠের ডান প্রান্ত থেকে ক্রমশ ইউনাইটেডকে তটস্থ রেখেছেন, আর্সেনালের সুযোগগুলোও আসছিল তাঁর পা থেকেই। ৩৮ মিনিটে পেপের দুর্দান্ত এক শট ক্রসবারে লেগে ফিরে আসে। প্রথমার্ধের শেষ দিকে নিজেদের দ্বিতীয় গোল পেয়ে যায় আর্সেনাল। উৎস সেই পেপেই। আইভোরি কোস্টের এই উইঙ্গারের কর্নার থেকে ফরাসি স্ট্রাইকার অ্যালেক্সান্ডার লাকাজেটের হেড ফিরিয়ে দেন ইউনাইটেডের গোলরক্ষক ডেভিড ডি গেয়া। ফিরতি বল লিন্ডেলফের গায়ে লেগে আসে আর্সেনাল ডিফেন্ডার সকরাতিসের দিকে। ডান পায়ের শটে গোল করতে ভুল করেননি এই গ্রিক ডিফেন্ডার।
পয়েন্ট তালিকায় ৩১ পয়েন্ট নিয়ে পঞ্চম অবস্থানেই আছে ইউনাইটেড। ওদিকে ২৭ পয়েন্ট নিয়ে আর্সেনাল উঠে এসেছে দশে।